বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্ৰবন্ধ-বঙ্গদেশের কৃষক রাজপরিষদিগের অবশ্য দোষ আছে। দেখা যাউক, তাঁহারা আপন কৰ্ত্তব্য সাধন পক্ষে কি করিয়াছেন। প্রাচীন হিন্দরাজ্যে জমীদার ছিল না। প্রজারা ষািঠাংশ রাজাকে দিয়া নিশিচন্ত হইত; কেহ। তাহাদিগকে মাঙ্গন মাথট পাকবাণীর জন্য জবালাতন করিত না। হিন্দরা সবজাতির রাজ্যকালের পরাবত্তি লিখিয়া যান নাই বটে, কিন্তু অসংখ্য অন্যবিষয়ক গ্রন্থ রাখিয়া গিয়াছেন। সেই সকল গ্রন্থ হইতে ভারতবর্ষের প্রাচীন অবস্থা সম্যক রাপে অবগত হওয়া যায়। তন্দ্বারা জানা যায় যে, হিন্দরাজ্যকালে প্রজাপীড়ন ছিল না। যাঁহারা মসলমান ও মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের সময়ের প্রজাপীড়ন এবং বিশঙ্খলা দেখিয়া বিবেচনা করেন যে, প্রাচীন হিন্দরাজগণও এইরূপ প্রজাপীড়ক ছিলেন, তাঁহারা বিশেষ ভ্রান্ত। অসংখ্য সংস্কৃত গ্রন্থমধ্যে প্রজাপীড়নের পরিচয় কোথাও পাওয়া যায় না। যদি প্রজাপীড়নের প্রাবল্য থাকিত, তবে অবশ্য দেশীয় প্রাচীন সাহিত্যাদিতে তাহার চিহ্ন থাকিত; কেন না, সাহিত্য এবং সমতি সমাজের প্রতিকৃতি মাত্র। প্রজাপীড়ন দরে থাকুক, বরং সেই প্রতিকৃতিতে দেখা যায় যে, হিন্দ রাজারা বিশেষ প্রজাবৎসল ছিলেন। রাজা পিতার ন্যায় প্ৰজাপালন করেন, এই কথা সংস্কৃত গ্রন্থে পািনঃ পািনঃ কথিত আছে। সতরাং অন্যান্য জাতীয় রাজাদিগের অপেক্ষা এ বিষয়ে তাঁহাদের গৌরব । যােনানী রাজগণের নামই ছিল ‘Tyrant’, সে শব্দের আধনিক অর্থ প্রজাপীড়ক। ইংলন্ডীয় রাজগণ প্রজাপীড়ক বলিয়া প্রজাদিগের সহিত তাঁহাদিগের বিবাদ হইত; একজন রাজা প্ৰজাকত্ত্বক পদচু্যত, অন্য একজন নিহত হন। ফ্রান্স প্রজাপীড়নের জন্যই বিখ্যাত, এবং অসহ্য প্রজাপীড়নের জন্যই ফরাসীবিপ্লবের সন্টি। ভারতবর্ষে উত্তরগামী মসলমান এবং মহারাষ্ট্ৰীয়দিগের প্রজাপীড়নের উল্লেখ মাত্র যথেস্ট। কেবল প্রাচীন হিন্দ রাজগণের এ বিষয়ে বিশেষ গৌরব। তাঁহারা কেবল ষষ্ঠাংশ লইয়া সন্তুষ্ট থাকিতেন। মসলমানদিগের সময়ে প্রথম জমীদারের সন্টি। তাঁহারা রাজ্যশাসনে সপারগ ছিলেন না। যেখানে হিন্দ রাজগণ' অবলীলাক্রমে প্রজাদিগের নিকট কর সংগ্ৰহ করিতেন, মসলমানেরা সেখানে কর সংগ্ৰহ করিতে অসমর্থ হইলেন। তাঁহারা পরগণায় পরগণায় এক এক ব্যক্তিকে করসংগ্রাহক নিযক্ত করিলেন। তাঁহারা এক প্রকার কর-সংগ্রহের কণাষ্ট্রাক্টর হইলেন। রাজার রাজস্ব আদায় করিয়া দিবেন, তাহার বেশী যাহা আদায় করিতে পরিবেন, তাহা তাঁহাদিগের লাভ থাকিবে। ইহাতেই জমীদারীর সন্টি, এবং ইহাতেই বঙ্গদেশে প্রজাপীড়নের সন্টি। এই কন্ট্রাক্টরেরাই জমীদার। রাজার রাজসেম্বর উপর যত বেশী আদায় করিতে পারেন, ততই তাঁহাদের লাভ। সতরাং তাঁহারা প্রজার সব্বসবান্ত করিয়া বেশী আদায় করিতে লাগিলেন। প্রজার যে সব্বনাশ হইতে লাগিল, তাহা বলা বাহল্য। তাহার পর ইংরাজেরা রাজা হইলেন। তাঁহারা যখন রাজ্য গ্রহণ করেন, তখন তাঁহাদিগের সেই অবস্থা। তাহাদিগের দরবস্থা মোচন করিবার জন্য ইংরাজীদিগের ইচ্ছার ত্রটি ছিল না; কিন্তু লাড কর্ণওয়ালিস মহাভ্রমে পতিত হইয়া প্ৰজাদিগের আরও গরতের সব্বনাশ DDBD DD DDBD BSBuBBB SODDBBSBD BBS BBD S DDD DDDB জমীদারীতে তাঁহাদিগের যত্ন হইতেছে না। জমীদারীতে তাঁহাদিগের স্থায়ী অধিকার হইলে পর, তাহাতে তাঁহাদের যত্ন হইবে। সতরাং তাঁহারা প্রজাপীড়ক না হইয়া প্ৰজাপালক হইবেন। এই ভাবিয়া তিনি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সােজন করিলেন। রাজস্বের কণাষ্ট্ৰাষ্ট্রর দিগকে ভূস্বামী করিলেন। তাহাতে কি হইল ?? জমীদারেরা যে প্রজাপীড়ক, সেই প্রজাপীড়ক রহিলেন। লাভের পক্ষে, প্রজাদিগের চিরকালের সর্বত্ব একেবারে লোপ হইল। প্রজারাই চিরকালের ভূস্বামী; জমীদারেরা কস্মিন কালে কেহ নহেন-কেবল সরকারী তহশীলদার। কর্ণওয়ালিস যথার্থ ভুস্বামীর নিকট হইতে ভূমি কাড়িয়া লইয়া তহশীলদারকে দিলেন। ইহা ভিন্ন প্রজাদিগের আর কোন লাভ হইল না। ইংরাজ-রাজ্যে বঙ্গদেশের কৃষকদিগের এই প্রথম কপাল ভাঙ্গিল। এই “চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত” বঙ্গদেশের অধঃপাতের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত মাত্র-কস্মিন কালে ফিরিবে: না। ইংরাজদিগের এ কলঙ্ক চিরস্থায়ী; কেন না, এই বন্দোবস্ত “চিরস্থায়ী”। কশাওয়ালিস প্রজাদিগের হােত পা বান্ধিয়া জমীদারের গ্রাসে ফেলিয়া দিলেন-জমীদার BDuD DBDDDB DBBDB BBD BB00D DD BBBS BB DDB BBD D D DD DDDBBD DD

  • ミーミO 00: