বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बम्किम ब्राध्नावणौं কেহ গবাদি পশরে, কেহ বা বক্ষের বা প্রস্তরখণ্ডের উপাসনা করে। এই সকলই উপাসনা; কিন্তু ইহার মধ্যে উৎকৰ্ষাপকষ আছে, অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে। কিন্তু সে উৎকৰ্ষাপকষ কেবল উপাসকের জ্ঞানের পরিমাণ মাত্র। যে নিতান্ত অজ্ঞ, সে পথিপাশ্বে পাম্পচন্দন সিন্দরাক্ত শিলাখণ্ড দেখিয়া, তাহাতে আবার পল্পচন্দন সিন্দর লেপিয়া যায়; যে কিঞ্চিৎ জানিয়াছে, সে না হয়, নিরাকার ব্রহ্মের উপাসক। কিন্তু ঈশ্বরের প্রকৃতির পরিমাণ জ্ঞান সম্পবন্ধে দই জনেই প্রায় তুল্য অন্ধ। যে হিমালয় পববািতকে বলমীক-পরিমিত মনে করে, আর যে তাহাকে বিপ্ৰপরিমিত মনে করে, এ উভয়ে সমান অন্ধ। ব্ৰহ্মবাদীও ঈশ্বরস্বরপ অবগত নহেন-শিলাখন্ডের উপাসকও নহে। তবে একজনের উপাসনা ঈশ্বরের নিকট গ্রাহ্য, আর একজনের অগ্রাহ্য, ইহা কি প্রকারে বলা যাইবে ? হয় কাহারও উপাসনা ঈশ্বরের গ্রাহ্য নহে, নয়। সকল উপাসনাই গ্রাহ্য। স্থল কথা, উপাসনা আমাদিগের চিত্তব্যত্তির, আমাদের জীবনের পবিত্রতা সাধন জন্য-ঈশ্বরের তুলিটসাধন জন্য নহে। যিনি অনন্ত আনন্দময়, যিনি তুলিিট অতুষ্টির অতীত, উপাসনা দ্বারা আমরা তাঁহার তুলেিটবিধান করিতে পারি না। তবে ইহা যদি সত্য হয় যে, তিনি বিচারক-কেনি না, কন্মের ফলবিধাতা-তবে যাহা তাঁহার বিশদ্ধ সর্বভাবের অন্যমোদিত, সেই উপাসনাই তাঁহার গ্রাহ্য হইতে পারে। যে উপাসনা কপট, কেবল লোকের কাছে ধাৰ্ম্মিমক বলিয়া প্রতিষ্ঠালাভের উপায়স্বরপ, তাহা তাঁহার গ্রাহ্য নহে-কেন না, তিনি অন্তৰ্যামী। আর যে উপাসনা আন্তরিক, তাহা ভ্ৰান্ত হইলেও তাঁহার কাছে গ্রাহ্য। যিনি নিরাকার ব্রহ্মের উপাসক বা তপশচারী, তাঁহাব উপাসনা যদি কেবল লোকের কাছে পসার করিবার জন্য হয়, তাহার অপেক্ষা যে অভাগী পত্রের মঙ্গল কামনায় ষািঠীতলায় মাথা কুটে, তাহার উপাসনাই অধিক পরিমাণে ভগবানের গ্রাহ্য दक्लिझा दार्थ श् । এই শ্লোকের তাৎপৰ্য্য বঝিলে, পথিবীতে আর ধৰ্ম্মগত পার্থক্য থাকে না;-হিন্দ, সেই এক ঈশ্বরের উপাসক-যে পথে তিনি আছেন, সেই পথে সকলেই যায়। এই শ্লোকোক্তি ধৰ্ম্মমই জগতে একমাত্র অসাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মম। এক মাত্ৰ সৰবজনাবলম্বনীয় ধৰ্ম্ম। ইহাও প্রকৃত झा। शिष्यात्र झाला ड्नान कां आन नोहे-आठ हे भान झाला त्रात शाक० ऊ ৫ী কাঙক্ষন্তঃ কম্পমাণাং সিদ্ধিং যজন্ত ইহ দেবতাঃ। ক্ষিপ্ৰং হি মানষে লোকে সিদ্ধিভবতি কমােজ ॥ ১২ ৷ ইহলোকে যাহারা কম্পমসিদ্ধি কামনা করে, তাহারা দেবগণের আরাধনা করে। এবং শীঘ্র মনষ্যিলোকেই তাহদের কম্পমসিদ্ধি হয়। ১২ ৷ অর্থাৎ সচরাচর মনষ্য কৰ্ম্মফল কামনা করিয়া দেবগণের আরাধনা করে এবং ইহলোকেই সেই অভিলাষিত ফল প্রাপ্ত হয়। সে ফল সামান্য। নিঅকাম কন্মের ফল অতি মহৎ । তবে মহৎ ফলের আশা না করিয়া, লোকে সামান্য ফলের চেণ্টা করে কেন ? ইহা মনষ্যের সর্বভাব যে, যে-সখ। শীঘ্য পাওয়া যাইবে, তাহা ক্ষত্রে হইলেও, মনষ্যে তাহারই চেন্টা করে। চাতুব্বর্ণ্যং ময়া সন্টিং গণকলম বিভাগশঃ। তস্য কৰ্ত্তারামপি মাং বিদ্ধ্যকত্তারমব্যয়ম ৷ ১৩ ৷৷ গণ ও কন্মের বিভাগ অনসারে আমি চারি বর্ণ সন্টি করিষাছি বটে, কিন্তু আমি তাহার (সন্টি) কৰ্ত্তা হইলেও আমাকে অকৰ্ত্তা ও বিকার-রহিত জানিও। ১৩ । হিন্দীশাস্ত্রের সাধারণ উক্তি এই যে ব্রাহ্মণবণ সন্টিকত্তার মািখ হইতে, ক্ষত্ৰিয় বাহ হইতে, বৈশ্য উরা হইতে এবং শািন্দ্র চরণ হইতে সম্পন্ট হয়। কিন্তু গণকৰ্ম্ম বিভােগশঃ চাতুব্বর্ণ্য সন্ট হইয়াছে, এই কথা হিন্দীশাস্ত্রের কথিত সাধারণ উক্তির সঙ্গুে আপাততঃ সঙ্গত বোধ হয় না। নানা কারণে এ কথাটার বিস্তারিত বিচার আবশ্যক। প্রথমতঃ দেখা যায়, হিন্দীশাস্ত্রের কথিত সাধারণ উক্তির আদি বিখ্যাত পরিষসক্তে। ঋগোিবদসংহিতার দশম মণডলের নবন্তিতম সািজকে পরষসক্ত কহে। উহার প্রথম ঋক “সহস্রশীষা পরিষঃ সহস্রাক্ষঃ” ইত্যাদি ব্রাহ্মণগণ আজিও বিষ্ণুপ জাকালে প্রয়োগ করিয়া থাকেন। পাশচাত্ত্য পশিডতগণ-যাঁহারা প্ৰতিপন্ন করিতে চাহেন যে বৈদিক কালে জাতিভেদ Φά αO