বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r å والسواره t প্রদান করেন নাই। নচেৎ, জানিতেন যে, অতি শৈশবাবস্থাতেও কাৰ্য্যামু রক্তি এখুন প্রবল হয় যে শিশুরা লিখিবার আদেশ পাইলে যেমত সন্তোষ প্রকাশ করে এবং তৎকর্শ্বে যেমন মনঃসংযোগ করে, শুদ্ধ বছি খুলিয়া ক, খ, গ, প্রভৃতি অক্ষরগুলির প্রতি পুনঃ পুনঃ দৃষ্টিপাত করিতে কদাপি তেমন সন্তুষ্ট বা মনোযোগী হয় না । লিখিবার সময় যতগুলি ইঞ্জিয়ের এবং মনোবৃত্রির পরিচালন হয় কেবল অক্ষরগুলির দিকে চাহিয়া থাকিতে গেলে কখনই তত হয় না। এই জন্ত শিশুরা লিখিতে যত গুলবাসে প্রথমতঃ পড়িতে তেমন ভালবাসে না । অপরন্তু কেহ কেহ বলিয়। থাকেন, লোকে আগে কথা কয় পরে লেখে, অতএব লেখা শিক্ষা শেষেই প্রকৃতিসিদ্ধ নিরম । তাহারা বিবেচনা করুন যে, লেখার অগ্ৰে কথা কহ হয় বলিয়৷ লেখার পূর্বে পাঠ করা হইতে পারে না । ফলতঃ এই বিষয় উপলক্ষ্যে অধিক বাক্যব্যয় করা অনলগুক ! একেবারে লিখন ও পঠন শিক্ষা দেওয়াতে যে বিশেষ ফল দর্শে ওtহা পরীক্ষা করিয়া দেখিলেই প্রতীত হইবে।” বিশেষতঃ বাঙ্গালায় পুস্তকের ও হাতের লেখা একই প্রকার, যে অক্ষরটি হাতে করিয়া লিখিতে চেষ্টা করিবে সেই অক্ষরটি মুদ্রিত পুস্তকে পড়িলে তাহার আকার সহজেই সদ্‌গত হয় এবং উত্তমরূপ মনে থাকে। মুখে বানান অভ্যাস করা প্রচলিত রীতির তৃতীয় দোষ। ইহার কতকটা আভাস প্রথমাংশে দেওয়া হইয়াছে । লিখিত শব্দের রূপ বা আকার স্মরণ রাখাই বানান শিক্ষার উদ্দেশু। রূপ বা আকার দর্শনেন্দ্রিয়েরই গ্রাহ, শ্রবণেন্দ্রিয়ের নহে । শ্রবণেন্দ্রিয়ের সাহায্যে বানান শিক্ষা উত্তম হয় না। বানান মুখস্থ করিতে ধ্বনিগুলি কিছু মনে থাকে বটে কিন্তু এইরূপে শিক্ষা করা অত্যন্ত আয়াসসাধ্য। বিশেষতঃ, কেবল কথা কহিবার জন্ত বানান পরিচয় হইবার আবশুকতা নাই। তবে কাহারও কাহারও দৃষ্ট বিষয়ের স্মৃতি অপেক্ষা শ্রত বিষয়ের স্মৃতি অধিক প্রবল হয়। সেই স্থলে শ্রবণেন্দ্রিয়ের সাহায্য অধিক পরিমাণে লওয়া যাইতে পারে। প্রধানতঃ দর্শনেন্দ্রিয়ের সাহায্যে অর্থাৎ লিখিয়া এবং পড়িয়া বানান শিক্ষা করাই প্রকৃতিসিদ্ধ। পড়া অপেক্ষ লেখাতে দর্শনক্রিয় উৎকৃষ্ট রূপে হয়। কেবল দৃষ্টিপাত করিলে কোন পদার্থের আকারের সুগ্ম সুক্ষ্ম অঙ্গের প্রতি বিশেষ মনোযোগ হয় না। হস্ত দ্বারা সেই আকারের প্রতিরূপ করিতে চেষ্টা করিলে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অঙ্গের প্রতি মনোযোগ পড়ে ও আকারটি স্মৃতিপটে দৃঢ় ভাবে .