বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

di r 酸 পােনর শাজীবিত করিতে প্রতিজ্ঞার দৃঢ় হইয়াছিলেন, এবং তখন অশ্বথামাকে বলিয়াছিলেন যে, তুমি আমার তপোবল দেখিবে। আদর্শ মনষ্যের শিক্ষা আদর্শ শিক্ষাই হইবে। ফলও সেইরােপ দেখি। কিন্তু সেই প্রাচীন কালের আদর্শ শিক্ষা কিরােপ ছিল, তাহা কিছ জানিতে পারা গেল না, ইহা বড় দঃখের বিষয়। 更寸可<f死可一哥可可画 সকল সময়েই দেখা যায় যে, ভারতবর্ষে, অন্ততঃ ভারতবর্ষের উত্তরাদ্ধে এক এক জন সম্রাট ছিলেন, তাঁহার প্রাধান্য অন্য রাজগণ সত্বীকার করিত। কেহ বা করদি, কেহ বা আজ্ঞানবেত্তী, এবং যাদ্ধকালে সকলেই সহায় হইত। ঐতিহাসিক সময়ে চন্দ্রগঞ্জ, বিক্ৰমাদিত্য, অশোক, মহাপ্রতাপশালী গগুবংশীয়েরা, হৰ্ষবদ্ধন শিলাদিত্য, এবং আধনিক সময় পাঠান ও মোগল -ই হারা এইরােপ সম্রাট ছিলেন। হিন্দ,রাজ্যকালে অধিকাংশ সময়ই এই আধিপত্য মাগদাধিপতিরই ছিল। আমরা যে সময়ের বর্ণনায় উপস্থিত, সে সময়েও মাগদাধিপতি উত্তরভারতে সম্রাট। এই সমাট বিখ্যাত জরাসন্ধ। তাঁহার বল ও প্রতাপ মহাভারতে, হরিবংশে ও পরাণ সকলে অতিশয় বিস্তারের সহিত বৰ্ণিত হইয়াছে। কথিত হইয়াছে যে, কুরক্ষেত্রের যাদ্ধে সমস্ত ক্ষত্ৰিয়গণ একত্র হইয়াছিল। কিন্তু কুরক্ষেত্রের যন্দ্ধেও উভয় পক্ষের মোটে অল্টাদশ অক্ষৌহিণী সেনা উপস্থিত ছিল, লেখা আছে। একা জরাসন্ধের বিংশতি অক্ষৌহিণী সেনা ছিল লিখিত হইয়াছে। কংস এই জরাসন্ধের জামাতা। কংস তাঁহার দাই কন্যা বিবাহ করিয়াছিলেন। কংসবধের পর তাঁহার বিধবা কন্যাদ্বয় জরাসন্ধের নিকট গিয়া পতিহস্তার দমনার্থ রোদন করেন। জরাসন্ধ কৃষ্ণের বিধাৰ্থ মহাসৈন্য লইয়া আসিয়া মথরা অবরোধ করেন। জরাসন্ধের অসংখ্য সৈন্যের তুলনায় যাদবদিগের সৈন্য অতি অলপ। তথাপি কৃষ্ণের সেনাপতিত্বগণে যাদবেরা জরাসন্ধকে বিমাখ করিয়াছিলেন। কিন্তু জরাসন্ধের বলক্ষয় করা তাঁহাদের অসাধ্য। কেন না, জরাসন্ধের সৈন্য অগণ্য। অতএব জরাসন্ধ পািনঃপািনঃ আসিয়া মাথারা অবরোধ করিতে লাগিল। যদিও সে পািনঃপািনঃ বিমখীকৃত হইল, তথাপি এই পানঃপনঃ আক্রমণে যাদবদিগের গারতের অশভ উৎপাদনের সম্ভাবনা হইল। যাদবদিগের ক্ষদ্র সৈন্য পািনঃপািনঃ যন্ধে ক্ষয় হইতে লাগিলে তাঁহারা সৈন্যাশন্য হইবার উপক্রম হইলেন। কিন্তু সমদ্রে জোয়ার-ভাটার ন্যায় জরাসন্ধের অগাপ সৈন্যের ক্ষয়বদ্ধি কিছ জানিতে পারা গেল না। এইরূপ সপ্তদশ বার আক্রান্ত হওয়ার পর, যাদবেরা কৃষ্ণের পরামশানসারে মথরা ত্যাগ করিয়া দরক্রম্য প্রদেশে দাগ নিৰ্ম্মণপাকবািক বাস করিবার অভিপ্ৰায় করিলেন। অতএব সাগরদ্বীপ দ্বারকায় যাদবদিগের জন্য পরী নিৰ্ম্মােণ হইতে লাগিল এবং দরারোহ রৈবতক পৰ্ব্বতে দ্বারকা রক্ষার্থে দাগ শ্রেণী সংস্থাপিত হইল। কিন্তু তাঁহারা দ্বারকা যাইবার পকেবই জরাসন্ধ অল্টাদশ বার মাথারা আক্রমণ করিতে আসিলেন। এই সময়ে জরাসন্ধের উত্তেজনায় আর এক প্রবল শত্র কৃষ্ণকে আক্রমণ করিবার জন্য উপস্থিত হইল । অনেক গ্রন্থেই দেখা যায় যে, প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে স্থানে স্থানে যবনাদিগের রাজত্ব ছিল । এক্ষণকার পশিডতেরা সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, প্রাচীন গ্রীকদিগকেই ভারতবষীয়েরা যবন বলিতেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত বিশদ্ধ কি না, তদ্বিষয়ে অনেক সন্দেহ আছে। বোধ হয়, শক, হরণ, গ্রীক প্রভৃতি অহিন্দ, সভ্য জাতিমাত্রকেই যবন বলিতেন। যাহাই হউক, ঐ সময়ে, কালযবন নামে একজন যবন রাজা ভারতবর্ষে অতি প্রবল প্ৰতাপ হইয়া উঠিয়াছিলেন। তিনি আসিয়া সসৈন্যে মাথারা অবরোধ করিলেন । কিন্তু পরমসমররহস্যবিৎ কৃষ্ণ তাঁহার সহিত সসৈন্যে যাদ্ধ করিতে ইচ্ছা করিলেন না। কেন না, ক্ষদ্র যাদবসেনা তাঁহার সহিত যাদ্ধ করিয়া তাঁহাকে বিমাখ করিলেও, সংখ্যায় বড় অলপ হইয়া যাইবে। হতাবিশিস্ট যাহা থাকিবে, তাহারা জরাসন্ধকে বিমাখ করিতে সক্ষম হইতে না পারে। আর ইহাও পশ্চাৎ দেখিব ষে, সব্বভুতে দয়াময় কৃষ্ণ প্রাণিহত্যা পক্ষে ধৰ্ম্মম প্রয়োজন ব্যতীত অন্যরাগ প্রকাশ করেন না। ষদ্ধ অনেক সময়েই ধৰ্ম্মমনমোদিত, সে সময়ে যন্ধে অপ্রবত্ত হইলে, ধৰ্ম্মেমরি হানি হয়, গীতায় কৃষ্ণ এই মতই প্রকাশ করিয়াছেন। এবং এখানেও কালযবন এবং জরাসন্ধের সহিত যাদ্ধ ধৰ্ম্ম যাদ্ধ। আত্মরক্ষাথে এবং সর্বজনরক্ষাৰ্থ, প্ৰজাগণের রক্ষার্থ যাদ্ধ না করা ঘোরতর অধৰ্ম্ম । কিন্তু যদি 89