বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिर्ताबश्व अवक—८शब्रान बाबाङिब्र ख्भिकान्न बार्तव्ण বাবাজি। অভিধান কিনিয়া পড়িয়া দেখ, লক্ষী অর্থে সৌন্দৰ্য্য। শ্ৰী, রমা প্রভৃতি লক্ষীর আর আর নামেরও সেই অর্থ। সরস্বতী জ্ঞান। বিষ্ণ, সৎ, সরস্বতী চিৎ, আর লক্ষী আনন্দ। অতএব রে মািখ ! এই সচ্চিদানন্দ পরব্রহ্মকে প্ৰণাম কর। সব্বনাশ! রােমবল্লভবাবকে, তাঁহার স্বভবনে, “রে মােখাঁ!” সম্বােধন!! রােমবল্লভবাব তখনই দ্বারবানকে হকুম দিলেন, “মারো বদজাতকো!” বাহিরে আসিয়া বাবাজিকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “বাবাজি ! আজিকার ভিক্ষায় পেলে কি ?” বাবাজি বলিলেন, “বদ পৰিবাক জন ধাতুর উত্তর জ্ঞা করিয়া যা হয়, তাই। ভিক্ষার ধনাট্য ঝলির ভিতর লকাইয়া রাখা।” শ্ৰীহরিদাস বৈরাগী । ২। পাজাবাড়ীর ভিক্ষার্চ নবমী পাজার দিন বাবাজিকে খাজিয়া পাইলাম না। অবশ্য ইহা সম্ভব যে, তিনি পজাবাড়ীতে হরিনাম করিয়া বেড়াইতেছেন। ইহাও অসম্ভব নহে যে, সেই অমল্য অমতেময় নামের বিনিময়ে তিনি সন্দেশাদি লোষ্ট্র গ্রহণপত্বক, বৈষ্ণবদিগের বদান্যতা এবং মাহাত্ম্য সপ্রমাণ করিবেন। এক মাঠা চাউল লইয়া যে হরিনাম শনায়, তার চেয়ে আর দাতা কে ? এই সকল কথার সবিশেষ আলোচনা মনে মনে করিয়া, আমি পজ্যেপাদ গৌরদাস বাবাজির সন্ধানে নিস্ত্রান্ত হইলাম। যেখানে পাজাবাড়ীতে দ্বারদেশে ভিক্ষকশ্রেণী দাঁড়াইয়া আছে, সেইখানেই সন্ধান করিলাম, সে পাকা দাড়ির নিশান উড়িতে ত কোথাও দেখিলাম না। পরিশেষে এক বাড়ীতে দেখিলাম, বা বাজি ভোজনে বসিয়া আছেন। দেখিয়া বড় সন্তোষ লাভ করিলাম না। বৈষ্ণব হইয়া শক্তির প্রসাদ ভক্ষণ তেমন প্রশস্ত মনে করিলাম না। নিকটে গিয়া বাবাজিকে বলিলাম, “প্ৰভু! ক্ষধায় ধমের উদারতা বদ্ধি করিয়া থাকে, বোধ হয়।” বাবাজি বলিলেন, “তাহা হইলে চোরের ধৰ্ম্ম বড় উদার। একথা কেন হে বাপ ?” আমি। শক্তির প্রসাদে বৈষ্ণবের সেবা ! বাবাজি । দোষটা কি ? আমি। আমরা কৃষ্ণের উপাসক-শক্তির প্রসাদ খাইব কেন ? বাবাজি । শক্তিটা কি হে বাপ ? আমি। দেবতার শক্তি, দেবতার সন্ত্রীকে বলে। যেমন নারায়ণের শক্তি লক্ষী, শিবের শক্তি দরগা, ব্ৰহ্মার শক্তি ব্ৰহ্মাণী, এই রকম। বাবাজি। দরি হ! পাপিষ্ঠ ! উঠিয়া যা! তোর মািখ দেখিয়া আহার করিলে আহােরও পণড হয়। দেবতা কি তোর মত বৈষ্ণবী কাড়িয়া ঘরকন্না করে নাকি ? দরি হ। আমি । তবে শক্তি কি ? বাবাজি । এই জলের ঘাঁটিটা তোল দেখি। उाशि अलoभ* घा लूलव्नाश। বাবাজি একটা জলের জালা দেখাইয়া বলিলেন, “এটা তোেল দেখি !" আমি । তাও কি পারা যায় ? বাবাজি । তোমার ঘটিটা তুলিবার শক্তি আছে, জালাটা তুলিবার শক্তি নাই। ভাত খাইতে পাের ? আমি। কেন পারিব না ? রোজ খাই। বাবাজি। এই জব্বলন্ত কাঠখানা খাইতে পাের ? আমি । তাও কি পারা যায় ?

  • প্রচার, ১২:১২, বৈশাখ।

RV