বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>br& Re-efs গুলা ক্ষেতে পড়িয়া শুকায়। এই গাছগুল বেশ লম্বা হয়, ইহাকে দেশে SuBS BBBS S DBBDDD BDDBB DBDD B DDSS BB SSS DDDDDS BBD দিকটা মোটা ও শক্ত, ইহা কেবল জালানী কাৰ্য্যে ব্যবহৃত হয়। এই “নারা” অতি অল্প দাম দিলেই পাওয়া যাইত। দ্বারকানাথ চাকর লইয়া নিজে ধানক্ষেতে গিয়া নারা তুলিয়া এক বোঝা চাকরের মাথায় দিতেন ; আর এক বোঝা নিজে মাথায় করিয়া আনিতেন। বাড়ীতে আনিয়া তাহা প্ৰথমতঃ রৌদ্রে মেলিয়া দিতেন ; তার পর বেশ শুকাইলে বড় ‘বঠিদা” দিয়া ছোট করিয়া কাটিয়া দিতেন। রান্না করিবার সময় সেই কাটা নারার ব্যবহার হইত। ইহাতে কাঠ জ্বালাইয়া পাক করা অপেক্ষা অনেক কম খরচ হইত। দেশে অনেক বাড়ীতেই ইহার ব্যবহার হইত। তিনি বর্ষার সময় চাকর লইয়া নৌকা করিয়া টেঙ্গরে যাইতেন। টেঙ্গর অর্থাৎ জঙ্গলা জায়গা ; ইহা ঢাকা সহরের অনেকটা উত্তরাংশে। অল্প কিছু পয়সা দিলেই এক নৌকা ভরিয়া নিজের যতটা কাঠ কাটিয়া লইতে পারা যায়, তাহা লইতে পারা যাইত। দ্বারকানাথ চাকরের সঙ্গে সেখানে গিয়া তাড়াতাড়ি ছোট-বড় অনেক কাঠ কাটিয়া নৌকা বোঝাই করিয়া একদিনের ভিতরই বাড়ীতে লইয়া আসিতেন। সেইদিন চিড় মুনী খাইয়াই দিন কাটাইয়া দিতেন। দ্বারকানাথ কুড়াল দিয়া কাঠ চিরিতে বড় মজবুত ছিলেন। তিনি কেবল তঁহাদের নিজেদের বাড়ীর কাঠ চিরিতেন তাহা নহে, এ-বাড়ী ও-বাষ্ঠীর কাঠও চিরিয়া দিতেন । তিনি কাঠের আঁশ দেখিয়া দেখিয়া কুড়ালের এরূপ কোপ দিতে পারিতেন যে, অল্প সময়ের মধ্যে বিস্তর কাঠ চিরিয়া ফেলিতেন । স্বারকানাথ নৌকা চালাইতে বড় ওস্তাদ ছিলেন। যখনই সুবিধা পাইতেন নৌকা চালাইতেন। সঙ্গে চাকর থাকিলেও তাহাকে বসাইয়া রাখিয়া নিজে নৌকা চালাইতেন। বর্ষার সময়ে ঝড়বৃষ্টি বড় একটা গ্রাহ