বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ V) হইতেই নানা কাৰ্য্যে স্বীয় বুদ্ধিমত্তার ও বিচক্ষণতার পরিচয় দেন এবং পিতৃ সম্পত্তি অনেক পরিমাণে বন্ধিত করেন। তিনি লক্ষ্মীপুর গ্রাম নিবাসী রাজবল্লভ দাশের কন্যার পাণিগ্রহণ করেন। দাশ মহাশয় অতিশয় প্রতিপত্তিশালী লোক ছিলেন। মুকুন্দ রাম ঠাকুরের পাঁচ পুত্ৰযশোবন্ত, সনাতন, প্ৰাণকৃষ্ণ, রামমোহন ও রামকৃষ্ণ । ইহঁরা সকলেই অত্যন্ত কৃষ্ণভক্ত ছিলেন। ইহঁদের পুত্র পৌত্রেরা অনেকে সংসারে । থাকিয়া গৃহকাৰ্য্য করিতেছেন। অনেকে কৃষ্ণ প্রেমে উদাসীন হইয়া গৃহত্যাগ করিয়া বৃন্দাবনবাসী হইয়াছেন। यद्दांबख ठांडूद्ध মুকুন্দ রাম ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র যশোবন্ত ঠাকুর ১১৮৮ বঙ্গাব্দে সাফলীডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন। বংশানুগত সংস্কার প্রভাবে তিনি অতিশয় ভগবন্ধুক্ত ছিলেন। বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে তাহার প্রগাঢ় নিষ্ঠা ছিল। দূরদেশ হইতে বৈষ্ণবগণ সতত তাহার আলয়ে অতিথিরূপে উপস্থিত হইতেন। • তিনি তাহাদিগকে সাদরে অভ্যর্থনা করিয়া আনন্দের সহিত ভোজন করাইতেন। তিনি বৈষ্ণব শাস্ত্রানুমোদিত সমস্ত ভগবৎ সেবা, উৎসব ও অনুষ্ঠান করিতেন। তঁাহাব ধনৈশ্বৰ্য্য ছিল । সম্পত্তির আয় হইতে সাধু বৈষ্ণব সেবায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করিয়াও তাঁহার প্রতিবৎসর বহু অর্থ সঞ্চিত থাকিত । পরম ধাৰ্ম্মিক এবং ত্যাগী হইলেও যশোবন্ত গৃহকাৰ্য্য উপেক্ষা করিতেন না। তিনি পিতাব সম্পত্তি অনেক পরিমাণে বদ্ধিত করেন এবং সেই সময়ে ফরিদপুরের এই অঞ্চলের মধ্যে অত্যন্ত প্ৰতিপত্তিশালী এবং সন্মানী লোক বলিয়া পরিগণিত হন। তিনি মধুমতী নদীর পূর্বতীরস্থ তারাইল গ্রাম নিবাসী রাম প্ৰসাদ চৌধুরীর কন্যা অন্নপূর্ণ দেবীকে বিবাহ করেন। এই রমণী অশেষ গুণসম্পন্ন এবং কৃষ্ণভক্তি পরায়ণা ছিলেন। তাহার