পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুর-সমাপ্তি , बै शौब्रङ्कयाब्र চৌধুরী ওরে মোর অবশ সঙ্গীত, ওরে অবসর পার্থী মোর, আজি কোন সে তিমিরতলে ভূষিত নিশ্বাস ওঠে বাজি তব ক্লাস্তু-পক্ষ-আলোড়নে । আজ শোণিতাক্ত তব চঞ্চুপুটে কি মুদ্র অরুণ আশা বিন্দু বিন্দু হয়ে ওঠে ফুটে নিৰ্ম্মম পেষণে নিরাশার –জানি ওটাবে না ডানা, অভয় ভৈরব রবে প্রভাতের দ্বারে দেবে হানা একদা এ তমোরাত্রি-শেষে —জানি খুলে যাবে দ্বার, আপনি দাড়াবে হেসে আজিকার প্রলয়-আঁধার । তব মনোহরণের মুখের গুণ্ঠন অপসারি', নিমেষে নিঃশেষ করি দেবে তোর স্বপন-পসারী অজানার বক্ষভরা গোপন সঞ্চয় তা’র যত । —সেদিন পথের ক্লাস্তি পোষ-মান পশুটির মতে পড়ি রবে তৃপ্তবক্ষে একপাশে মৌন-মুক, মুখে তোর চাহি’, নীরব সন্ত্রমে । জানি, জানি আমি, যদি এ তিমির পথ বাহি আমি মগ্ন হ’য়ে ষাই বিস্মৃতির গভীর গহবরে, তুমি তবু হারাবে না, তোমার আকুল কণ্ঠ ভরে অঙ্গীত সঙ্গীতগুলি বেঁচে মোর রবে চিরদিন, আমার প্রাণের প্রতি শিহরিবে স্থরলয়-হীন বনানীর ঝিল্লীরবে, মোর স্বপ্ন রবে জাগি' স্তন্ধ রাত্রে তারাহারা আলোক-বিবাসী আকাশের সুপ্ত বক্ষ ভরি’ দিবানিশি মোর চিত্ত ব্যাকুলত নিলীন হইয়া ব্ল’বে মিশি’ উদাসীন প্রাস্তরের অস্তুহারা দিগন্তুবিস্তারে ; কেউ তা’রে চিনিবেন, কাছে ডেকে শুধাবেন তারে, তবু এ ধরার প্রিয় ধূলিতলে সবাকার চরণে চরণে দলিত পত্রের মতো মর্শ্বরিয়া অযুত মরণে বারার মরিবে সে। এ ধরার সব গীত গানে স্বরহীন যেই স্বর পাড়ি দেয় আশ্রতের পানে, যে আশা ভয়ের মতে আপনাতে আপনি শিহুরে, যে প্রেম মিলন লাগি দূরে-দূরে বিমনা বিহুরে বিরহের ছায়া অমুসরি’, যেই পূজা তার হোমানল জালি’ ৷ আবেগে পূজার মন্ত্রভোলে, যে অস্নান কুস্কমের ডালি সযতনে ভরা হয়, মালা গাথা থেকে যায় বাকজানি সে-সবার মাঝে চিরতরে আমি যাবে! রাখি" আমার স্বরের তৃষা ভরি’ । কবে আমি গেছি থেমে, si উদার আকাশ হতে গহন জীবন-পথে নেমে বাধিয়াছি নীড়, মোরে বাধিয়াছে সহস্র গ্রন্থিতে এ ধরার প্রিয় ভূমি শত লতাজালে,চারিভিতে ভালোবাসিয়াছে তা’র পরিচিত যত তরুরাজি ঋতুতে-ঋতুতে মোরে নব-নব পত্রে-পুষ্পে সাজি রুধিয়া কণ্ঠের স্বর স্বরসাল স্বাদু ফলে-ফলে। —তুমি গেছ চলে তিমির-দিগন্তে চাহি’ আৰ্ত্তকণ্ঠে বিদারি’ আকাশ আমারই আশার পথ ধরি। তাই থেকে-থেকে এবক্ষেরশ্বাস তোমার পাথার শব্দে বেজে ওঠে,তোমার তিমির পথ-রেখা এ হৃদয়ে বেদনায় আঁকা পড়ে, থেকে-থেকে যায় যেন দেখা স্বদুর স্বপ্নের মতে আলোকের অস্ফুট আভাস উদাস উন্মুখ তত্ত্বাতীরে, তোমার সঙ্গীত-অবকাশ স্তব্ধতার স্পর্শ যেন লাগে মোর স্তন্ধ বক্ষ ভরি’ স্বরহীন বেছনায় দেহে-মনে আমারে আবরি’ পরিচিত স্নেহে । 餐 হায়-এ কাহার অভিশাপে এ-বক্ষের শত তৃত্নী খরতর শিহরণে কাপে বেদনার পরশে-পরশে, তবু স্বর নাহি জাগে ! মরণ ঘুমের মতে, ছায়ার চুমোর মতো লাগে চেতনার সারা দেহে ; কোথা ঘুমপাড়ানিয়া গান , শোকাকুল পূরবীর ? বেদনায় হ’য়ে খান-খান