বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রিয়বালা.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ। २& আমার দেখাই বা কিরূপে পাইবে ? অার টাকার অভাবে তোমাদেরই বা কি হইবে । তাই বলিতেছি যে, এখন যেমুন আমার স্বাক্ষরে সকল কাৰ্য্য সমাধা হয়, সেইরূপ আমার অবৰ্ত্তমানে তোমার দ্বারাই সেই সকল সম্পাদিত হইবে ; অর্থাৎ বিষয় একই রহিল, কিন্তু এখন হইতে তোমাকেই সকল পৰ্য্যবেক্ষণ কুরিতে হইবে।” - মনের আনন্দে নীরদ বলিয়া উঠিলেন, “তা বেশ ত, আপনার বাহা ইচ্ছ। তাহাই করুন। ইহাতে আর আমার অমত কি ? তবে অতুল এখানে নাই, তাহার মতামত কিছুই জানিতে পারা গেল না ; যদি সে কোনরূপ অমত করে !” প্রবোধবাবু কহিলেন, “অতুল আমাদের সর্ব কনিষ্ঠ। বিশেষ সে তোমাকে একান্ত ভক্তি করে। সে যে আমাদের কথার দ্বিরুক্তি করিবে, তাহ সম্ভবে না । তবে এসকল বিময় জানাইয়া তাহাকে একখানি পত্র"লেখ ।” নীরদ বলিলেন, “বে আজ্ঞা।—আমার হাতে একটা মুমূর্বরোগী আছে ; একবার সেইখানে যাইতে হইবে। এগন তবে আসি । আবার বৈকালে আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিব।” এই বলিয়া নীরদবাবু ধীরে ধীরে আপন কক্ষে গমন করিলেন। সংসারক্ষেত্রে নীরদচন্দ্র ৰ্তাহার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একটী উপযুক্ত সহায় পাইয়াছিলেন। সে মস্ত্রে নীরদচন্দ্র দীক্ষিত, সেই মন্ত্র মোহিনীরও জপমাল। মিত্ৰ-সংসারে তিনিই একমূত্র গৃহিণী হইবেন, আর সকলে তাহার পান ঠ ईश्व থাকিবে, এই উচ্চ আণ রমণীদ্বয়ে সযতনে রোপিত ও রক্ষিত হইয়াছিল ; এই উদ্যে সফল করিবার জন্য, এই পথ পরিস্কার করিবার দন্ত মোহিনী না পারে এমন কাৰ্য্য এ জগতে অতি বিরল।