বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৭২ তত্ত্বগুলি অধ্যাপকের বুঝাইয়া দেখাই৷ শিখাইয়া দিবেন এবং সাম্রান্সের ছাত্রদের ইংরেজি সংস্কৃত বাংলা প্রভৃতি সাহিত্য ও ইতিহাস দর্শন প্রভৃতি বিষয়ে ১২টা করিয়া বকৃত করিয়া শিক্ষা দিবেন। এইরূপ বিভিন্ন শাখার জ্ঞানের আদানপ্রদান হইতে থাকিলে ছাত্রদের শিক্ষা আর অসম্পূর্ণ একপেশে হইয়া থাকিবে না। কলেজের কর্তৃপক্ষ অতি সহজেই এই প্রণালী অবলম্বন করিয়া দেশের শিক্ষাবিস্তার ও সম্পূর্ণভাবিধানে সহায়তা করিতে পারেন। উড়িষ্যায় বাঙালী । "ইণ্ডিয়ান মেসেঞ্জার" বলেন, ১৯১১ খৃষ্টাব্দের সেন্সল অহসারে উড়িষ্যাদেশে নানা জাতির ১১৩,• • • জন বাঙালী বাস করে । ইহারা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করিয়া জগন্নাথের দেশে আসিয়া আশ্রয় লইয়াছে। ইহাদের মধ্যে অনেকে ওড়িয়াভাষায় কথা বলে এবং অনেকে আবার একপ্রকার বিরুত বাংলায় কথা বলে ; ওড়িয়ার। এই ভাষাকে অবজ্ঞাস্থচক কের নাম দিয়াছে, উক্ত ভাষা ব্যবহার করে বলিয়া কেরাভাৰীগণ ও কেরা নামেই পরিচিত । সমগ্র ওড়িষ্যা প্রবাসী বাঙালীদের মধ্যে ৯• • • কায়স্থ। ১৫৮২ খৃষ্টাব্দে টোডরমল্পের নিদ্ধারিত রাজস্বের বন্দোবস্ত স্থায়ী করিবার জন্য সম্রাট আকবর ভদ্রক জলেশ্বর ও কটক এই তিনটি সরকারের সদর কানুনগোন্ধপে এবং প্রত্যেক পরগণার গোমস্তারূপে যেসকল বাঙালীকায়স্থকে উড়িষ্যায় প্রেরণ করিয়াছিলেন, ইহারা তাহদেরই বংশধর । মোগলগণ উড়িষ্য জয় করিবার পূর্বেও বাঙালীর উড়িষ্যায় অনেক দায়িত্বপূর্ণ ও উচ্চ রাজকাৰ্য্য করিয়াছিলেন। তোগলক রাজত্বের শেষভাগে পুরন্দর বহু সৰ্ব্বাধিকারী উড়িষ্যার শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন। এই সময় নিশ্চয়ই অনেক বাঙালী তাহাকে মুকুৰ্ব্বী ও অভিভাবক পাকড়াইয়া মহানদীতীরে বাসস্থাপন করিতে গিয়াছিলেন । অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগেও উড়িষায় স্ববাদার দুর্লভরাম সোম নামক একজন বাধালী শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন। ইহার পিতা মহারাজ জানকীনাথ গোম একসময় বেহারের নায়েববাহাদুর ছিলেন এবং পরে (১৭৬৫ খৃ: ) নবাব মীরজাফরের মন্ত্রীপদ লাভ করেন । ३श्। হইতে দেথ। যাইতেছে যে বাংলার সমীপবৰ্ত্তী উড়িষ্যাদেশে মোগলরাজত্বকালে এবং তং পূৰ্ব্বেও ঐযুক্ত রমেশচন্দ্র দত্ত ও কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত মহাশয় অপেক্ষ উচ্চপদধারী রাজ কৰ্ম্মচারী ছিলেন । কটকের নরেন্দ্রনাথ প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২২ [ *** ठाण, »न १७ রায় মহাশয় নামক একজন বাঙালীই ১৮, ১ খৃষ্টাব্দের ৪ঠা অক্টোবর কর্ণেল হারকোর্টকে উড়িষ্যার সমুদয় জমিদারী ও তাহাদের রাজস্বের তালিকা দিয়াছিলেন ; ইহা অবলম্বন করিয়াই ইংরেজ-রাজস্বের বন্দোবস্ত হইয়াছিল। ইহার সকলেই প্রবাসী (domiciled) বাঙালীর তালিকাভূক্ত । সকল শ্রেণীর ও সকল জাতির ওড়িয়ারাই ইহাদের অপেক্ষ উচ্চতর অধিকার লাভ করিয়া থাকেন। (বাংল গবর্ণমেণ্টের ২৪শে জুন তারিখের ১১৭৫ নং আদেশ দেখুন; ইহাতে বিশেষ করিয়া ওড়িয়া গ্র্যাজুয়েটদিগকে চারিটি আইন পড়িবার বৃত্তি দেওয়া হইয়াছে এবং ওড়িয়া ও বাঙালী উভয় শ্রেণীর যে-কেহ প্রতিযোগিতায় লাভ করিবেন বলিয়া মাত্র দুইটি বৃত্তি রাখা হইয়াছে। ) কটকের রাভেন্স কলেজ-সংশ্লিষ্ট আইনের ক্লাশ উঠিয়া যাইবার পরে এই বৃত্তিগুলি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-কলেজের হাতে আসে, সেখানেও সেগুলি এরূপভাবে বিতরণ করা হয়, যাহতে প্রবাদী (domiciled) বাঙালীদিগকে বিশেষ অসুবিধায় পড়িতে হয়। তিন শত বৎসর ধরিয়া উৎকল প্রদেশে বাস করিয়া ও ইহারা সেই দেশের সন্তানপদবাচ্য হইবার উপযুক্ত অধিকার প্রাপ্ত হয় নাই। প্রবাসী বাঙালীরা এই অবিচারের স্পষ্ট প্রতিবাদ করিয়াছে, কিন্তু তাহাতে বিশেষ কিছু ফল হয় নাই। কি স্বদেশে, কি বিদেশে সরকারী মোট মাহিনীর চাকরীর প্রতি বাঙালীর বিতৃষ্ণ ত দেখা যায়ই না, অধিকন্তু এ কাৰ্য্যে র্তাহাদের আশ্চর্য্য অগ্রহ ও বিশেষ দক্ষতাই স্থপরিচিত। কিন্তু উড়িষ্যাপ্রবাসী বাঙালীর ভাগ্য এদিকেও অপ্রসন্ন। স্বগীয় রায় বৈকুণ্ঠনাথ দে বাহাদুর ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে "নব্য প্রবাসী বাঙ্গালী সমিতি"র বাংসরিক সভায় সভাপতিরূপে বলিয়াছিলেন “ভদ্রমহোদয়গণ, যদিও উড়িষ্যার গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে বত্ৰিশ জন श्रश्री२ नभ८° न ५क-ठूठौग्रl:* वlgाली, ठभानि *ाशनद्र भ८५ भांज তিনজন শাসন বিভাগে কার্য পাইয়াছেন এবং আর দুইজন মাত্র মাসিক এ শত টাকা ও তদুদ্ধ বেতনে কাৰ্য্য করিতেছেন । ইহা দ্বারাই এদেশে আমাদের অবস্থা কিরূপ তাহা আপনার সম্পূৰ্ণৰূপে বুঝিতে পারিতেছেন। অপর পক্ষে ওড়িয় গ্রাজুয়েটদের এক-তৃতীয়াংশ (৬৫ ) শাসন বিভাগে কৰ্ম্ম করিতেছেন এবং অবশিষ্ট কয়জনেরও প্রায় একতৃতীয়াংশ মাসিক একশত টাকা ও তদৃদ্ধ বেতনে ঠংদের উপযুক্ত কাৰ্যা করিতেছেন ।" এই নয় দশ বৎসরের মধ্যে সে অবস্থার বিশেষ অমুকুল পরিবর্তনের কোন প্রমাণ আমরা পাই নাই। কিন্তু