বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঠার } - শ্ৰীযক্ত অক্ষয়কুমায় দত্তগগুপ্ত ‘কমলাকান্তের শাশ্বত রূপ এই ক’ ছত্ৰে সন্দর ফুটাইয়া তুলিয়াছেন: “কি ভাষার মাধ্যযে, কি ভাবের মনোহারিত্বে, কি শত্ৰ সংযত সরস রসিকতায়, কি সমাজশিক্ষক, রাজনীতিজ্ঞ, ও সবদেশপ্রেমিক; অথচ তাহাতে কবির অভিমান, দশনিকের আড়ম্বর, সমাজশিক্ষকের অরসজ্ঞতা, রাজনৈতিকের কল্পনাহীনতা, স্বদেশপ্রেমিকের গোঁড়ামি নাই। হাসির সঙ্গে করণের, অদ্ভুতের সঙ্গে সত্যের, তরলতার সহিত মৰ্ম্মাদাহিনী জবালার, নেশার সঙ্গে তত্ত্ববোধের, ভাবিকতার সহিত বস্তুতন্ত্রতার, শ্লেষের সহিত উদারতার এমন মনোমোহন সমন্বয় কে কবে দেখিয়াছে ?” (“বাঁহুকিমচন্দ্ৰ,” ১৩:২৭, প, ১৯৭) ‘কমলাকাস্তে’ বঙ্কিমচন্দ্ৰ কতখানি মৌলিকতা প্রদশর্তন করিয়াছেন।--সে। যাগে এ প্রশন উঠিয়াছিল। ইদানীন্তন কালেও এ সম্পবন্ধে কমবেশী আলোচনা হইয়াছে। এ সম্পকে অক্ষয়কুমারের মত প্ৰণিধানযোগ্য। তিনি বলেন, “কেহ কেহ এখনও জিজ্ঞাসা করে কমলাকান্তের দপ্তরের মৌলিকতা কতখানি ? হায় রে অদষ্ট ! মৌলিকতা’ ‘মৌলিকতা’ করিয়া অথবা আপনাদের দেশের সন্টিমাত্রেরই মৌলিকতা সন্দেহ করিতে করিতে দেশটা অধঃপাতে, যাইতে বসিয়াছে।। কৈশোরে ‘কমলাকান্ত” পাঠ করিবার পর যখন বিসময়ে আত্মহারা হইয়াছিলাম, তখন ইংরেজী সাহিত্যে জ্ঞানাভিমানী এক ব্যক্তি বড় গম্ভীরভাবে বলিয়াছিলেন, “ওটা De Quincey's Confessions of an Opium Eater -as verger p < &ST 43 Stig 521 পণিডতের যোগ্য উক্তি নয়। কমলাকান্তের দই দশটা উক্তির অন্যরােপ উক্তি বিশাল ইংরেজী সাহিত্যের কোথাও নাই এমন কথা বলিব না, কমলাকান্তের জোবানবন্দী Pickwick Papers= এর Sam-এর জোবানবন্দীর আদশে রচিত হইয়াছে তাহাও বিশ্বাস করি, তব বলিব উহাতে কমলাকান্তের মৌলিকতা হানি হয় নাই।” (ঐ, প, ১৯৭) ‘কমলাকান্তের জোবানবন্দী’ নাট্যীকৃত হইয়া একাধিকবার অভিনীত হইয়াছে। এই পন্তকের অন্তগত “কমলাকান্তের দপ্তরে’-দ্বাদশ সংখ্যা-“একটি গীত” এর মলে, “এসো এসো বন্ধ এসো।” সঙ্গীতটি সম্পবন্ধে বঙ্কিমের কনিষ্ঠ সহোদর পণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় “বঙ্কিম-প্রসঙ্গে” (পদ ৫৪-৬৪) বিশেষভাবে আলোচনা করিয়াছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের এই কমলাকান্তী ঢং তাঁহার জীবিত কালে এবং পরেও বহুজন কর্তৃক অন্যাসত হইয়াছিল। চন্দননগরের চারচন্দ্র রায় কমলাকান্তী ঢঙে বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্ত সম্পবন্ধে এইরূপ উক্তি করিয়াছিলেন :

  • বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্ত যদি একটি মানষ হতো তো এতকাল ধরে সে বেচে থাকতেই পারতো। না-কিন্তু সে নাকি একটা ধমকেতুর মতো, তাই থেকে থেকে আসে এবং চলে যায় পথিবীর গায়ে আলোর ঝাঁটা বলিয়ে দিয়ে। বঙ্কিমের যাগে এই ঝাঁটা একবার দেশের গায়ে পড়েছিল।” (“ভারতী”-

ফালগন ১৩৩o, প, ১o৭৯) মচিরাম গড়ের জীবনচরিত : ১২৮৭), আশ্বিন মাসের “বঙ্গদর্শনে’ (সেপ্টেম্বর ১৮৮ o) তিন-চায়ি বৎসর পরে ১২৯০ বঙ্গাব্দে (ইং ১৮৮৪)। বেঙ্গল গবৰ্ণমেণ্টের এসিন্টাণ্ট সেক্রেটারীর পদ লাভের প্রায় এক বৎসর পর্বে ইহা রচিত হয়। সতরাং এই পদ পরিত্যাগের বিরক্তিকর অবস্থার সঙ্গে উহার কোন সংস্রব থাকা সম্ভব নয়। সমাজে যে “মচিরাম গড়ে রহিয়াছে তাহদের প্রতি সাধারণের দটি নিবদ্ধ করাই বঙ্কিমচন্দ্রের উদ্দেশ্য ছিল। বড়ই পরিতাপের বিষয়, বত্তমানে ‘মচিরাম গড়ের সংখ্যা যেন ক্ৰমে বাড়িয়াই চলিয়াছে। শ্ৰীযক্ত অক্ষয়কুমার দত্তগগুপ্ত এ পস্তকখানি সম্পবন্ধে লেখেন : “রাজপদে অনেক অযোগ্য ব্যক্তি সৌভাগ্যবলে অন্যচিত সম্মান লাভ করে বটে, এবং হয়ত যোগ্যতার BB BDDBuiDD DDD DDBDLOLOu BBB BBB D D BBuDDB BK BBD DDS DDD DDBDBuBu DDD জীবনে সরকারের নিকট হইতে কখনও অনাদর পান নাই। এমত অবস্থায় মচিরামের সন্টি কেন এ প্রশন অনেকেরই মনে উঠতে পারে। তিনি নিজ সাৰিবাসে এবং হয়ত নিজ স্টেশনেই নিজের পাশ্বে অনেক মচিরাম, ঘাঁটিরাম দেখিয়াছিলেন। তাহদের ক্রিয়াকলাপ ও তাহদের মধ্যে কাহারও কাহারও সরকারে প্রতিপত্তি নিশ্চয়ই তাঁহার মনে হাস্যরসের উল্লেক করিয়াছিল। মচিরামে বঙ্কিম পাঠকগণকে সেই হাস্যরূসের ভাগ দিয়াছেন। অবশ্য ইহাতে হাসের সঙ্গে যে বিদুপের বিষজাল্লা মিশ্রিত আছে। DBB DBDBDB BB DD BB DDBB L BBBBB DGDBBDS TBDYSDu S BB