বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ .....". সংখ্যা । ]

  • =«مه. په**sه..***"ه ه.ه

একবার আজ্ঞা যাচি, রচি গৃহদ্বার। বর্ষগত না হইতে সোনার বরণ হয়ে উঠে ধান্ত’ক্ষেত্ৰ শস্ত ভার লয়ে। ইহা নহে অরাজক সে রাজ্যের সম, গুহ দ্বার হতে হেথা দিবেন তাড়ায়ে, তোমাদের ধন রত্ন লবেন। লুটিয়া ।”

  • এই কথা বলি তার বিস্ফারি ত অঁাথি

নাসারদ্ধে ঘন ঘন বহিছে নিঃশ্বাস, সজোরে প্রহার করে সম্মুপের সেই আসন উপরে, তার দৃঢ় মুষ্টি কবে। আগত অতিথি সবে চমকিত হয়ে রহিল চাহিয়া শুধু। বৃদ্ধ পুবোহিত যতনে দিলেন করি চেতন তাঙ্গর । হাসিয়া আবার লভি আপনার জ্ঞান স্বমস্ত কহিল “ইহা পীড়া শুধু এক এর কথা মনে কিছু কোরোনা তোমরা” । সহসা দুয়ার পথে হল কোলাতল, পদশব্দ হল শ্রুত নিকটে তাদের । সুমন্তের আজ্ঞা পেয়ে, দেশবাসী যারা স্বমস্তের তরণীতে এলো নিৰ্ব্বাসনে, নিকটেই রচি গৃহ আছে মুখে তারা, এসেছে ভেটিতে তারা পুরাণ বন্ধুরে । {ক আনন্দময় সেই মিলন আবার, বন্ধুসব পরস্পরে করে আলিঙ্গন, যারা নিৰ্ব্বাসনে ছিল, যেন অজানিত পুন নব প্রেমডোরে করিছে বন্ধন। আবার বাজায়ে বীণা স্নমধুব স্বরে মহিমা ধরিল গান, সেই গীতধ্বনি বীণার মধুর ধারা মাদকের সম পরশিল উল্লসিত হৃদয় সবার। আনন্দে ভুলিয়া তৃঃখ, পাশরি আপন সেই সুরে নৃত্য করে উন্মাদের মত। নয়নে উজ্জ্বল জ্যোতি উড়িছে বসন কি আনন্দ প্রভাসিত হল সেই ঘরে । এই সব কোলাহলে না মিশে না মিলে, পুরোহিত সাথে বসি সুমন্ত স্বধীর গোপনে কহিছে দূর ভবিষ্যৎ কথা । নলিনী দাড়ায়ে দূরে মোহমুগ্ধ প্রায়, পুরাতন স্মৃতি যেন উজল হইয়া জাগিয়া উঠিছে সেই আনন্দ সঙ্গীতে। শ্রবণে বাজিছে তার সমুদ্রের বাণী বিষাদের স্নান ছায়ে ভরিল হৃদয়। নলিনী চলিল ধীরে উদ্যান ভিতরে দলিত কুহুম। কেহ দেখিল না তায়, স্বন্দর রজনী १०७ কাননের কালো সেই প্রাচীর উপরে, ছড়ায়ে রজত ধারা উঠিয়াছে শশী, কম্পিত শাখায় জলে শুভ্র সে জ্যোছনা ;— প্রেমের মধুর যেন কল্পনার সম প্রণয়ীর অন্ধকার মরুময় বুকে । নলিনীর কাছে ফুটে সোনালী কুসুম ঢালিছে সুলাস রাশি, ঈশ্ববের কাছে সেই যেন তাহাদূের প্রার্থনা জানায়। তা হতে ও পুর্ণ সেই প্রেমেব সৌরভ যেন রজনীর ছায়ে শিশিরেতে নত জাগিছে নলিনী বুকে । নীরব জ্যোছন সেই কুহকের সশ জাগাইয়া দিল আকুল প্রাণেতে তার মিলন কামনা । ছাড়ায়ে কানন দ্বার বৃহৎ পাদপ 象 নলিনী চলিল দুর কাননের পথে। নীরব নিস্তব্ধ পথ জ্যোছনায় স্নাত জোনাকীর দল করে আলো বিকিরণ ংখ্যা নেই তার যেন । উপরে আকাশে জাগিছে নক্ষত্ৰকুল, যেন তারা সব দয়াময় ঈশ্ববের কল্পনার সম । এই তারকার আর জোনাকীর আলো পশিল নলিনী বুকে, সাবেশে অধীর কহিল সে মুক্ত কণ্ঠে “বিমল আমার কাছে আছ তবু প্রিয় পাইন দেখিতে, সে মধুর কণ্ঠস্বর পশেনা শ্রবণে, কত দিন হেথা তুমি ভ্ৰমিয়াছ একা, এই বনশোভা প্রিয় হেরেছ নয়নে । কত দিন শ্রমকান্ত, পাদপের তলে এই খানে এসে প্রিয় পড়েছ ঘুমায়ে। স্বপনে আমার দেখা পেতে প্রতিদিন । কবে আর বল প্রিয় হেরিব নয়নে বাধিব বাহুর পাশে আবার তোমায় ?” সহসা বিহগ এক উঠিল গাহিয়া, তার সে মধুর স্বর কাননের বুকে ভাসিল বঁাশরা সম, দূরে অতি দূরে ঘন কাননের ছায় গেল মিশে ধীরে । “শাস্ত হও” ঘন শাখা জুলাইয়া ধীরে কহিল পাদপ সব অন্ধকার হতে । জ্যোৎস্নামাত মুক্ত সেই প্রান্তর হইতে উঠিল নিঃশ্বাস ধীরে “পাবে তারে কাল।” উজ্জ্বল রবিরে নিয়ে এল পর দিন, কাননের ফুলবালা, শিশিরাশ্র দিয়া ।