পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)సి ఆ প্রবাসী । [ ১ম ভাগ । সকল উদ্দেশ্র প্রকাশ হইয়া পড়িবে এবং আসামী ফেরার হইবে । সুতরাং সাহেব পাল্পীর ভিতর গিয়া বধূ সাজিয়া বসিলেন, চারজন মোট মোটা কাহার পাল্পী বহিয়া লইয়া চলিল, এবং দেশীয় দারোগ মহাশয়, ছোকর মানুষ, দেখিতেও বেশ মুঐ,—বরবেশে রাতারাতি নুতন তৈয়ারী হরিদারঞ্জিত পোষাক পরিয়া অশ্বারোহণে পান্ধীর সঙ্গে সঙ্গে যাইতে লাগিলেন । যত অপরাপর পেয়াদা জমাদার প্রভৃতি বরকত্ত্বা ও বরযাত্র সাজিয়া বাস্থ্যভাণ্ড করিয়া ধুমধামে মহাজন আলয়াভিমুখে প্রস্থান করিলেন । কথিত আছে যে, অপরাধী মহাজনের গ্রামে উপস্থিত হইয়া বরকস্তাকে একটা সরাই এ কিয়ৎকালের জন্ত আশ্রয় লইতে হইয়াছিল, কিন্তু সরাইস্বামিনী ভাটিয়ারী কস্তা দেখিবার জন্তু অত্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করিতে লাগিল এবং ক্রমশঃ তাহার সন্দেহ হওয়ায় নানাপ্রকার স্বশ্ৰাব্য ইতয় ভাষায় আগন্তুকদিগের অভ্যর্থনা করিতে লাগিল । তখন প্রকাশভয়ভীত বরের খুল্লতাত জমাদার সাহেব— ভাটিয়ারীকে লইয়া গিয়া ধীরে ধীরে পান্ধীর দ্বার উন্মুক্ত করিলেন এবং শিশুপালের ন্যায় রূপবতী বধূর মুখচন্দ্র দশন করাইলেন । পাঠক বুঝিতেই পারিয়া থাকিবেন যে, এবার বধূই তাহার দর্শনকারিণীকে কিঞ্চিৎ অর্থ উপহার দিয়াছিলেন, বধুর মুখ দেখিয়া কেহ তাহাকে কিছু উপহার দেয় নাই । যাহা হউক কিয়ৎক্ষণ পরে এই বিবাহ-অভিযান যুদ্ধাভিযানে পরিণত হইয়াছিল এবং মহাজনের সর্বনাশ হইয়াছিল । এইরূপে চোরধরা হইত। কিন্তু সাধুদিগের বিড়ম্বনাও কম ছিল না । ‘লাইনের চৌকী পার না হইলে কোন যাত্রীরই এক দেশ হইতে অপর দেশে যাইৰার উপায় ছিল না ; এবং চেকিতে উপস্থিত হইলে স্ত্রীপুরুষ গাড়ী ঘোড়া ৰাক্স পেটারা সকলেরই তন্ন তন্ন করিয়া তল্লাসী ল ওয়া হইত। যদি আtধ ছটাক মাত্রও নিষিদ্ধ লবণ কাছার ও নিকট পাওয়া যাইত, তাহা হইলে তাহার যন্ত্রণার শেষ থাকিত না এবং ক্ষতিপূরণ স্বরূপ তাহার দ্রব্য সামগ্রী এবং লবণবাহী গো অশ্ব যান শকট আদি বাজেয়াপ্ত হইত। এই সকল বস্তুর মূল্য হইতে অৰ্দ্ধভাগ গ্রেপ্তার কর্তা পাইতেন । গবর্ণমেণ্টের বাণিজ্য অক্ষুণ্ণ রাখিবার নিমিত্ত এইরূপে প্রতিনিয়ত প্রজাদের উপর উৎপীড়ন হইত। কারণ অনেক সময়ে বৃথা দোষারোপ করিয়াও উৎকোচ লইবার প্রথা যে প্রচলিত ছিল না, তাছা একেবারে বলা যায় না । মাচা হউক, যে লবণের কর আদায়ের জন্য এত কড়। আইন প্রচলিত ছিল, গবর্ণমেণ্ট তাহার জন্মস্থানগুলি ক্রমশঃ অধিকার করিয়া লইলেন । সান্তর হ্রদ মহারাজা জয়পুর ও মহারাজ যোধপুরের সম্পত্তি ; গবর্ণমেণ্ট যোগাড় যন্ত্র করিয়া উহার ঠিক লইয়াছেন এবং তজ্জন্ত উভয় দরবারকে প্রতি বৎসর রাজস্ব ( Royalty ) স্বরূপ অর্থ এবং উক্ত রাজদ্বয়ের মধ্যে ব্যবহার জন্য কিছু কিছু নিষ্কর লবণ ছাড়িয়া দিতেছেন । শুনিতে পাওয়া যায় যে, মহামতি হিউম সাহেব যখন লবণবিভাগের কমিশনার নিযুক্ত হন, তখন তিনি এই সুদীর্ঘ সীমারেখা ও তাহার কার্য্যপ্রণালী স্বচক্ষে পরিদশন পূৰ্ব্বক লাইন ভাঙ্গিয়া দিবার প্রস্তাব করেন ; এবং পরে যখন লবণের জন্মস্থানের চাবী গবৰ্ণমেণ্টের হস্তে আসিয়া পড়িল এবং আর তল্লাশী লইবার অবশ্যকতা থাকিল না, সে সময় হিউম সাহেবের প্রস্তাব কার্য্যে পরিণত হইল। অবশ্য ইহাতে সহস্ৰ সহস্ৰ লবণ-সেনানীবৃন্দের গৃহে গৃহে ক্রদনের রোল উঠিয়াছিল। এক্ষণে গবর্ণমেণ্ট সাম্ভর ই ত্যাদি লবণের জন্মস্থানেই কর আদায় করিয়া মাল ছাড়িয়া থাকেন । এই সেদিন পৰ্য্যন্ত সিন্ধুনদের তীরে পুরাতন লাইনের শেষ স্মৃতিচিহ্ন বর্তমান ছিল, কিন্তু কোহাট পৰ্ব্বতের লবণ খনি ংরাজের করায়ত্ত হওয়ায় তাহাও এক্ষণে উঠাইয়া দেওয়া হইয়াছে । এক্ষণে উত্তরভারতের লবণ-মহকুমার অধিকার বেহার হইতে কোহাট পয্যন্ত । কলিকাতার কারখানাগুলি গত জুন মাসে বঙ্গদেশীয় লবণবিভাগের অধীন করা হইয়াছে । এতদ্ভিন্ন মাত্রাজ ও বম্বে অঞ্চলেও জুই বিভিন্ন বিভাগ আছে। প্রত্যেক বিভাগ এক এক কমিশনার দ্বারা পরিচালিত । কেবল বঙ্গীয় লবণবিভাগ Bengal Customsa, etila এক্ষণে কোন কোন দেশে কি কি প্রণালীতে লৰণ প্রস্তুত হইতেছে, তাহার সংক্ষিপ্ত বর্ণন ৰোধ হয় অপ্রীতিকর