পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম ও ৯ম সংখ্যt । ] রেমন-সম্পাদক বিলাতপ্রত্যাগত নগেন্দ্রনাথ ঘোষ মঙ্গ... বঙ্গসাহিত্যের সেবক না হইলেও প্রায়শ্চিত্তের বলে কবির প্রিয়পাত্র হইয়। একাকী চারি পাচখানি পাত জুড়িয়া আঠারে উপবিষ্ট হইয়াছেন । বিলাতপ্রত্যাগত সিবিলিয়ান বন্ধুগণ তাঙ্গর ভুক্তাবশিষ্ট অসিদ্ধ তণ্ডল ও দগ্ধ লঙ্কার প্রসাদ লাভার্থ আহুত হইয়াছেন। বল। বাহুল্য, তাহারা কেই খিচুড়ীভোজের নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে শুভাগমন করেন নাই ! দুই একজন ব্যতীত দেশের গণ্য মান্ত সাহিত্যসেবকদিগের মধ্যে প্রায় কেইষ্ট খিচুড়ীভোজে বঞ্চিত হন নাই । পূঃ দ্বাপারে অনেক ক্রটি ঠক্রয় থাকে ; তজ্জন্ত যাঠাদিগকে নিমন্থণ করিতে ভুল চহয়। গিয়াছে, তাহারা যেন ক্ষুণ্ণ না হন । মণিহারা বাদ পড়িয়াছেন, তাeাদেরক্ট জোরকপাল । কেবল বিজ্ঞাপন বিশারদ গুরুদাস বাবুর বাদ পড়া নিতান্ত অত্যায় ইয়াছে। তিনি অধমতারণ মহাশয় লোক-পাঙ্গালা সাহিতা এ ভূল আমাজনীয় ! মহোৎসব প্রাঙ্গণের যে অংশে কবিকুল ভোজনে উপবিষ্ট, সেখানেই নাস্তানবুদের ছড়াছড়ি । কেবল “পদ্মার” কবির পরম সৌভাগ্য,-তিন বিলম্বে আসিয়াছেন বলিয়া সাদর সম্ভাষণ ও বিজয় মাল্য লাভ করিয়াছেন । বিক্রয় করিয়াই এতবড় হঠয়াছেন । “কল্যাণবর পদ্মার কবি আশিষে কল্যাণ ছানিয়া মস্তকে তোমার এই দান কবি মৃতনে দিতেছে ঢালিয়া ।” इंडानि i "অন্ধকবি” হেমচন্দ্র এবং “বেদব্যাস” নবীনচন্দ্র অপেক্ষাকুত অল্পেই অব্যাহতি লাভ করিয়াছেন । হেমেন্দ্র প্রসাদ, প্রভাতকুমার এবং অক্ষয়কুমার ( বড়াল মহাশয় ) যথেষ্ট আপ্যায়িত হইয়া ভোজনে নিযুক্ত হইয়াছেন, কিন্তু তাতাদের পাতে থাদ্য অপেক্ষ অখাদাই অধিক পড়িয়া গিয়াছে । কবিকুলের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ও দেবেন্দ্রনাথকেই ঝালের অত্যাচার অধিক পরিমাণে সহ করিতে হইয়াছে । রবীন্দ্রনাথের অপরাধের অন্ত নাই ;-তিনি পদো, গদো, গানে, গল্পে, নাটকে, উপন্যাসে, ও সম্পাদকীয় সমালোচনায় অকুতোভয়ে হস্তক্ষেপ করিয়া “খিচুড়ার” কবির নিকট অল্পে অব্যাহতি লাভ করিতে পারেন নাই । সুতরাং প্রবাসী ტ8¢ র্তাহার কথা স্বতন্ত্র । তাহার সমালোচনাও অনাবশুক । “অশোকগুচ্ছের” প্রিয় কবি প্রয়াগপ্রবাদী দেবেন্দ্রনাথ সেন মহাশয় যেন সত্য সত্যই শ্বশুরালয়ে-তালিকাসমাজে-মধ্যাহ্লভোজে ব্যাপুত এক একটি কবিতা যেন এক একটি চোথা চোপ বাণ ; তাড়াতে কটাক্ষ আছে,কৌতুক আছে,—কণবি মদনচেষ্টর ও অভাব নাই । অরিগুট এইরূপ : “এক অশোকে ফুল ফুটেছে শুনতে পাচ্ছি চার রকম, マ「ザ (Hな*ー ময়ুর গুলো ধচ্ছে প্যাকম পায়রা কচ্চে বক্‌বকম।” “অশোক গুচ্ছ' কি অশোক ফুলের গুচ্ছ ? এখনও এই নব পকাশিত কবিতাপুস্তক দর্শনের সেভাগা ঘটে নাই বলিয়াই কথাট। জিজ্ঞাস করিতে হঠল । কিন্তু "অশোকগুচ্ছের” কবির কবিতাবলীর সঙ্গিত একেবারে পরিচয় নাই, এমন কথা বলিতে প{fর না । তাতাতে ত স্নেহের মাত্রাই অধিক । কিন্তু "পিচুড়া”র কবি বলিতেছেন—তাতাতে সব আছে, কেবল স্নেহপদার্থের অভাবেই মোলায়েম হয় নাট, কেমন খসখসে ! যথা— “অশোকগুচ্ছে Saffro। আছে , মসলা আছে আছে কাশ্মীরি চাল, ঘেরতো টুকু জুঢ়লে পরে কেউ দিতন। গাল ।” পৃথিবীতে বলা এবং করার মধ্যে আকাশ পাতাল প্রভেদ, “যাহা বলি তাঙ্গষ্ট কর, মাচা করি তাহার অনুকরণ করিও না,”–এই নীতিরত্নমালা তত্ত্বোপদেষ্টার কণ্ঠহার। গোস্বামিপাদ তাঙ্গার মর্য্যাদা রক্ষা করিয়াছেন । তিনি বৰ্ত্তমান । রচনা প্রণালীর দোষ প্রদর্শনের জন্ত লিখিয়াছেন “অনুশ্বরে আপন জীবন দান করেছেন যারা, এদের ভাষা, বুঝতে হলে ভেকু হন তারা ।” কবি ভাবিয়া দেখেন নাই, এই কথাটা তাহার পক্ষে কত সত্য ! “অনুস্বর”টা কোন ভাবার কথা, আমরা তাহার তথাবিষ্কারে অক্ষম । কবি পাঠকগণকে অনেকবার অদ ধাতু বঞ করিয়া লইতে বলিয়া অভিল্পের স্থায় আত্মপরিচয় । --سس ۔ --3؟ ــــہ - ستاسیس۔ ۔ ۔