বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७फुांकांनौद्ध ठांकूव्र विश्† י শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুর যশোবন্ত ঠাকুরের দ্বিতীয় পুত্ৰ শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুর বাংলা ১২১৮ সালে ফাত্তনী মধুকৃষ্ণা ত্ৰয়োদশীতে মহাবারুণী দিবসে ব্ৰাহ্ম মুহুর্তে সাফলীডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চম বর্ষের সময় তাহাকে গ্ৰাম্য পাঠশালায় বিদ্যাশিক্ষার্থ প্রেরণ করা হয়। সে কালে পাঠশালার বিদ্যা সমাপ্ত করিয়া শাস্ত্ৰাদি গ্ৰন্থ পাঠ করিতে পারিলেই বিদ্যাশিক্ষা শেষ হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইত। প্ৰাতঃকালে পাঠশালা বসিত। বিকালে ছাত্রেরা মাঠে গাভী চরাইত। সাফলীডাঙ্গার প্রতিগ্ৰহস্থের বহুদুগ্ধবতী গাভী ছিল। হরি ঠাকুর অন্যান্য রাখাল বালকের ন্যায় মাঠে গরু চরাইতেন। তিনি বাল্যকালে বড়ই চঞ্চল প্ৰকৃতির ছিলেন। তিনি পিতামাতার কথায় বড় একটা কৰ্ণপাত করিতেন না। নিজেব যাহা ইচ্ছা তাহাই করিতেন। তঁহার দৌরাত্ম্যে পল্লীবাসী সকলেই বিরক্ত হইয়া উঠিত। কিন্তু তঁহার মানুষকে মুগ্ধ করিবার অসাধারণ শক্তি ছিল। কাহারও কোন অনিষ্ট করিলেও সে ঠাকুরকে দেখিবামাত্র তাহা ভুলিয়া যাইত। তিনি অত্যন্ত দুঃসাহসী ছিলেন। গৰ্ত্ত হইতে বিষধর সর্প বাহির করিয়া তাহা লইয়া খেলিতেন এবং পদ্মপুরাণ, মনসা-ভাষাণ ও বেহুলার করুণ কাহিনী গাইতেন। নাটু এবং বিশ্বনাথ নামে দুই রাখাল বালক সতত তাহার সহিত থাকিত । ইহারা উত্তরকালে হরিঠাকুরের পরম ভক্ত হইয়াছিল। যশোবন্ত ঠাকুর ও অন্নপূর্ণ দেবী কখন কখন শ্ৰীহরি ঠাকুরকে ভগবান বলিয়া জ্ঞান করিতেন। অতি বাল্যকাল হইতেই তাহার রাখালদিগের সহিত ক্রীড়ার মধ্যে নানা কাৰ্য্য তাহার অলৌকিকত্ব প্ৰকাশ করিত । বস্তুতঃ তাহার রাখালিয়া খেলার মধ্যেই অনেকে তঁহার ঈশ্বরত্ব অনুভব করিত। লীলামৃত গ্রন্থে ঠাকুরের বাল্যলীলা সম্বন্ধে এই প্রকার উল্লেখ আছেঃ “মহাপ্ৰভু বাল্যকালে রাখিতেন। গরু। ধরিয়া গোপাল বেশ বাহাকল্পতরু ৷