একথা আমাদের মনে রাথিতে হইবে যে ( গড় জাত মহল न। कुन्तात्रागश्श् दान ग्रि।) उम्रिगान्न এক-তৃতীয়াংশ প্রবাসী বাঙালীগণের ও কতকগুলি বাঙালী জমিদারের, অধিকৃত । বঙ্গের বাঙ্গালীর বঙ্গ প্রবাসী ওড়িয়াগণের কোন ! ৬ষ্ঠ সংখ্য ] বিবিধ প্রসঙ্গ—বিহার ও উড়িষ্যায় প্রবাসী বাঙ্গালী ছাত্রদের কৃতিত্ব প্রকার উপাঞ্জনের চেষ্টায় বাধা দেয় না। তাহার কথন আপনার প্রবাসী ভ্রাতার এই দুর্দশ দেখিয়া প্রসন্নচিত্ত্বে থাকিতে পারে না। আমাদের প্রাদেশিক সমিতিতে যে-সকল বিষয়ের বিচার হইয় থাকে, প্রবাসী বাঙালীগণের অবস্থা সম্বন্ধে আলোচনা তন্মধ্যে স্থান পাওয়া উচিত। আমরা আমাদের সাহিত্যপরিষদকে অনুরোধ করি যে তাহারা উড়িষ্যার বিভিন্ন কেন্দ্রে তাহাদের শাখা স্থাপন করিয়া এই-সকল প্রবাসী বাঙালীর ভাষা মার্জিত করিয়া তুলুন এবং তাহদিগকে আমাদের জীবন্ত ও সতেজ বঙ্গসাহিত্যের সহিত যুক্ত করিয়া রাখুন। উড়িয্য, ছোটনাগপুর ও বেহারের প্রবাসী বাঙালীগণ সকলপ্রকার অসুবিধার প্রতিকার করিবার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়া মিলিত হউন। এই নৃত্তন প্রদেশের ছোটলাট বেলী সাহেব স্থায়ী বাসিন্দা বাঙালীদিগকে সকল কার্য্যে ওড়িয়া ও বেহারীর সমান বলিয়া ধরিতে ইচ্ছা জ্ঞাপন করিয়াছেন। যখনই তাহার ইচ্ছার বিপরীত কাৰ্য্য করা হইবে তখনই সেইসকল ব্যাপার তাহার সম্মুখে উপস্থিত করা উচিত। প্রবাসী বাঙালীর প্রতি স্থবিচারের জন্য মিলিত বঙ্গের দাবী বড়লাট বাহাদুরের সভায় পৌছুক । স্বদেশে ও বিদেশে সৰ্ব্বত্রই বাঙালী এক । ওড়িষ্যা প্রবাদী বাঙালীদের একখানি খুব উংকৃষ্ট সংবাদপত্র থাকা উচিত। "প্পর অব, উৎকলে" তবু কিছু কাজ হইত ; কিন্তু তাহার নিকট গবর্ণমেণ্ট ২• • • ২ টাকা জামিন চাওয়ায় তাহাও উঠিয়া গিয়াছে। উহার সম্পাদক বড়লাটের নিকট জামিন হইতে নিষ্কৃতিলাভের জন্য দরখাস্ত कब्रिप्राcछ्न। उाश भ१द्र श्ल उन । नङ्गदा न्डन করিয়া একখানি কাগজ বাহির ক্ষর কর্তব্য। ফ্রান্স দেশে হিউগেনট নামে পরিচিত খৃষ্টয়ানদের উপর ষোড়শ শতাব্দী হইতে আরম্ভ করিয়া ঘোরতর অত্যাচার হয়। ফলে তাহাদের অনেকে ইংলণ্ডে পলায়ন করে। তাহাদের বংশধরেরা এবং অন্ত অনেক আগন্ধক ফরাসীর বংশধরেরা এখন খাটি ইংরেজের পূর্ণ অধিকার ইংলণ্ডে পাইতেছে। অনেকে খুব বিখ্যাত হইয়াছেন। যেমন দার্শনিক মার্টিনো। কিন্তু এই-সকল ইংলণ্ডে-পলাতক ফরাগীর বহু পূৰ্ব্বে যেসকল বাঙ্গালী উড়িষ্যায় বসবাস করিয়াছিলেন, তাহারা এখনও ওড়িয়ার সকল অধিকার পান নাই! অথচ সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে