বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী আধখানা বই বলা হইল না-হাত ঘরিতে ঘারিতে যেমন উচু হইয়াছিল। তেমনই উচু রহিয়া গেল; মৎস্যদল-দলনী ব্যারেক নিস্তান্ধ হইলেন, পশ্চাৎ কাৰ্য্যারম্ভ করিলেন বটে, কিন্তু আর তােদশ ঘটা রহিল না; রন্ধনশালার কত্রী যে ঘাতের কারণ বক্তৃতা আরম্ভ করিয়াছিলেন, অকস্মাৎ তাহা হইতে নিবত্ত হইয়া পলায়নতৎপরা হইলেন-অন্যমনস্কপ্রযক্তই হউক আর তাড়াতাড়িতে বিবেচনার অভাব্যবশতঃই হউক, পাচিকা পলায়নকালে পণ্য ভান্ড ঘােত লইয়া চলিয়া গেলা-পাচিকা ইতিপবে কেবল অন্ধ ভান্ড মাত্র ঘাতের প্রাথিতা ছিলেন; যে পার-সন্দেরীরা প্ৰদীপহন্তে কক্ষে কক্ষে গমনাগমন করিতেছিলেন, তাঁহারা সকলে ত্ৰন্তে পলাইয়া লক্কায়িত হইলেন, পলায়নকালে মলগলি একেবারে ঝন ঝন করিয়া বাজিয়া উঠিল—হন্তের দীপসকল নিবিয়া গেল। যে শিশী মল্লযোদ্ধাটি মাধবের চপেটাঘাত খাইয়াছিলেন, তিনি বীরত্বেব। এমত নতনতর পরিস্কার প্রাপ্ত হইয়া তৎক্ষণাৎ রণস্থলী হইতে বেগে প্রস্থান করিয়াছিলেন--দ্বিতীয় যোদ্ধাও সময়ের গতিক তাদশ সংবিধাজনক নয়। বঝিয়া রণে ভঙ্গ দিলেন, কিন্তু যেমন ঘটোৎকচ মাতৃত্যুকালেও পিতবৈরী নষ্ট করিয়াছিলেন, ইনিও তেমনই পলায়নকালে বিপক্ষের উরদেশে একটি পদাঘাত করিয়া গেলেন। যে বালিকাগণ কলরব-সহকাবে খেলিতেছিল, তাহারা খেলা ত্যাগ করিয়া পলায়নতৎপর বীরের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল-ভয় হইয়াছে, কিন্তু হাসিটা একেবারে থামিল না। যে অন্তঃপর এতক্ষণ অতি ঘোর কোলাহলপরিপণ ছিল, তাহা এক্ষণে একেবারে নীরব। কেবল মাত্র গহিণী-অবিকৃত কান্তিমতী হইয়া-বাবার সম্মখে দশডায়মান রহিলেন। মাধব তাতাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “কি মাসী, আমার বাড়ীতে বাজার!” মাসী মদ হাস্য করিষা কহিলেন, “বাছা, মেয়ে মানষের স্বভাব বিকা।” মাধব কহিলেন, “খড়ী কোথা, মাসী ?” উত্তর-“আমিও তাই ভাবিতেছিলাম, আজ সকাল বেলা হতে কেহই তাঁহাকে দেখে নাই।” মাধব বিস্ময়াপক্ষ হইয়া কহিলেন, “সকল অবধি নাই! তবে সকলই সত্য!” মাসী জিজ্ঞাসা কবিলেন, “কি সত্য বাপ ?” মাধব। কিছ না-পশ্চাৎ বলিব। খড়ী। তবে কোথায় ? কাহারও সঙ্গে কি তাঁহােব আজও ८था श्श न्हे ? গহিণী। ডাকিয়া কহিলেন, “অম্বিকা, শ্ৰীমতী! তোরা কেহ দেখেছিস ?” তাহারা সকলে সমস্বরে উত্তর করিল, “না।” মাধব কহিলেন, “বড়ই আশচয্যের কথা।” পরে অন্তরাল হইতে একজন সত্ৰীলোক মাদাসম্বরে কহিল, “আমি নাবার বেলা বড় বাড়ীতে তাঁকে দেখেছিলাম।” মাধব অধিকতর বিস্ময়াবিল্ট হইয়া কহিলেন, “বড় বাড়ীতে ? মথর দাদার ওখানে!” তাঁহার মনোমধ্যে এক নতন সিদ্ধান্ত উপস্থিত হইল। ভাবিলেন, “তবে কি মাথার দাদার কৰ্ম্মম ? না, না, তা হতে পারে না-আমি অন্যায় দোষ দিতেছি।” পরে প্রকাশ্যে কহিলেন, “করণা তুই বড় বাড়ীতে যা-খািড়ীকে ডেকে আন; যদি না আসেন, তবে কেন আসবেন না, জিজ্ঞাসা করিস।” সপ্তম পরিচ্ছেদ এদিকে মাতঙ্গিনী স্বামীকৃত তিরস্কারের পর শ্বশ্ৰাম্যবসা কর্তৃক নিজ শয়নকক্ষে আনীত হইলে কক্ষের দ্বার অগািলবদ্ধ করিয়া মনের দঃখে শয্যাবলম্বন করিলেন। রাত্রে পাকাদি সমাপন হইলে শ্বশ্রােসবসা তাঁহাকে আহারার্থে ডাকিলেন, কিন্তু মাতঙ্গিনী শয্যাত্যাগ করিলেন না। ননন্দা কিশোরী আসিয়া পিতৃক্ষবসার সংযোগে অনেক অনানয় সাধনাদি করিলেন; কিন্তু তাহাতে কোন ফল হইল না। অবশেষে তাঁহারা নিরস্ত হইলেন-মাতঙ্গিনী অনশনা রহিলেন। মাতঙ্গিনী শয্যায় শাইয়া আপন আদলেটর বিষয় চিন্তা করিতে লাগিলেন। মাতঙ্গিনীর প্রতি রাস্ট হইলে রাজমোহন প্রায় শয়নাগারে আসিত না, সতরাং অদ্য রাত্রে যে আসিবে না, ইহা भाऊशिनौ ठेखभद्मा डानिहठन। ক্রমে রজনী গভীরা হইল। একে একে গহস্থ সকলে নিদ্রামগ্ৰ হইলেন। সবােত্র নীরব SOO