বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনােৰলা হইয়াছেন; কেবল তাঁহারই সদস্যুৎ বিবেচনা অভ্রান্ত বলিয়া তাঁহাকে আমাদিগের প্রবত্তি দমনের BDDBB DDDS BB BDDBBD DuDDBDBD DDDS SBB DDDB BDBDBBBB DD DBBD DBLD কাহারও প্রতি অত্যাচার হয় না। এবং সকল সময়ে এবং সকল বিষয়ে আমাদিগের প্রবত্তি দমন করিবার তাঁহারও অধিকার নাই; যে কায্যে অন্যের অনিষ্ট ঘটিবে বিবেচনা করেন, তৎপ্রতি প্রবত্তির নিবারণেই তাঁহার অধিকার; যাহাতে আমার কেবল আপনারই অনিস্ট ঘটিবে বিবেচনা করেন, সে প্রবত্তি নিবারণে তিনি অধিকারী নহেন।*।। যাহাতে কেবল আমার নিজের অনিন্ট, তাহা হইতে বিরত হইবার পরামর্শ দিবার জন্য মনষ্য মাত্রেই অধিকারী; রাজাও পরামর্শ দিতে পারেন, এবং যে আমাকে ভালবাসে, সেও পারে। কিন্তু পরামর্শ ভিন্ন আমাকে তদ্বিপরীত পথে বাধ্য করিতে কেহই অধিকারী নহেন। সমাজস্থ সকলেরই অধিকার আছে যে, সকল কাৰ্য্যই, পরের আনন্ট না করিয়া আপনাপন প্রবত্তিমত সম্পাদন করে। পরের অনিন্ট ঘটিলেই ইহা স্বেচ্ছাচারিতা; পরের অনিন্ট না ঘটিলেই ইহা সাবানবৰ্ত্তিতা। যে এই সবানবৰ্ত্তিতার বিঘা করে, যে পরের অনিন্ট না ঘটিবার স্থানেও আমার মতের বিরদ্ধে আপন মত প্ৰবল করিয়া তদনসারে কায্য করায়, সেই অত্যাচারী। রাজা ও সমাজ ও প্রণয়ী, এই তিন জনে এরপ অত্যাচার করিয়া থাকেন। রাজার অত্যাচার নিবারণের উপায় বহকাল উদ্ভূত হইয়াছে। সমাজের এই অত্যাচার নিবারণ জন্য কোন কোন পািব্ব পশ্চিডত ধােতাস্ত্র হইয়াছেন, এবং তদ্বিষয়ে জন লন্টয়ার্ট মিলের যত্ন ও বিচােরদক্ষতা, তাঁহার মােহাস্ম্যের পরিচয় দিবে। কিন্তু ভালবাসার অত্যাচার নিবারণের জন্য যে কেহ কখন যত্নশীল হইয়াছেন, এমত আমাদিগের সমরণ হয় না। কবিগণ সব্বতত্ত্বদশী এবং অনন্ত জ্ঞানবিশিষ্ট, তাঁহাদের কাছে কিছই বাদ পড়ে না। কৈকেয়ীর অত্যাচারে দশরথকৃত রামের নিব্বাসনে, দ্যুতাসক্ত যধিষ্ঠির কর্তৃক ভ্ৰাতৃগণের নির্বাসনে, এবং অন্যান্য শত শত স্থানে কবিগণ এই মহতী নীতি প্রতিপাদিতা করিয়াছেন। কিন্তু কবিরা নীতিবেত্তা নহেন; নীতিবেত্তারা এবিষয়ে প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ করেন নাই। যিনিই লৌকিক ব্যাপার সকল মনোভিনিবেশপথবাক পৰ্যবেক্ষণ করিবেন, তিনিই এ তত্ত্বের সমালোচনা যে বিশেষ প্রয়োজনীয়, তদ্বিষয়ে নিঃসংশয় হইবেন। কেন না, এ অত্যাচারে প্রবত্ত অত্যাচারী অনেক। পিতা, মাতা, ভ্রাতা, ভগিনী, পত্র, কন্যা, ভাৰ্য্যা, সবামী, আত্মীয়, কুটিব, সহৎ, ভূত্য, যেই ভালবাসে, সেই একটি অত্যাচার করে এবং অনিস্ট করে। তুমি সলক্ষণান্বিতা, সদ্বংশজা, সচ্চরিত্রা কন্যা দেখিয়া, তাহার। পাণিগ্রহণ করিবে বাসনা করিয়াছ, এমন সময়ে তোমার পিতা আসিয়া বলিলেন, আমােক বিষয়াপন্ন লোক, তাহার কন্যার সঙ্গেই তোমার বিবাহ দিব। তুমি যদি বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া থাক, তবে তুমি এ বিষয়ে পিতার আজ্ঞাপালনে বাধ্য নহ, কিন্তু পিতৃপ্ৰেমে বশীভুত হইয়া, সেই কালকাটর,পিণী ধনিকন্যা বিবাহ করিতে হইল। মনে কর, কেহ দারিদ্র্যপীড়িত, দৈবানকেম্পায় উত্তম পদস্থ হইয়া দরদেশে যাইয়া, দারিদ্র্য মোচনের উদ্যোগ করিতেছে, এমন সময়ে মাতা, তাহাকে দরদেশে রাখিতে পরিবেন না বলিয়া কাঁদিয়া পড়িলেন, তাহাকে যাইতে দিলেন না, সে মাতৃপ্রেমে বদ্ধ হইয়া নিরস্ত হইল, মাতার ভালবাসার অত্যাচারে সে আপনাকে চিরদারিদ্র্যে সমপণ করিল। কৃতী সহোদরের উপাডিজত অৰ্থ অকম্পমা অপদাৰ্থ সহোদর নন্ট করে, এটি নিতান্তই ভালবাসার অত্যাচার, এবং হিন্দসমাজে সব্বদাই প্রত্যক্ষগোচর হইয়া থাকে। ভাষার ভালবাসার অত্যাচারের কোন উদাহরণ নববঙ্গবাসীদিগের কাছে প্রযক্ত করা আবশ্যক কি ? আর স্বামীর অত্যাচার সম্বন্ধে, ধমতঃ এটকু বলা কত্তব্য যে, কতকগালি ভালবাসার অত্যাচার বটে, পীড়িত। প্রথমাবস্থায় বাহবিলের অত্যাচার; অসভ্য জাতিদিগের মধ্যে যেই বলিষ্ঠ, সেই পরপীড়ন করে। কালে এই অত্যাচার, রাজার অত্যাচার এবং অর্থের অত্যাচারে পরিণত হয়;

  • যদি রাজার এমন অধিকার আছে, স্বীকার করা যায়, তবে স্বীকার করিতে হয় যে, যে আপনার চিকিৎসা করিবে না বা যে অলপ বয়সে বা বড় বয়সে বিবাহ করবে, রাজা তাহার দন্ড করিতে অধিকারী। আর রাজার যদি এয়ািপ অধিকার স্বীকার করা না যায়, তবে চড়ক বন্ধ, সতীদাহ বন্ধ প্রভৃতি আইনের সমৰ্থন করা যায় না।

RS8