বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী | সৰহভান হরৎ ক্ষে সম্পাদন কা সংবরণ করা কটন কইরা পড়ে। i৫৪ সালে ( ১৩৫৩ খ্ৰীষ্টাকে ) বলা বাহুল্য, ইহাতেই তৎকালের সমৃদ্ধির পরিচয় সম্পঃ .oፃv . ਾ” নামক হস্তলিখিত লিবিয়া গিয়াছেন,—"হিজরী দিল্লীশ্বর ফিরোজশাহ গোঁড়াধিপতি সামসুদ্দীন ইলিয়াসকে বশীভূত করিবার আশায় মালদহে সেনাসমাবেশ করিয়া পৌণ্ডবদ্বল অবরোধ কবিয়াছিলেন। তৎকালে নগরতোরণ সম্রাটের "সরাই” রূপে ব্যবহৃত হইয়াছিল।” ফিরোজশাহ পৌণ্ডবৰ্দ্ধন অবরোধ করিবার কথা ইতিহাসে উল্লিখিত আছে । তিনি মালদহে সেনাসমাবেশ করিবার কথা ইলাহিবক্সের পূৰ্ব্বেও লোকসমাজে সুপরিচিত ছিল। রিয়াজরচয়িত গোলাম হোসেন সলেমী তাহার উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। মালদহের একটি পল্লী এখনও "ফিরোজপুর” নামে কথিত হইয়া আসিতেছে । এই সকল কারণে “কাটরাকে” দুর্গদ্বার বলিয়াই স্বীকার করিতে হয়। তাহা এখন প্রশান্ত ভাবে ধ্বংসকালের প্রতীক্ষায় নীরবে দিন গণনা করিতেছে। পুরাকালে কত কলহ কোলাহল তাহাকে নিয়ত মুখরিত করিত, কত জয় পরাজয় তাহাকে রুধিরাক্ত করিত, কত বীর প্রতাপ তাহার সম্মুখবর্তী হইয়া সহসা স্তম্ভিত হইয়া পড়িত –সে কাহিনী এখন জনসমাজ হইতে বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে ! - মুসলমান শাসন প্রবর্তিত হইবার পর এই প্রদেশ দীর্ঘকাল মুসলমানের রাজধানীরূপে ব্যবহৃত হইয়াছিল। তজ্জন্ত বৌদ্ধ এবং হিন্দু যুগের পুরাতন নিদর্শন বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে।" এক সময়ে এই নগর বাণিজ্যের জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। তাহাতে আকৃষ্ট হইয়াই বাদশাহ আরঙ্গজেবের অনুমতি গ্রহণ করিয়া ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী ১৬৮৬ খৃষ্টাব্দে ইহার অদূরবর্তী ইংরাজবাজার নামক স্থানে বাণিজ্যালয় সংস্থাপিত করিয়াছিলেন। মালদহের প্রধান রোজপথের উভয়পাশ্বে যে সকvা অট্টালিকা বর্তমান আছে, তাহার কক্ষগুলি এরূপ ক্ষুদ্রায়তন যে তাহার প্রতি দৃষ্টি

  • Sultan Firuz Shah in the year 754 H set out for Lakhnauti, and after forced marches, reached close to the city of Pandua, which was then the metropolis of Bengal. The Emperor encamped at a place which is sti11 called. “Firuzabad,”---Riaz, p. roo.

+ কোম কোন মুসলমান মস্জেদে হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিয় হইতে অপহৃত প্রস্তরাদি এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। পুরাতন বিলুপ্ত হইয়াছে ८कन, श्झांtङहे छांशंब्र उवांछांम थांख इ७ग्न यांग्र । ৭ম ভাগ। প্রকটিত হইয়া রহিয়াছে। ● নিমাসরাই । মালদহের অনতিদূরে, মহানন্দার অপর তীরে, নিমাসরাই নামক একটি পল্লী দেখিতে পাওয়া যায়। তাহ আজ কাল মালদহের প্রসিদ্ধ আমের প্রধান বাণিজ্য স্থান বলিয়৷ পরিচিত হইয়াছে। সেকালে এখানে একটি প্রস্তরনিৰ্ম্মিত অত্যুচ্চ প্রহরীমন্দির প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। তাহার শিখর দেশ ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, কিন্তু এখনও যাহা আছে, তাহাতেই পৰ্য্যটকগণ তাহার প্রতি বিস্ময়বিস্ফারিত নেত্রে দৃষ্টিপাত করিয়া থাকেন। এই প্রহরীমন্দিরের বহির্ভাগে বহুসংখ্যক প্রস্তরকীলক সংযুক্ত থাকা দেখিতে পাওয়া যায়। কেছ তাহার প্রয়োজন ব্যক্ত করিতে পারেন না । দেখিলে মনে হয়,—মন্দির রচনা করিবার সময়ে এই সকল কীলক অবলম্বন করিয়া শ্রমজীবিগণ ইতাতে আরোহণ-অবরোহণ করিত, কিন্তু এরূপ অনুমান নিতান্ত অসঙ্গত । রচনা কাৰ্য্য শেষ হইবার পরেও এই সকল কীলক দূরীকৃত হয় নাই কেন ? ইহাতেই বোধ হয়,— কীলকগুলি অবশুই অন্ত কোনও প্রয়োজন সাধনের জন্ত সংযুক্ত হইয়া থাকিবে। সে প্রয়োজন কি ? শত্র সেনার আগমন সংবাদ প্রচারত করিবার জন্ত তাহাতে মশাল বাধিয়া দেওয়া হইত,—এইরূপ একটি জন । শ্রুতি প্রচলিত আছে। প্রকৃত প্রয়োজন যাহাই হউক, তাহা যে প্রহরীমন্দিরের কার্য্য সাধনের জন্যই এরূপভাবে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহাতে সংশয় উপস্থিত হয় না। মহানন্দার উভয়তীরে এইরূপ দুইটি প্রহরীমন্দির দেখিয়া স্পষ্টই বুঝিতে পারা যায়, এক সময়ে এই স্থান সবিশেষ সুরক্ষিত । ছিল। বিপ্লবযুগে প্রধান প্রধান বাণিজ্য স্থানেও নগর- ; প্রাচীর এবং নগরতোরণ নিৰ্ম্মিত হইত। ভারতবর্ষে সেরূপ : সুরক্ষিত বাণিজ্যস্থানের অনেক নিদর্শন এখনও দেখিতে । পাওয়া যায়। রাভেনশ পুরাতন মালদহের সকল ধ্বংসাব- , শেষের পরিচয় প্রদান করেন নাই। এই স্থানে আরও ৷ অনেক ধ্বংসাবশেষ পড়িয়া রহিয়াছে। কতকগুলি বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য। .