অঙ্কিত হয়। যিনি একটু আঁকিতে চেষ্টা করিয়াছেন তিনি ইছা বিশেষ রূপে বুঝিতে পরিবেন। অতএব লিখিয়া এবং পড়িয়াই বানান অভ্যাস করা কর্তব্য। লেখা পড়ায় একটু অগ্রসর হইলে শিশুদিগের নিদিষ্ট পাঠের পর শ্রুতিলিপির ৭ম ভাগ । ব্যবহার मन्न नग्न । করিয়া” পড়ান হয়। ইহাতে তাহান্না কখনও সুচারুরূপে পাঠ করিতে শিখে না। আটকাইয়া আটকাইয় পড়া অভ্যাস হয়। কেহ কেহ লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন যে পল্লীগ্রামের অল্পশিক্ষিত লোক কাশীদাসের মহাভারত বা কৃত্তিবাসের রামায়ণ পড়িবার সময় প্রতি ছত্রে দুই একটি শব্দ মুখে বানান না করিয়া পড়িতে পারে না । শব্দগুলি অপরিচিত বলিয়া যে তাহার এরূপ করে তাছা নহে। কুড়িবার রামায়ণ মহাভারত শেষ করিয়া এবং অনেকাংশ কণ্ঠস্থ হইয়া গেলেও আবার পড়িতে হইলে অভ্যাস বশতঃ তাহারা সেইরূপ বানান করিয়া পড়িবে। বাঙ্গালার বর্ণমালা সংস্কৃত হইতে গৃহীত। ইহার এক বর্ণের একই ধ্বনি এবং এক একটি ধ্বনির জন্ত এক একটি বর্ণ ; এবং সভ্য সমাজের প্রায় সকল প্রকার স্বাভাবিক ধ্বনি ইহার সাহায্যে লিখিতে ও উচ্চারণ করিতে পারা যায়। এরূপ সুচারুরূপে বিন্যস্ত বর্ণমালা হিন্দুস্থানের বাহিরে আর কোন ভাষায় পাওয়া যায় না । ইহা আমাদিগের শ্লাঘার বিষয় সন্দেহ নাই। কিন্তু এই সুবিন্যাস যে আমরা সম্পূর্ণ রূপে রক্ষা করিতেছি না তাহাতে ক্ষুব্ধ হওয়া এবং দোষের নিবারণ করিতে তৎপর হওয়া আমাদের একান্ত কৰ্ত্তব্য। ख, य ; १, न ; শ, ষ, স ; ব, ব ; অ, ও (যথা ‘অক্ষর’কে ওক্ষরের’ দ্যায় উচ্চারণ করা হইয়া থাকে) ; এবং ই, ঈ ; উ, উর প্রভেদ উচ্চারণে বড় রক্ষা হয় না। অক্ষর পরিচয় হইবার সময় এবং বানান করিবার সময় মুখে হ্রস্ব ই দীর্ঘ ঈ ; বর্গীয় জ, অস্তস্থ য ; তালব্য শ, দস্ত্য স, প্রভৃতি বলা হয় বটে, কিন্তু স্বাভাবিক প্রভেদ অনুসারে আমরা উচ্চারণের প্রভেদ করি না। পড়িবার ও কথা কহিবার সময় উচ্চারণের প্রভেদ লক্ষ্য না করার জন্ত বানান মুখস্থ করিবার আয়াস স্বীকার করিয়াও অনেক লোক শুদ্ধ ফরিয়া সকল কথা লিখিতে পারে না । অথচ উচ্চারণের প্রতি শিক্ষক মহাশয়েরা ও শিক্ষিত লোকের লক্ষ্য করিলে শুদ্ধ লিখিতে একটুও ক্লেশ হইবার কথা নহে। যেহেতু এক বর্ণের একই উচ্চারণ নির্দিষ্ট আছে। যদি প্রথম হইতে শিশুদিগকে যথাযথ উচ্চারণ করিতে শিখান হয়, তাহা হইলে শুদ্ধ লিখিবার জন্য তাহাদিগকে যে এত পরিশ্রম ও এত সময়ক্ষেপ করিয়া