বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ NO BB DDBDBDB S DBDBDB BDBD S DBBDBDBD SDBDuD S DBDB তাহাদের সহিত নানা বিষয়ের আলোচনা হইতে লাগিল । ঠাকুর মহাশয়ের চেষ্টায় এবং দেশবাসীর অত্যন্ত আগ্রহে দেশের স্থানে স্থানে বড় বড় সভার আয়োজন হইতে লাগিল। দেশে উন্নতির এক নবযুগ আসিল । নমঃ শূদ্রমাত্রেই শিক্ষার দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল । বালিকাদের শিক্ষার জন্য ওড়াকান্দীতে একটী উচ্চ প্ৰাইমারী বিদ্যালয় স্থাপিত হইল এবং গ্রামের ও পার্শ্ববৰ্ত্তী স্থানের বহু বালিকা বিদ্যাশিক্ষা করিতে লাগিল। এই প্রকারে শিক্ষা নারীসমাজের মধ্যেও প্ৰচলিত छ्छ्रेल । ইংরেজী ১৯০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘ওড়াকান্দী হইতে নমঃশূদ্ৰ জাতির উন্নতিকল্পে “নমঃশূদ্র-সুহৃদ” নামক যে মাসিক পত্রিকা বাহির হয়, গুরুচরণ ঠাকুর মহাশয় তাহার স্বত্বাধিকারী ছিলেন। পরলোকগত আদিত্য কুমার চৌধুরী মহাশয় তাহার সম্পাদক ও ঠাকুর মহাশয়ের কনিষ্ঠ পুত্ৰ স্বৰ্গীয় সুরেন্দ্ৰ নাথ ঠাকুব তাহার কৰ্ম্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এই পত্রিকা তখন নমঃশূদ্র জাতির মধ্যে শিক্ষা, ব্যবসায়, বাণিজ্য, কৃষি, শিল্প, রাজনীতি ও সমাজনীতি বিষয়ক প্ৰথম মাসিক পত্রিকা। ইহা জাতির অশেষ কল্যাণ সাধন করিয়াছে। বলা বাহুল্য যে এই পত্রিকা ডাঃ মিডের পরামর্শ অনুসারে বাহির করা হইয়াছিল। ওড়াকান্দী মিশন স্থাপন করিয়া ডাঃ মিড ঠাকুর মহাশয়কে তাহার প্ৰতি কাৰ্য্যে বিশেষ সহায়করূপে প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। ঠাকুব মহাশয়ও জাতির উন্নতির জন্য নানা কাৰ্য্যে ডাঃ মিডের সহিত পরামর্শ করিতে লাগিলেন। নমঃশূদ্র জাতি আর্থিক দুরবস্থার নিমিত্ত এবং শিক্ষায় বিশেষ অগ্রসর না হওয়ায় তখনও গবৰ্ণমেণ্টের পরিচিত হইতে পারে নাই। তখন যদিও উচ্চ শিক্ষিতের সংখ্যা জাতির মধ্যে একেবারে কম। ছিল না, তথাপি তাহারা গবৰ্ণমেণ্টের কোন চাকুরী প্ৰাপ্ত হইত না