মাতৃভূমি জ্ঞান করিতে আমাদিগকে উপদেশ দেওয়া হয়। ' ԾԳՖ -o-o-o-o-o-o-o বিহার ও উড়িষ্যার প্রবাসী বাদালী ছাত্রদের কৃতিত্ব। "বেহার হেরাল্ড" বলেন— ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষায় বেহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের স্কুল ও কলেজসমূহে বাঙালীছাত্রদের ফল বেশ সন্তোষজনক হইয়াছে। বাঙ্গালীছাত্রদের মধ্যে সচরাচর পরীক্ষোভীর্ণের সংখ্যা যেরূপ অধিক হয় এবং র্তাহারা যেরূপ উচ্চজ্ঞানের পরিচয় দিয়া থাকেন, এক্ষেত্রেও उाठ्ठाडे ट्डेग्राप्छ । বি.এসসি পরীক্ষায়ু বেহারী কলেজসমূহ হইতে আট জন ছাত্র উত্তীর্ণ হইয়াছেন ; তাহদের মধ্যে চারিজন অর্থাৎ শতকরা ৫০ জন বাঙালী ও অপর চারিজন বেহারী হিন্দু। পরীক্ষোৰ্ত্তীর্ণদের মধ্যে মুসলমান কিম্বা ওড়িয়া নাই। সমস্ত প্রদেশের মধ্যে মাত্র একজন সম্মানের সহিত উত্তীর্ণ হইয়াছেন ; তিনি বাঙালী। এই ছাত্রটি জড়বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করিয়াছেন । এই প্রদেশের যে তিনটি ছাত্র যোগ্যতার সহিত বি-এসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন তাহাদের মধ্যে দুই জন বাঙালী । বি-এ পরীক্ষার ফলে দেখিতে পাই এই প্রদেশের কলেজ হইতে উত্তীর্ণ ১৯৯ জন ছাত্রের মধ্যে ৪১ জন অর্থাৎ শতকরা ২৯.৬ জন বাঙালী, ৩১ অর্থাৎ শতকরা ১৫.৫ জন মুসলমান, ১• • অর্থাৎ শতকরা ৫০.৪ জন বেহারী হিন্দু, ২৪ অর্থাৎ শতকরা ১২.১ জন ওড়িয়া এবং মাত্র ৩ অর্থাৎ শতকরা ১.৫ জন খৃষ্টান। যাহারা সম্মানের সহিত উত্তীর্ণ হইয়াছেন তাহদের মধ্যেও বাঙালীরা বেশ উচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছেন। সম্মানের সহিত উত্তীর্ণ ১৪ জনের মধ্যে ৪ অর্থাং শতকরা ২৮.৫ জন বাঙালী। ইহাদের মধ্যে তিনজন ইংরেজী সাহিত্যে যথাক্রমে দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও স্বাবিংশ স্থান অধিকার করিয়াছেন। বেহার ও উড়িষ্যার কলেজ হইতে আই-এসসি পরীক্ষায় ৭৫ জন ছাত্র উত্তীর্ণ হইয়াছেন। তাহীদের মধ্যে ৩১ অর্থাৎ শতকরা ৪১, ১ জন বাঙালী, ৮ অর্থাৎ শতকরা ১৯.৭ জন মুসলমান, ৪১ অর্থাৎ শতকরা ২৮ জন বেহারী হিন্দু এবং ১৫ অর্থাৎ শতকরা ২৯ জন ওড়িয়া । আই-এ পরীক্ষায় ৩৩৮ জন ছাত্র উত্তীর্ণ হইয়াছেন। তন্মধ্যে ৫৮ অর্থাৎ শতকরা ১৬.৫ জন বাঙালী, ২ অর্থাং শতকরা ১৫ ৩ জন মুসলমান, ১৮৭ অর্থাং শতকরা ৫৫.৬ জন বেহারী হিন্দু, ৪১ অর্থাৎ শতকরা ৬ জন খৃষ্টান। আই-এ এবং আই.এসসি উভয় পরীক্ষাতেই বাঙালীছাত্রেরা বেশ উচ্চস্থান অধিকার করিয়াছেন। আই-এ