বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্ৰবন্ধ-বঙ্গদেশের কৃষক যে বক্ষের উপযক্তি, সেইখানেই তাহা বদ্ধমল হয়। এ দেশের ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰকৰ্ত্তক যে নিবত্তিজনক শিক্ষা প্রচারিত হইল, দেশের অবস্থাই তাহার মােল; আবার সেই ধমশাস্ত্রের প্রদত্ত শিক্ষায় প্রাকৃতিক অবস্থােজন্য নিবত্তি আরও দঢ়ীভূত হইল। ৩ । এই সকল কারণে শ্রমোপজীবীদিগের দরবস্থা যে চিরস্থায়ী হয়, কেবল তাহাই নহে। তন্নিবন্ধন সমাজের অন্য সম্প্রদায়ের লোকের গৌরবের ধবংস হয়। যেমন এক ভান্ড দন্ধে দই এক বিন্দ, অম্বল পড়িলে সকল দগ্ধ দধি হয়, তেমন সমাজের এক অধঃশ্রেণীর দন্দশায় সকল শ্রেণীরই দন্দশা জন্মে। (ক) উপজীবিকানসারে প্রাচীন আয্যেরা চারি শ্রেণীতে বিভক্ত হইয়াছিলেন-ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শব্দ্র। শব্দ্র অধস্তন শ্রেণী; তাহাদিগেরই দন্দশার কথা এতক্ষণ বলতেছিলাম। বৈশ্য বাণিজ্যব্যবসায়ী। বাণিজ্য, শ্রমোপজীবীর শ্রমোৎপন্ন দ্রব্যের প্রাচুয্যের উপর নিভাির করে। যে দেশে দেশের আবশ্যক সামগ্রীর অতিরিক্ত উৎপন্ন না হয়, সে দেশে বাণিজ্যের উন্নতি হয় না। বাণিজ্যের উন্নতি না হইলে, বাণিজ্যব্যবসায়ীদিগের সৌন্ঠবের হানি। লোকের অভাববদ্ধি, বাণিজ্যের মাল। যদি আমাদিগের অন্যদেশোৎপন্ন সামগ্রী গ্রহণেচ্ছা না থাকে, তবে কেহ অন্যদেশোৎপন্ন সামগ্রী আমাদের কাছে আনিয়া বিক্রয় করিবে না। অতএব যে দেশের লোক অভাবশন্যে, নিজশ্রমোৎপন্ন সামগ্রীতে সন্তুষ্পট, সে দেশে বণিক দিগের শ্ৰীহানি অবশ্য হইবে। কেহ জিজ্ঞাসা করিতে পারেন যে, তবে কি ভারতবর্ষে বাণিজ্য ছিল না ? ছিল বৈ কি। ছিল, কিন্তু ভারতবর্ষের তুল্য বিস্তৃত উর্বরভূমিবিশিস্ট বহধনের আকরস্বরূপ দেশে যেরপ বাণিজ্যবাহাল্য হওয়ার সম্ভাবনা ছিল,-অতি প্রাচীন কালেই যে সম্ভাবনা ছিল,-তাহার কিছই হয় নাই। অদ্য কয়েক বৎসর তাহার সত্ৰপাত হইয়াছে মাত্র। বাণিজ্য হানির অন্যান্য কারণও ছিল, যথা-ধৰ্ম্মশাস্ত্রের প্রতিবন্ধকতা, সমাজের অভ্যন্ত অনৎসাহ ইত্যাদি। এ প্রবন্ধে সে সকলের উল্লেখের আবশ্যক নাই। (খ) ক্ষত্ৰিয়েরা রাজা বা রাজপরিষ। যদি পথিবীর পরাবত্তে কোন কথা নিশ্চিত প্ৰতিপন্ন হইয়া থাকে, তবে সে কথাটি এই যে, সাধারণ প্রজা সতেজঃ এবং রাজপ্রতিদ্বন্দ্বী না হইলে রাজপরিষদিগের স্বভাবের উন্নতি হয় না, অবনতি হয়। যদি কেহ কিছ না বলে, রাজপরিষেরা সহজেই স্বেচ্ছাচারী হয়েন। স্বেচ্ছাচারী হইলেই আত্মসখরত, কায্যে শিথিল এবং দক্ষিত্ৰুয়ান্বিত হইতে হয়। অতএব যে দেশের প্রজা নিস্তেজ, নাম, অনৎসাহী, অবিরোধী, সেইখানেই রাজপরিষদিগের ঐরােপ স্বভাবগত অবনতি হইবে। যেখানে প্ৰজা দঃখী, অন্নবস্ত্রের কাঙ্গাল, আহারোপাজ্ঞজনে ব্যগ্র, এবং সত্যুন্টস্বভাব, সেইখানেই তাহারা নিস্তেজ, নম, অনৎসাহী, অবিরোধী। ভারতবর্ষে তাই। সেই জন্য ভারতবর্ষের রাজগণ, মহাভারতকীৰ্ত্তিত বলশালী, ধৰ্ম্মিশ্ৰষ্ঠ, ইন্দ্ৰিয়জয়ী রাজচরিত্র হইতে মধ্যকালের কাব্যনাটকাদিচিত্রিত বলহীন, ইন্দ্ৰিয়াপরবশ, স্ত্রৈণ, অকম্পমােঠ দশাপ্রাপ্ত হইয়া শেষে মসলমান-হস্তে লিপ্ত হইলেন। যে দেশে সাধারণ প্রজার অবস্থা ভাল, সে দেশে রাজপরিষদিগের এরােপ দগতি ঘটে না। তাহারা রাজার দম্পমতি দেখিলে, তাঁহার প্রতিদ্বন্দ্বী হইতে পারে এবং হইয়া থাকে। বিরোধেই উভয় পক্ষের উন্নতি। রাজপরিষগণ অনৰ্থক বিরোধের ভয়ে সতক থাকেন। কিন্তু বিরোধে কেবল যে এই উপকার, ইহা নহে। নিত্য মল্লষদ্ধে বল বাড়ে। বিরোধে মানসিক গণসকলের সন্টি এবং পন্টি হয়। নিবিবরোধে তৎসমদায়ের লোপ। শদ্রের দাসত্বে ক্ষত্রিয়ের ধন এবং ধন্মের লোপ হইয়াছিল। রোমে প্লিবিয়ানদিগের বিবাদে, ইংলন্ডের কমন দিগের বিবাদে প্ৰভুদিগের घ्वालार्गवक ऐछ९कस“ छर्गन्धञ्चार्गछब्न । (গ) ব্ৰাহ্মণ। যেমন অধঃশ্রেণীর প্রজার অবনতিতে ক্ষত্ৰিয়দিগের প্রভুত্ব বাড়িয়া পরিশেষে লপ্ত হইয়াছিল, ব্ৰাহ্মণদিগেরও তদুপ। অপর তিন বণের অনান্নতিতে ব্ৰাহ্মণের প্রথমে প্রভুত্ব দ্ধি হয়। অপর বণের মানসিক শক্তি হানি হওয়াতে তাহাদিগের চিত্ত উপধন্মের বিশেষ বশীভুত হইতে লাগিল। দৌৰাবল্য থাকিলেই ভয়াধিক্য হয়। উপধৰ্ম্মম ভীতিজাত; এই সংসার বলশালী অথচ আনিস্টকারক দেবতাপািশ, এই বিশ্বাসই উপধৰ্ম্ম। অতএব অপর বর্ণন্দ্ৰয়, মানসিকশক্তিবিহীন হওয়াতে অধিকতর উপধৰ্ম্মপীড়িত হইল, ব্রাহ্মণের উপধমের যাজক; তরাং তাহদের প্রভুত্ব বদ্ধি হইল। ব্ৰাহ্মণেরা কেবল শাস্ত্ৰজাল, ব্যবস্থাজাল বিস্তারিত করিয়া BDDDS BBS DBBBuBD DuD DDBB DDBBS DBDBBB BDDDBDBD BDYSDDBD DDD OO)