পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২৬ নিৰ্ব্বাচনে যে পার্থকা ਾਲ চষ্টয়াছিল, তাড়া ভারতীয় নাট্টাসাহিত্যের পরিণতাবস্তার পরিচয় বিজ্ঞাপক । রূপকে সংস্কৃত পাঠোর আধিক্য । তাতা সরল, সুব্যক্ত, — অনর্থক অলংকারভারে প্রপীড়ি ত নতে ; যেন আয়ু গৌরবে সমুচ্ছ,সিত প্রস্রবণর অনাবিল সলিলধারা । উপরূপ কে প্রারতের প্রাবলা ; সংস্কুতের আড়ম্বর কেবল শব্দ ঋক্ষারে ও অলঙ্কারঝনৎকারে যেন নিয়ত খন খন করিয়া উঠিতেছে । সভাসমাজে দুই শ্রেণীর সাহিতারসিক দেখিতে পাওয়া যায় । এ ক শ্রেণী মাৰ্জ্জতরুচির অনুরাগ । ইঙ্গিতেই পরিতৃপ্ত । অল্প শ্রেণী ষ্টলরুচির পক্ষপাতী —ম্পষ্ট ভাষা, স্পষ্ট ভাব ও স্পষ্ট রস প্রার্থনা করে । তজ্জন্ত সঙ্গিতা দ্বিধা বিভক্ত । সে কালের নাট্যসাহিত্য বোধ হয় এইরূপ দ্বিধা বিভক্ত তষ্ঠয় রূপক ও উপরূপক নাম ধারণ করিয়াছিল। রুচিপার্থক্যই উভয় শ্রেণীর নাটাসাহিত্যের প্রধান পার্থক্য । সাহিত্যরুচির বিশুদ্ধভাব উপরূপকে কিয় ২পরিমাণে বিরুত হইলেও, ঐতিহাসিক তথ্যে উপরপক উপাদেয়। দেবী ছাড়য়া দাসীতে অনুরক্ত নরপতি, উত্তম ছাড়িয়া অধমে প্রেমাসক্ত উদ স্তনায়িক, উপরূপক ভিন্ন রূপকে দেপিতে পাওয়া যায় না । শাস্ত্র এবং লোকচরিত্র সমান হয় না ; শাস্ত্র যাঙ্গকে নিন্দ করে, লোকে তাঙ্গ সম্পূর্ণরূপে পরিষ্ঠার করিতে সক্ষম হয় না। রূপকে শাস্বমর্যাদা সুরক্ষিত ; উপরূপকে লোকচরিত্র বিকৃত করিয়া শাস্বমর্যাদ। সুর ক্ষত হয় নাই । তজ্জন্য উপরূপক সমাজচিয়ে সমুজ্জল ৷ রূপকের পাত্র পাত্রী আদর্শ নরনারী ; উপরূপকের পাত্র পাত্নী সংসারের রক্তমাংসের অসম্প, জীব | তাঙ্গর স্বাভাবিক মানুষ ; তান্তাদের আচার ও অধাবসায় গুলিও স্বাভাবিক – স্বতরাং কিছু অসংযত, কিছু অসঙ্গত, কিছু নিন্দনীয! তক্ষষ্ঠ তাঙ্গদের ভাষাও অপেক্ষাকৃত উচ্ছঙ্গল । কি রূপক, কি উপরূপক, ভারতীয় মাটা সাহিত্যের কুয়াপি বিয়োগাস্ত আখ্যানবস্তু দেখিতে পাওয়া যায় না। বিয়োগাস্থ আধ্যায়িকা পাঠ কচিত্তে বিষণ্ণতা আনয়ন করে, বিয়োগান্ত দৃশুকাবা অভিনয়কৌশলে প্রত্যক্ষবং প্রদশিত হইয় লোকচিত্ত প্রিৰিয়োগকাতর করুণরসে অভিভূত א9rrr אסלאriא ואל ההחלr f והזאיר, היה זלילהאוא הסלאזה ו אריזו? প্রবাসী ১ম ভাগ । কিন্তু ভারতীয় নাট্যসাহিত্যের মূল সূত্র ছিন্ন হইয়া যায়। মিলনের প্রণালী. উদঘাটন করিয়া মিলনানন্দে নাটাবসান করাট ভারতীয় নাট্যের বিশেষত্ব। তজ্জন্য কোন পাত্র বা পাত্রীর মুখ দিয়া কবি সৰ্ব্বশেষে বলাটতেন, “অত:পর আর কি প্রিয়কার্যা সাধন করিব ?” অভিনয়াস্তে দর্শকচিত্তে মোটের উপর যে ভাব বদ্ধমূল হয়, তাহাই স্থায়ী ভাব । সংস্কৃত নাটাসাষ্ঠিত আনন্দকেই স্তানী ভাব বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিল। আথায়িক বর্ণনকালে যাহা কিছু আশঙ্কা, উদ্বেগ, পরিতাপ, পরদেবনা, গ্রন্থশেষে তৎসমস্ত আনন্দসাগরে নিমজ্জি ত তহঁত। ইহাতে ভাব ও রসের সামঞ্জস্ত রক্ষিত হইয়াছিল ; এবং আননাকে সৰ্ব্বোপরি আসন প্রদান করায়, নাট্যসাহিতা চিন্তুবিনোদনের উৎকৃঃ পষ্ঠ। গ্রহণ করিয়াছিল । অভিনয়কৌশলের ন্যায় রচনাকৌশলে ও বিচিত্ৰতা লক্ষ্য করা যায়। রচনাকৌশলের সাধারণ নাম বৃত্তি । তাঙ্গ ভারতী, সা দ্বতী, কৈশিকী, ও আরভটী নামক চারিভাগে বিভক্ত। রক্তিচতুষ্টয়ের দ্যায় প্রবৃত্তিচতুষ্টয়ও পরিচিত ছিল ; —তাঙ্গার নাম আবক্ষ্মী, দক্ষিণাত্য), পাঞ্চালী, ও ওড়মগধী । রসভেদে রক্তি এবং দেশভেদে প্রবৃত্তি প্রচলিত হইয়া ভারতীয় নাট্য-সাহিতো এত বিচিত্ৰতা আনয়ন করি%ছিল । শৃঙ্গারে কৈশিকা, বীরে সাত্বতী, রৌদ্র ও বীভৎসে অীরভটা এবং শাস্থাদি রসে ভারতী বৃত্ত্বি প্রযুক্ত হইত । উপরূপকে কৈশিকা বুত্তির প্রাধান্ত লক্ষ্য করা যায় । দক্ষিণাতো কৈশিকী বৃত্তির সমাদর ছিল ; অবন্তী প্রদেশে সাত্বতী ও কৈশিক বৃত্তি মর্যাদা প্রাপ্ত হইয়াছিল; পাঞ্চলিদেশে সাংতী ও অারভটী বৃত্তির প্রাবলা সংস্থাপিত হইয়াছিল । বৃত্তি ও প্রবৃত্তি ধরিয়া বিচারে প্রবৃত্ত হইলে দেখা যায়,— ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বীর, রৌদ্র ও বীভৎস রসের আতিশযা থাকায়, তত্ত্বং দেশে উপরূপক অপেক্ষ, রূপকের আদর অধিক ছিল । অবন্তী প্রদেশে বীর ও শৃঙ্গার রসেন আতিশয্য থাকায়, তথায় রূপকের ন্যায় উপরূপকের ৫ প্রভাব প্রকাশিত হইয়া ছল। দক্ষিণাত্যে শৃঙ্গাররসের আতিশয্য থাকায়, তথায় রূপক অপেক্ষ উপন্ধপকই সম BB BB BB BB BBBB S B BBDDD TDDD