বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী ভারতবর্ষের সংস্কৃত এবং সংস্কৃতমালক পালি প্রভৃতি প্রাচীন ভাষা: বাঙ্গালা, হিন্দী প্রভৃতি সংস্কৃতমালক আধনিক ভাষা; জেলদ, অর্থাৎ প্রাচীন পারস্যের অধিবাসীদিগের ভাষা ও DBBDB BBuuS lBuuu uDuuDS DSD DDDDS DDDBDBSB BuDS DDBDDBuDS BBB BuBDS রোমািলকজাতীয় ভাষা, টিউটন বংশীয়দিগের ভাষা, অর্থাৎ জন্মান, ওলন্দাজি, ইংরেজি ; সাইডেনি, নরওয়ের ভাষা, রস প্রভৃতি সলাবনিক ভাষা-সকলই সেই এক প্রাচীনা ভাষা হইতে উৎপন্না-সকলেই সেই এক বাদ্ধা মাতার দহিতা। সেই বহভাষার জননী প্রাচীনা ভাষা এখন DBDBD DDDSDDD sBDBD DB S BBD DBDB BBS BD DBDBDBD DBBB D DDuDuu BBB করিতেছে দেখিয়া অনমান করি যে, ইহাদের একজন জননী ছিল, তেমনি একই একবংশীয়া বহতর ভাষা দেখিয়া মনে করি যে, এক প্রাচীন মল ভাষা ছিল। যে জাতি ঐ ভাষা ব্যবহার করিতেন, তাঁহারা আযজাতি বলিয়া অধনা নামপ্রাপ্ত হইয়াছেন। সেই ভাষাসমৎপন্ন ভাষাগলি আয্যভাষা নামপ্রাপ্ত হইয়াছে। যে সকল জাতির ভাষা আৰ্য্যভাষা, তাহারা আয্যবংশীযা বলিয়া অনমিত এবং বর্ণিত হইয়া থাকে। যাহারা আর্য্যবংশসম্ভূত নহে, তাহারা অনাৰ্য্যজাতি। এখন কোল, সাঁওতাল, কোঁচ, কাছাড়ি প্রভৃতি জাতিদিগের ভাষা যাঁহারা অধ্যয়ন করিয়াছেন, তাঁহারা বলেন যে, এই সকল ভাষা প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্তগত-এই সকল ভাষার বিভক্তি নাই। অতএব এই সকল ভাষা অনায্যভাষা। যে সকল জাতির মাতভাষা অনায্যভাষা, সে সকল জাতি অনাৰ্য্যজাতি। কোল, সাঁওতাল, মেছ, কাছাডি অনায্যজাতি। আয্য ও অনায্য, এ ভেদের তাৎপৰ্য্য এই। এখন আযাদিগের সম্পবন্ধে একটা কথা বলিব। সে কথা এই যে, প্রাচীন আৰ্যজাতি-যাঁহারা পথিবীর সকল শ্রেষ্ঠ জাতির এবং আমাদিগের পঞ্চবর্ণপরিষ- তাঁহারা কোথায় বাস করিতেন ? ভারতবষীয়েরা বলিতে পারেনভারতই আৰ্যভূমি-ভারতবষের সংস্কৃতভাষা সকল আৰ্যভাষা হইতে প্রাচীনা দেখা যাইতেছে। তবে আৰ্য্যবংশের আদিম বাস ভারতবষী; ভারতবর্ষ হইতে তাঁহারা দলে দলে অন্য দেশে গিয়াছেন, এ কথা না বলিব কেন ? অতি প্রাচীন কালেও মন যবন প্রভৃতি জাতিকে ভ্রস্টক্ষত্ৰিয় বলিয়াছেন। কজন একজন পাশ্চাত্ত্য লেখকের এই মতা-এবং বিখ্যাত ভারতেতিহাসবেত্তা এলফিনলেণ্টানও কতক সেই দিকে টানেন। কিন্তু পাশ্চাত্ত্য পশ্চিডতদিগের মধ্যে যাঁহারা আয্যভাষা সকলের বিশেষ সমালোচনা করিয়াছেন, তাঁহাদিগের মত এই যে, আয্যেরা ভারতবষের আদিমবাসী নহেন-অন্যত্র হইতে আসিয়াছিলেন। তাঁহারা যখন আসেন, তখন ভারতবর্ষে অনাৰ্য্য জাতি বাস করিত। আয্যেরা অনাযাদিগকে জয় করিয়া বশীভুত অথবা বন্য এবং পাব্বিত্যদেশে দারীকৃত করিয়াছিলেন। এই স্থলে সেই সকল কথার প্রমাণের সবিস্তার প্রভৃতির এই মত। এই মতও এক্ষণে সকল পন্ডিত কত্ত্বক আদিত ॥৫ অতএব আয্যেরা দেশান্তর হইতে ভারতবষে আসিয়াছিলেন। পাশচাত্ত্য পন্ডিতেরা কেহ। কেহ বিবেচনা করেন যে, হিন্দকুশ পর্বতমালার উত্তরে, আসিয়ার মধ্যভাগে প্রাচীন আৰ্যভূমি ছিল, সেইখান হইতে তাঁহারা দলে দলে বাহির হইয়া গিয়াছিলেন। ডাক্তার মাের বিবেচনা করেন, ঐ হিমালয়োত্তরপ্রদেশই ভারতীয় আষ্যদিগের মধ্যে উত্তরকুর খ্যাত ছিল। একদল ইউরোপের এক প্রান্তে উপনিবেশ সংস্থাপন করিয়া, হেলেনিক নামধারণা করিয়া, জগতে অতুল্য সাহিত্য শিলপ দশনাদি প্রণয়ন করিয়াছিলেন। আর একদল ইতালীর নীলাকাশতলে সপ্তগিরিশিখরে নগরী নির্মাণ করিয়া পথিবীর অধীশ্বর হইয়াছিলেন। আর একদল বহনকাল জন্মানীর অরণ্যারাজিমধ্যে বিহার কারিয়া এখনকার দিনে পথিবীর নেতা ও শিক্ষাদাতা হইয়াছেন। আর একদল ভারতবর্ষে প্রবেশ করিয়া অনন্তমহিমাময় কীত্তি স্থাপন করিয়াছেন। তাঁহাদিগের " Journal, Roy. Asiat. Soc. Vol. XVI, pp. 172-200 vrss 5 Res sa Sanskrit Texts, part II, p. 299. History of India Vol. I.

  • ডাক্তার মাির সাহেবের Sanskrit Texts দ্বিতীয় খন্ডে ইহার সমালোচনা দেখ। 姆”