পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

والاسمالا প্রবাসী । [ ৫ম সংখ্যা । পারিলে ভবিষ্যতে কোটিজন্মের পাপ ও মোচন হইতে না হইলেও আগে পাকিবার গুণে বঙ্গদেশে আদির পারিত । গোদাবরীতে অগাধ জল, বিস্তারে দুই মাইল । কিন্তু কটকে মহানদীর তুল্য জল মানিকট দ্বারা বাধা । রাজামহেশ্ৰী হইতে তিন মাইল নীচে গোদাবরীর চারি মুখ চারিটা বাধে আবদ্ধ হইয়াছে । চারিট বাধের মাঝে মাঝে তিনটা খাল দুরস্থিত কবিক্ষেত্রে জল সেচন করিতেছে । এদিকে রেল গাড়ী যাইবার নিমিত্ত দুই মাইল লম্বা সেতু গোদাবরীর বুকের উপর দাড়াইয়া আছে। একখানা ছোট ষ্টীমার এ পারের লোক ও পারে লইয়৷ যাইতেছে । কটকে আম ফুরাইয়া আসিয়াছিল, রাজামহেন্দ্রীতে তখনও মাৰুড়িপাণ্ডুলু (আম ) অপৰ্য্যাপ্ত। এ সব অঞ্চলে চালতার আকারের মত এক রকম আম পাওয়া যায়। স্বাদে ও অন্তান্ত গুণে ছোট ফজলী বলিয়া ভ্রম হয় । রেলের অনুগ্রহে এই অাম 'ইজানগর’ হইতে কটকে রপ্তানী হইতেছে । কিন্তু কলিকাতায় এই অাম কখনও দেখি নাই । বোধ করি, আমব্যবসায়ীরা এই আমের সন্ধান জানে না। নইলে, যখন কলিকাতায় আম উঠিতে আরম্ভ করে না, তখন এই চালত অামে বেশ দু-পয়স। লাভ হইতে পারে । বিজয়নগরের মহারাজারই নাকি আমের শতাধিক বাগান আছে । সেখানে, বিশাখাপত্তনে আমের কলম যথেষ্ট পাওয়া যায় । বিজয়নগরে আমরা এই আম টাকায় ১২টা, বিশাখাপত্তনে ২•ট, রাজামহেশ্রীতে ২০টা করিয়া কিনিয়াছিলাম। ইহ। ছাড়া অন্য অনেক রকম আম পাওয়া যায়, সে গুলির মধ্যে বাছিয়া লইতে পারিলে বঙ্গদেশের আমের সংখ্যা বাড়াইতে পারা যায়। এখানকার আনারসেরও প্রশংস৷ করিতে পারা যায় । বোধ হয় কলিকাতার ফল ব্যবসায়ীরা জানে না যে, ওড়িশার সমুদয় ফল বাঙ্গল দেশ অপেক্ষা অন্ততঃ ১৫ দিন আগে পাকে । কোন কোন ফল এক মাস আগেও পাকিয়া থাকে। কটকে মাঘ মাসে তরমুজ পাকে, অাম বৈশাখ মাসে প্রচুর, পাক তাল পৌষ মাসে পাওয়৷ যায়। ওড়িশা ফলের দেশ নছে, কিন্তু আম কাঠাল আনারস প্রভৃতি যে ছুই চারিট আছে, তত ভাল পাইতে পারে। বোধ হয়, ওড়িশার গ্রীষ্মাধিক্যই ফল আগে পাকিবার কারণ । বিজয়নগর কি বিশাখাপত্তনে অন্যান্ত ফলও পাওয়া যাইতে পারে। বোধ হয় সেখানেও কলিকাতার আগে পাকিস্থা থাকে । তেলেগুদিগের ধুতী সাড়ী উড়ানীর ছাপ পাড় দেখিয়া প্রথমে মনে হইয়াছিল, সে সকল কাপড় সে দেশে তৈয়ারি হইয়া থাকে। এক কালে এ দেশ ছাপা কাপড়ের জন্ত প্রসিদ্ধ ছিল । মসলিপত্তন এখনও এই ফুদিনে পূৰ্ব্বখ্যাতি কিয়ং পরিমাণে রক্ষা করিয়া আসিতেছে। কিন্তু সমুদয় রাজামহেন্দ্রীর বাজার তন্ন তন্ন করিয়া দেখিলাম, মসলিপত্তনের দুই দশ খান নিকৃষ্ট ছাপা ছাড়া সমুদয় ছাপা কাপড় বিলাতী ! কলিকাতার বাজারে আমাদের পরিবার মত বিলাতী ধুতী চাদর দেখিয়া প্রথম প্রথম মনে হয়, বুঝি বাঙ্গলা দেশ ছাড়িলে বিলাতী ধুতী চাদরও সঙ্গ ছাড়িবে । কিন্তু তেলেগু রমণীর নিমিত্ত ১২।১৪ হাত সাড়ী হইতে পুরুষদের নিমিত্ত ৮৯ হাত ধুতী ও তদনুরূপ চাদর বিলাতে বুনা হইয়া ও পাড় ছাপা হইয়া তেলেগু দেশের বাজার পূর্ণ করিয়াছে । মনে হইত বাঙ্গলাই বুঝি পাশ্চাত্য সভ্যতার ঢেউয়ে পড়িয়া ভাসিয়া যাইতেছে, বেশভূষায়, আহারে আচরণে ইংরাজি অমুকরণে বেশ দক্ষতা লাভ করিয়াছে। কিন্তু দেখিলাম, বাঙ্গলা বরং পদে আছে, উন্মুক্তকচ্ছপ্রান্ত ছাপা পাড় ক্ষুদ্র ধুতী পরিয়া, গলায় নেকটাই বাধিয়া, বুকে ওয়েষ্ট কোট ও খোলা কোট বাহির করিয়া, অথচ আধুনিক রীতির ধূমে মাথায় ছাপা-পাড় পাগড়ী আঁটিয়া রাজপথে ভ্রমণ করিতে, ফটো তুলাইতে তেলেগু ভায়ার লজ্জা বোধ করেন না। ওড়িয়া ভায়ার প্রাচীন বেশভূষার আমূল সংস্কার করিতেছেন, এখন কৰে গলার মালাটি যায়, তাহারই অপেক্ষা করিতেছেন। সেইরূপ বোধ হয় তেলেগু ভায়ার কপালের ফোটার অন্তিম কাল দেখিবার প্রত্যাশায় বলিয়া আছেন । এ দিকে কিন্তু जानन गडाडाण्डरेशेन, भाप्य क्ड नारे, जडडः बिगाउँौ कूडा बूझे ५थन७ ङङ क्रगन श्ब्र माहे । जांउँौबठा ब्रक्र कब्रिाउ छांउँौग्न डांषांब्र कॐ जांबछक ! किड़