পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । ] পৰ্ব্বতমালার গুহাবলী সাধু তপস্বিগণ কর্তৃক অধ্যুষিত ছিল । কালক্রমে কোথাও বা স্বভাবজাত গুহাগুলি কত্রিম উপায়ে অপেক্ষ কৃত বৃহদায়তন ও অধিকতর বায়োপযোগী করা হইয়াছিল, কোথাও বা সমগ্র গুহাগুলিই মানুষ কত্ত্বক খনিত হইয়াছিল। এই সকল আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কৃত্রিম গুহা অধিকাংশ স্থলে স্থপতি, ভাস্কর ও চিত্রকরগণ দ্বারা নান৷ প্রকারে অলঙ্কত হইয়াছিল। এইরূপ গুহা ভারতবর্ষের নানা স্থানে দুষ্ট হয়। কিন্তু সকল দিক দিয়া দেখিতে গেলে অজণ্টালীকেই জগতে অতুলনীয় বলিয়া প্রশংসা করিতে হয়। গুষ্ঠাখননবিদ্যা উৎকর্ষের চরম সীমায় উপনীত ইয়াছিল । இ) গুঃ নিৰ্ম্মাণের স্থান নিৰ্ব্ব চনে বৌদ্ধগণ অনেকগুলি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি রাখিতেন । সহজে কাটিয়া খনন করা যায় এরূপ প্রস্তর নির্বাচন ত তাহারা করিতেনই, অধিকন্তু অধিগম্যত সাচ হইতে সকল ঋতুতে জল পাওয় যায়, $3 ジ f

i এরূপ কোন ও জলাশয়ের সান্নিধ্য, বাণিজ্যবয়ের সামৗপ্য , প্রভূতির দিকে ও লক্ষ্য রাখিতেন । কিন্তু তাতারা কেবল জীবনধারণের সুবিধাই দেপিতেন না । তাতাদের প্রাকৃতিক সেন্দর্যানুভবশক্তি ও প্রবল ছিল । ভারতবর্যের অধিকাংশ বে দ্ধ, জৈন ও হিন্দু গুহার সমীপব প্রাকৃতিক দৃশু বড় সুন্দর। কিন্তু স্বভাবের শোভা ও নি? ত?ে অ ব্লটোর সস্থিত আর কোনও গুহার তুলনা হয় না। স্বাভাবিক শোভার সহিত বৌদ্ধগণের ধৰ্ম্ম জীবনের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল যাহারা ধানপরায়ণ হইয়া উন্নত জীবনলাভ প্রয়াসী হইতেন, তঁহাদের নিকট, জলপ্রবাহের উচ্চ বা মুড়ধ্বনি ক্রীড়া পাল সমারণের কর স্পর্শে বৃক্ষপত্রের সর সর শব্দ, আকাশপথে মেঘের যথেচ্ছ সঞ্চরণ, তরুলতাগুন্মের রহস্যময় জন্ম ও বুদ্ধি, এবং অরণ্যচারী ক্টাববুন্দের বিচিত্র জীবন, শাক্যসিংহকর্তৃক বিবৃত iহী"ধন্মে"র স্তবগীপ্তিস্বরূপ প্রতী ত হইত। প্রস্তর মাটিয়া যে মন্দির বা গৃহ প্রস্তুত হয় তাহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা াৈরী আবাস। কিন্তু বোধ হয় বেদ্ধগণ যে কেবল ক্টারিত্বের জন্যই গুহানিন্মাণ করিতেন, তাহ न प्रे ; \ধ এবং তাহার শিষ্যগণ দেশ ভ্রমণকালে স্বাভাবিক গুহাতে বাস করিতেন বলিয়াও, বোধ হয়, বেদগণ প্রবাসী 参见 יא গুহানিম্মাণে এরূপ আগ্রহ ও উৎসাহ দেখাইয়াছিলেন । এই প্রকার চৈতা, বিহার ও সঙ্ঘারামের সুবিধা বর্ণন নিম্প্রয়োজন । ভিক্ষুগণের পক্ষে বর্ষাকালে দেশভ্রমণ নিষিদ্ধ ছিল। তাহারা প্রথমে বর্ষাযাপন জনা, কিম্বা গ্রীষ্মকালে শীতলস্থানে আশ্রয়লা ৬থি, এইসকল গুঃ ল্যবহার করতেন, তাহা নির্ণয় কর কঠিন । অজণ্টা গুহাবলী পূৰ্ব্বে মানুষের বাসের সম্যক উপযোগ ছিল । তাদের ছাদ দিয়া জল পড়িত না । বৰ্ষার সায় বন্যা হইলে লনার জল ও গুহার অনেক নীচে থাকে। এখনও দারুণ গ্রীষ্মের সময়, যখন নিকটবর্তী ফাদাপুর গামে ছায়ায় ১০৬f৬গি উত্তাপ হয়, তখনও গুচা গুলির অভা স্তর অতিশয় আরামদায়ক ও শীতল থাকে। অজণ্টাগ্রাম গুহা গুলি হইতে ৪ মাইল দূরে । ফন্দাপুর গুহাগুলি হইতে ৩০ মাইল দূরে অবচিত । গেঢ় ইণ্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ে লাইনের পাচোরা %েধন হইতে ৩০ মাইল দূরে শেসে কু গ্রাম অবস্থি ৩ । এই শি মাইল কাচা রাস্তার উপর গরুর গাড়ী করিয়া যtঠতে ৩য় । উদ্ধ হইতে দেখিলে আমন্টা গুচাবলীর ১ম চি n|gশু কিরূপ দেথায় আমরা তাহার একটি চিত্র দিলাম। গুহা গুলি একটি গভীর সঙ্গীণ গিরিদ্রোণীতে প্রাচীরবং দ গুায়মান শৈলগায়ে পোদিত । উঠার আকার কতকটা ঘোড়ার নালের মত । শৈলর পাদদেশ ধৌত করিয়া একটি নদী ঃ কিয়া বকিয়া চলিয়া গিয়াছে । আমরা সামান্ত একটি চিত্র দিলাম; কিন্তু কোন ও চিত্র আমাদের মনে এই গিরিদ্রোণার আরণ্য শোভার সম্যক ধারণা জন্মাষ্টয় দিতে পারে না, বিশেষত: যখন বর্ষাকালে সৰ্ব্বত্র বৃক্ষলতাগুল্ম সতেজ ও পত্রপুষ্পে সুশোভিত হইয়া উঠে । গুচাব মীর অদূরে একটি জলপ্রপাত আছে । উচ্চ একটি হইতে আর একটিতে লাফ দিয়া দিয়া সাতটি নৈসগিক প্রস্তর সোপান ও প্রত্যেকের নিম্নস্ত জলাশয় অতিক্রম করিয়া প্রবাচিত ; এষ্টজন, উচার নাম সা কুণ্ড । সৰ্ব্বনিম্ন কু গুটিতে সম্বংসর জল থাকে। সম্ভবতঃ গুচাবাসী যতিগণ এগান হষ্টতেষ্ট জল লইয়া যাইতেন । বর্তমানকালে সাধারণ লোকে গুগগুলির প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন । কেবল মকরসংক্রাস্তির সময় এখানে যখন