বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबिध अवक-बक्र वाञ्चशाथिकाब्र এক্ষণে সদানীরা নামে কোন নদী নাই। কিন্তু হেমচন্দ্রাভিধানে এবং অমরকোষে করতোয়া নদীর নাম সদানীরা বলিয়া উক্ত হইয়াছে। কিন্তু দেখা যাইতেছে যে, সে এ সদানীরা নদী নহে; কেন না, শতপথ ব্ৰাহ্মণেই কথিত হইয়াছে যে, এই নদী কোশল (অযোধ্যা) এবং বিদেহ ब्राहङद्ध (भिथिव्ना) भक्षानौभा। ইহাতে এই নিশ্চিত হইতেছে যে, অতি পািব্বকালে মিথিলাতে ব্ৰাহ্মণ আসে নাই, কিন্তু যখন শতপথ ব্রাহ্মণ (ইহা বেদান্তগত) সঙ্কলিত হয়, তখন মিথিলায় ব্রাহ্মণ বাস করিত। শতপথ ব্ৰাহ্মণ প্রণয়নের বহকাল পািকব হইতেই আৰ্যগণ মিথিলাতে বাস করিত, সন্দেহ নাই; কেন না, ঐ ব্রাহ্মণে বিদেহ্যাধিপতি জনক সমাট বলিয়া বাচ্য হইয়াছেন। নবীন রাজ্যের রাজা প্রাচীন দিগের নিকট সমাট নাম লাভ করিবার সম্ভাবনা কি ? যখন মিথিলায় এতকাল হইতে ব্ৰাহ্মণের বাস, তখন যে ব্রাহ্মণেরা তথা হইতে আধনিক বাঙ্গালার উত্তরাংশে বিস্তত হয়েন নাই, এমত বোধও হয় না। তবে সে সময়ে বঙ্গদেশ সপািহণীয় বাসস্থান ছিল না, অথবা একেবারেই বা বাসযোগ্য ছিল না, এমত কেহ কেহ বলিতে পারেন। ভূতত্ত্ববিদেরা প্রমাণ করিয়াছেন যে, অতি পৰিবকালে বঙ্গদেশ ছিল না; হিমালয়ের মািল পৰ্যন্ত সমদ্র ছিল। অদ্যপি সমদ্রবাসী জীবের দেহাবশেষ হিমালয় পৰ্ব্ববর্ততে পাওয়া গিয়া থাকে। কি প্রকারে গঙ্গা এবং ব্ৰহ্মপত্রের মাখানীত কািন্দমে বঙ্গদেশ সন্টি, তাহা সর চালােস লায়েল প্রণীত 'Principles of Geology’ নামক গ্রন্থে বাণিত হইয়াছে। শতপথ ব্ৰাহ্মণ হইতে যাহা উদ্ধত হইয়াছে, তাহাতেই আছে, সদানীরা নদীর পরিপারস্থিত প্রদেশ জলপ্লাবিত। “স্লাবিতর” শব্দে প্লাবনীয় ভূমিই বৰঝায়। যদি তখন ত্ৰিহৎ প্রদেশের এই দশা, তবে অপেক্ষাকৃত নবীন বঙ্গভূমি সন্দরবনের মত অবস্থাপন্ন ছিল। কিন্তু সে সময়ে যে, এ দেশে মনষ্যের বাস ছিল, ঐ শতপথ ব্ৰাহ্মণেই তাহার প্রমাণ আছে। ঐ পৌন্ড্রেরাই তথায় বাস করিত। যথা, “অন্তান বঃ প্ৰজা তক্ষিন্ট ইতি। ত এতে অন্ধঃ প"ড্রাঃ শবরাও পলিন্দাঃ মাতিবাঃ ইতি উদন্ত্যাঃ বহবো ভবান্তি।” মহাভারতে সভাপব্বে প্রাগাক্ত স্থানেই আছে যে, ভীম প"ড্র বঙ্গাদি জয় করিয়া তামলিপ্ত, এবং সাগরকলবাসী স্লেচ্ছদিগকে জয় করিলেন।* অতএব তৎকালে এ দেশ আসমান্দ্ৰ জনাকীর্ণ ছিল। কিন্তু তথায় যে আৰ্যজাতির বাস ছিল, এমত প্রমাণ মহাভারতে নাই। প"ড্ররাজের নাম বাসদেব। আৰ্য্যবংশীয় নহিলে এ নাম সম্ভবে না। কিন্তু নাম কবির কলিপিত বলিয়া বোধ করাই উচিত। যদি বল, ঐ স্থলেই অনাৰ্য্যজাতিগণকে সমদ্রতীরবাসী স্লেচ্ছ বলা হইয়াছে, সেখানে বঝিতে হইবে যে, পণ্যদ্রাদিজাতি স্লেচ্ছ নহে; সতরাং তাহারা আষািজাতি। ইহার উত্তর এই যে, শেলচ্ছ না হইলে আৰ্যজাতি হইল, এমত নহে। স্লেচ্ছ একটি অনায্যজাতি মাত্র; যবনাদি আর আর জাতি তাহা হইতে ভিন্ন। যথা মহাভারতের আদিপর্ক্সেব “যদোস্তু যাদবা জাতীয়ুৰবাসোযিবিনাঃ সন্মতাঃ। দুহোঃ সত্যু বৈ ভোজঃ আনোয়ু স্লেচ্ছজাতীয়ঃ ৷” বরং ঐ মহাভারতেই পড়ু অনাৰ্য্যজাতিমধ্যে গণিত হইয়াছে, যথা “যবনাঃ কিরাতঃ গান্ধারাশৈচনাঃ শাবরবন্ধবরাঃ । শকাফুষারাঃ কঙ্কাশচ পহবাশচমন্দ্ৰমািদ্রকাঃ ॥ পৌন্ড্রাঃ পলিন্দা রমঠাঃ কালোবাজাশ্চৈব সব্বশঃ।” অতএব এই পয্যন্ত সিদ্ধ যে, যখন শতপথ ব্ৰাহ্মণ প্রণীত হয়, তখন এ দেশে আয্য জাতির অধিকার হয় নাই, যখন মনসিংহিতা সঙ্কলিত হয়, তখনও হয় নাই, এবং যখন মহাভারত প্রণীত হয়, তখনও হয় নাই। ইহার কোন খানি কোন কালে সঙ্কলিত বা প্রণীত হয়, তাহা পন্ডিতেরা এ পৰ্যন্ত নিশ্চিত করিতে পারেন নাই। কিন্তু ইহা সিদ্ধ যে, যখন ভারতে বেদ, সমতি এবং ইতিহাস সঙ্কলিত হইতেছিল, তখন এ দেশ ব্রাহ্মণশান্য অনাৰ্য্যভূমি। খীণ্টের

  • মহাভারতের যন্ধে বঙ্গাধিপতি গজসৈন্য লইয়া যাদ্ধ করিয়াছিলেন। কঙ্গেরা স্লেচ্ছ ও অন্যান্য গণমধ্যে গণ্য হইয়াছে।

ORA R-SS