পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●ፃ ó নিয়ে অনলের কাছে ছুটে গেল। এমন সম্পদ জ্যাঠামশায়ের কোলে বসে’ উপভোগ না করতে পেলে তার আনন্দ যে পূর্ণ হয় না। ধনিষ্ঠার বাড়ীতে অনলের পেতে হবে ; এখানে গৌরীকে ছুলে তার কাপড় ছাড়ার অসুবিধা হবে বলে’ অনল গেীরীর আগ্রহ এড়িয়ে কয়েক পা পিছিয়ে গেল । কথাটা যেন শোনেনি এমনি ভাণ করেই তাকে সরে যেতে হ’ল । গৌরী কিন্তু বুঝলে । অনলকে পিছিয়ে যেতে দেখেই তার আনন্দোচ্ছ্বাস একেবারে দমে’ গেল । গৌরী অনলকে দেখেই আনন্দে উচ্ছসিতকণ্ঠে যে কথাগুলি বললে, তার অর্থ ধনিষ্ঠ বুঝতে পারেনি ; কিন্তু গৌরীর কথার মধ্যে যে দুটি বাংলা শব্দ ছিল, সেই দুটি শব্দ ধনিষ্ঠার ধোধের ক্ষেত্রে গিয়ে পাশাপাশি দাড়াতেই ধনিষ্ঠার মুখ লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠল। কিন্তু সে লজ্জায় সঙ্কুচিত হয়ে থাকৃবার অবসর পেলে না ; গেীরীর স্পর্শ এড়িয়ে অনলকে সরে যেতে ও গৌরীকে নিরুংসাহিত মানমুথে থমকে দাড়াতে দেখে তার স্নেহপ্রবণ মন ব্যথায় আকুল হয়ে উঠল। ধনিষ্ঠ দ্রুতপদে এগিয়ে গিয়ে গৌরীকে টপ করে কোলে তুলে নিলে এবং আদর করে’ বললে—এসো আমরা দুজনে খেলা করি । গৌরী ধনিষ্ঠার কথা বুঝতে না পারলেও তার স্নেহ ও সাস্বনা অনুভব করলে। সে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না, যে, কেনই বা একজন তাকে ছোয়, আর একজন চোয় না । আবার যে তাকে ছোয় সেও একবার তাকে ছোয় আবার অন্ত সময়ে ছোয় না, এও বড় অদ্ভুত । গৌরীর এই চিন্তা বেশীক্ষণ স্থায়ী হ’তে পারলে না, গৌরী একটা টিনের হাসকে দম দিয়ে ছেড়ে দিতেই সেই খেলনাটা গল নেড়ে-নেড়ে প্যাক-প্যাক শব্দ করতেকরতে ছুটে চলল , এবং সেই নিজাব খেলনার রকম-সকম দেখে কৌতুক অনুভব করে গৌরী সকল চিন্তা ভুলে আবার আনন্দিত কলহাস্তে ঘর ভরে তুললে। त्रनल cश्रोत्रैौग्न श्रांनाम बांनन्मिउ श्रञ्च झनिमू१ ধনিষ্ঠাকে জিজ্ঞাসা করলে--আপনার স্নান-আহ্নিক এখনো হয়নি ? প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড গৌরী পলাতক কলের হাসটাকে ধরে' এনে ধনিষ্ঠার হাতে দিয়েছিল, ধনিষ্ঠ তাতে আবার দম দিতে-দিতে অনলের দিকে মুখ তুলে হেসে বললে—না, আজ আমার মেয়ে নিয়ে খেলবার ছুটি। আপনি বৈঠকখানায় বস্ননগে, ভাত হ’লে মাধী আপনাকে ডেকে আনবে। অনল হাসিমূপে গৌরীকে বললে –গৌরী মা, তুমি তোমার মার সঙ্গে খেলা করো, আমি... ...•••••• গৌরী একটা বল গড়িয়ে নিয়ে ছুটে যাচ্ছিল ; বল্ট। হঠাৎ এক দেয়ালে ধাক্কা থেয়ে ঠিকূরে বেঁকে এক পাশের ঘরে ঢুকে পড়ল। গৌরী সেই বল অনুসরণ করে সেই ঘরের মধ্যে ঢুকতে যাচ্ছে দেখে অনল তাড়াতাড়ি তাকে ধরে কোলে করে নিলে এবং গৌরীকে বললে—তোমার মা যেখানে তোমাকে নিয়ে না যাবেন, কিম্বা যেতে না বলবেন সেখানে তুমি কখ খনে ধেও না লক্ষ্মীটি । পদে-পদে বাধা ও স্বাধীনতার সঙ্কোচে গৌরীর শিশু-মন একেবারে মুষড়ে পড় ছিল, সে কুষ্ঠিত-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলে--ও ঘরে আমি গেলে কি হয় ? কেন ভোমরা বার বার অমন কথা বলে ? গৌরীর ঠোঁট ফুলে উঠ ল । শিশুর এই দুরূহু প্রশ্নের কোনও সদুত্তর খুজে না পেয়ে অনল বললে—সকলের সকল ঘরে যেতে নেই। গৌরী জিজ্ঞাসা করে’ উঠ ল-যেতে নেই।---কেন যেতে নেই ? অনল মহাবিব্রত হয়ে পড়ল, কারণ হিন্দুধর্মের আচারে নিষেধের পর নিষেধ আছে, কিন্তু তার সঙ্গে যুক্তির সম্পর্ক নেই বললেও হয়। যদিবা কিছু আছে তাও গৌরীকে বোঝানো অসম্ভব। অনল ও গৌরীর কথোপকথনের অর্থ ধনিষ্ঠা বুঝতে ন পারলেও অনলের ভাব দেখে সে বুঝতে পারছিল গৌরীর সঙ্গে তার এমন-কিছু কথা হচ্ছে যাতে অনল বিব্রত হয়ে পড়েছে। তাই সে গৌরীকে ডেকে বললে— গৌরী তুমি এসো, আমরা খেলা করি । গৌরী ধনিষ্ঠার আহবানে খুশী হয়ে অনলের কোল থেকে নেমে পড়ে' ধনিষ্ঠার কাছে দৌড়ে এল। অনল