বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় খণড चन्* ७२ नाङ* আমি প্রচারের একজন লেখক। তাহা জানিয়া প্রচারের একজন পাঠক আমাকে বলিলেন, “প্রচারে অত ধৰ্ম্মম বিষয়ক প্রবন্ধ ভাল লাগে না। দই একটা আমাদের কথা না থাকিলে পড়িতে পারা যায় না।” আমি বলিলাম, “কেন, উপন্যাসেও কি তোমার আমোদ নাই ? প্রতি সংখ্যায় একটি উপন্যাস প্রকাশিত হইয়া থাকে।” তিনি বলিলেন, “ঐ একটি বৈ তা নয়।” তিন ফক্ষমা প্রচার, তাহার কখন এক ফ’মা উপন্যাস, কখন বেশী, কখন কম। তাহাও অপ্রচুর। তারপর তিন ফক্ষমার যেটকু থাকে, তাহারও কিয়দংশ কবিতা ইত্যাদিতে কতকটা ভরিয়া যায়, ধৰ্ম্ম বিষয়ক প্রবন্ধ এক কোণে এক আধটা পড়িয়া থাকে। তপ্যাপি এই পাঠকের তাহা ভাল লাগে না। বোধ হয়, আরও অনেক পাঠক আছেন, যাঁহাদিগের ধৰ্ম্মম বিষয়ক প্রবন্ধ তিক্ত লাগে। এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য, তাঁহাদিগকে জিজ্ঞাসা করা, ধৰ্ম্মম কেন তিক্ত লাগে, উপন্যাস রঙ্গরস, কেন ভাল লাগে ? আমাদিগের ইচ্ছা, পাঠক আপনি একটা চিন্তা করিয়া ইহার উত্তর স্থির করেন। আপনা আপনি উত্তর স্থির করিলে তাঁহাদিগের যত উপকার হইবে, কেহ কোন প্রকার শিক্ষা দিয়া সেরাপ উপকার করিতে পরিবে না। তবে আমরা তাঁহাদের কিছ সাহায্য করিতে পারি। সাধারণ ধৰ্ম্ম শিক্ষকের দ্বারা ধর্মম যে মাত্তিতে পথিবীতে সংস্থাপিত হইয়াছে, তাহা অপ্রীতিকর বটে। এদেশের আধনিক ধর্মের আচায্যেরা যে হিন্দধৰ্ম্মম ব্যাখ্যাত ও রক্ষিত করেন, তাহার মাত্তি ভয়ানক। উপবাস, প্ৰায়শ্চিত্ত, পথিবীর সমস্ত সমুখে বৈরাগ্য, আত্মপীড়ন, ইহাই অধ্যাপক ও পরোহিত মহাশয়ের নিকট ধৰ্ম্ম। গ্ৰীস্মকালে অতিশয় উত্তপ্ত ও তৃষাপীড়িত হইয়া যদি এক পাত্র বরফজল খাইলাম, তবে আমার ধৰ্ম্মম নকেট হইল! জবরবিকারের রািগ্ন শয্যায় কন্টে প্ৰাণ যায় যায় হইয়াছে, ডাক্তার আমার প্রাণরক্ষাথে যদি ঔষধের সঙ্গে আমায় পাঁচ ফোঁটা ৱান্ডী খাওয়াইলেন, তবেই আমার ধৰ্ম্ম গেল!! আট বৎসরের কুমারী কন্যা বিধবা হইয়াছে, যে ব্রহ্মচয্যের সে কিছ জানে না, যাহা যাট বৎসরের বাড়ারও দরাচরণীয়, সেই ব্রহ্মচয্যের পীড়নে পীড়িত করিয়া তাহাকে কাঁদাইতে হইবে, আপনি কাঁদিতে হইবে, পরিবারবগকে কাঁদাইতে হইবে, নাহিলে ধৰ্ম্ম থাকে না। ধক্ষেমাপাঙ্কজনের জন্য কেবল পরোহিত মহাশয়কে দাও, গােরািঠাকুরকে দাও, নিম্পকমা.. সবার্থপর, লোভী, কুরুস্মাসক্ত ভিক্ষোপজীবী ব্ৰাহ্মণদিগকে দাও, আপনার প্রাণপতনে উপাক্তিজত ধন সর্ব অপাত্রে ন্যস্ত কর। এই মাত্তি ধমের মাত্তি নহে-একটা পৈশাচিক কলপনা। অথচ আমরা বাল্যকাল হইতে ইহাকে ধৰ্ম্মম নামে অভিহিত হইতে শনিয়া আসিতেছি। পাঠক যে ইহাকে পিশাচ বা রাক্ষসের ন্যায়। ভয় করিবেন, এবং নাম শনিবামাত্র পরিত্যাগ করবেন, ইহা সঙ্গত বটে। যাঁহারা “শিক্ষিত” অৰ্থাৎ যাঁহারা ইংরেজি পড়িয়াছেন, তাঁহারা এটাকে ধৰ্ম্মম বলিয়া মানেন না, কিন্তু তাঁহারা আর এক বিপদে পড়িয়াছেন। তাঁহারা ইংরেজির সঙ্গে খ্ৰীষ্ট্ৰীয় ধৰ্ম্মমটিাও শিখিয়াছেন। সে জন্য বাইবেল পড়িতে হয় না, বিলাতী সাহিত্য সেই ধনেেম পরিপ্লাত। আমরা খ্রীস্টীয় ধৰ্ম্ম গ্রহণ করি না করি, ধৰ্ম্মম নাম হইলে সেই ধৰ্ম্মই মনে করি। কিন্তু সে আর এক ভয়ঙ্কর মাত্তি বিশেষ। পরমেশ্বরের নাম হইলে সেই খ্রীস্টানের পরমেশ্বরকে মনে পড়ে। সে পরমেশ্বর এই পবিত্র নামের সম্পপণ্য অযোগ্য। তিনি বিশ্বসংসারের রাজা বটে, কিন্তু এমন প্রজাপীড়ক অত্যাচারী বিচারশন্য রাজা কোন নরপিশাচেও হইতে পারে না। তিনি ক্ষণকৃত অতি ক্ষদ্র অপরাধে মনষ্যিকে অনন্তকালস্থায়ী দন্ডের বিধান করেন। ছোট বড় সকল পাপেই অনন্ত নরক। নিম্পপাপেরও অনন্ত নরক-যদি সে খ্রীস্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ না করে। যে কখন শ্ৰীল্ট

  • প্রচার, ১২:১২, পৌষ।

অনেক হিন্দ এই জন্য ডাক্তারি ঔষধ খান না। マ ミー>a RCA