বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতত্ত্ব ও হিন্দধৰ্ম্মমর্ণ-ৰেদের দেৰতা নয়। তবে শতপথব্রাহ্মণে ও মহাভারতে উহাদিগের শ্রেণীবিভাগ ও নাম পাওয়া যায়। শ্রেণীবিভাগ এইরহপ। দ্বাদশটি আদিত্য, একাদশটি রচন্দ্র এবং আটটি বস। “আদিত্য” “রদ্র” এবং “বস" বিশেষ একটি দেবতার নাম নয়, দেবতার শ্রেণী বা জাতিবাচক মাত্র। এই হইল একত্রিশ। তারপর এ ছাড়া “দ্যাবা পথিবী” এই দটি লাইযা তেত্রিশটি। শতপথব্রাহ্মণে প্রজাপতিকে ধরিয়া ৩৪টি গণা হইয়াছে। মহাভারতের অনশাসন পন্ধেব উহাদিগের নাম নিদ্দেশ্য আছে। যথা আদিত্য। অংশ, ভগ, মিত্র, জলেশ্বর, বরণ, ধাতা, অৰ্য্যমা, জয়ন্ত, ভাস্কর, ভুট্টা, পাষা, ইন্দ্র, বিষ্ণু । রদ্র। অজ, একপদ, আহিব্ৰধা, পিনাকী, ঋত, পিতৃরূপে ত্র্যেবেক, বিষাকপি, শঙ্কু, হবন, শ্ববা । বস। ধর, ধ্রুব, সোম, সবিতা, অনিল, অনল, প্রতিষ, প্রভাস । —“প্রচার, ১ম বিষ, পঃ ৩৭-৪৬, ১০২-৮ ৷৷ び石び不可び不エ (বেদশীর্ষক প্রবন্ধের পরিভাগ) আগামরা বেদ সম্পবন্ধে যাহা লিখিযাছি, তাহার উদ্দেশ্য যে কেবল পাঠককে দেখাইব, বেদে কি রকম সামগ্ৰী আছে, তাহা নহে। আমাদের আর একটি উদ্দেশ্য এই যে, বেদে কোন দেবতাদের উপাসনা আছে ? ঋগোিবদসংহিতা বেদের সবাপেক্ষা প্রাচীন অংশ বলিয়া আধনিক পন্ডিতেরা স্থির করিয়াছেন, তাই, আমরা এখন ঋগ্ৰেবাদসংহিতার আলোচনায় প্রবত্ত, কিন্তু সমযে বেদের অন্যান্যাংশের দেবোপাসনার স্থল মৰ্ম্ম যাহা পাওয়া যায়, তাহা বঝাইব । এখন, আমরা দেখিয়াছি, ঋগ্বেদে আছে যে, দেবতা তেত্রিশটি, কবি, ভক্ত বা ঠাকুরাণীদিদিদিগের গলেপ গলেপ তেত্ৰিশ কোটি হইয়াছে। তাৎ পর দেখিয়াছি যে, সেই তেত্রিশটি দেবতা, শতপথব্রাহ্মণে (ইহাও বেদ) তিন শ্রেণীতে বিভণ্ড হইয়াছেন, যথা (১) আদিত্য, (২) রািদ, (৩) বাস। তার পর মহাভারতে এই তিন শ্রেণীর দেবতার যেরপ নাম দেওয়া আছে, তাহ ও দিযাছি। { বদের সঙ্গে ইহার কিছু মিলে না। ইহার মধ্যে কোন কোন দেবতার নামও ঋগোিবদে পাওযা যায় না। ঋগ্বেদে এমন অনেক দেবতার নাম পাওয়া যায়, যাহা এই তালিকার ভিতর নাই। ঋগ্বেদে কতকগালি আদিত্যের নাম আছে বঢ়ে, এবং রন্দ্র ও বাস শব্দদ্বয বহন বচনে ব্যবহৃত হইয়াছে। কিন্তু দ্বাদশ আদিত্য একাদশ রদ্র, এবং অন্ট বস, এমন কথা নাই। ঋগোিবদে নিম্পনলিখিত দেবতা দিগের নাম পাওয়া যায় । (১) মিত্র, বরণ, অযত্নমা, ভগ, দক্ষ, অংশ, মাত্তািন্ড, সদস্য, সবিতা ও ইন্দ্ৰ। ইহাদিগকে ঋগোিবদের কোন স্থানে না কোন স্থানে আদিত্য বলা হইয়াছে। ইহ'র মধ্যে অয্যমা, ভগ, দক্ষ, অংশ, মাত্তািন্ড ইহাদিগের কোন প্রাধান্য নাই। (২) আর বন্যটির, অর্থাৎ মিত্র, সােয্য, বরণ, সবিতা ও ইন্দ্রের খাব প্রাধান্য। তদ্ভিদ নিম্নলিখিত দেবতারাও ঋগোিবদসংহিতায় বড় প্রবল । অগি, বায়, মরগণ, বিষ্ণু, পতজন্য, পাষা, ভুলটা অশ্বীদ্বয়, সোম। (৩) বহিস্পতি, ব্রহ্মণস্পতি ও যমেরও কিছ গৌরব আছে। (৪) ত্রিত, আপ্ত্য, অধিৱন্ধ ও অজ একপদের নাম স্থানে স্থানে পাওয়া যায়। (৫) এই কয়টি নামে সন্টিকত্তা বা ঈশ্বর বঝায়-বিশ্বকৰ্ম্মমা, হিরণ্যগভ, স্কম্ভ, প্রজাপতি, পরিষ, ব্ৰহ্ম। (৬) তদ্ভিন্ন কয়েকটি দেবী আছেন। দাইটি দেবী বড় প্রধানা-অদিতি ও উষা। (৭) সরস্বতী, ইলা, ভারতী, মহী, হোত্রা, বরকেত্রী, ধীষণা, অরণ্যানী, অগ্নায়ী, বরপানী, অশ্বিনী, রোদসী, রাকা, সিনিবালী গঙ্গ, শ্রদ্ধা ও শ্ৰী, এই কয় দেবীও আছেন। তাঁত্তান্ন পরিচিতা সকল নদীগণও স্থূত হইয়াছেন। ー ミー&O