বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাপ্ত গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচনা লেখক মধ্যে মধ্যে কবিতা রচনা করিয়া ভ্রাতাকে পাঠাইয়া দিতেন। বাঙ্গালী হইয়া যিনি ইংরাজিতে কবিতা রচনা করেন, আমরা যখন তাহার প্রশংসা করিব না, ইহা আমাদের স্থির প্রতিজ্ঞা। সতরাং তাঁহার কবিতার প্রশংসা কনিতে পারিলাম না। পরিশেষে লেখকের নিকট আমাদিগের বিশেষ অনবোধ এই যে, এই পান্তকখানি বাঙ্গালায় অন্যবাদ করিয়া প্রচার করুন। যাঁহাৰা ইংরাজি জানেন না, তাঁহাদিগের পক্ষে ইহা যােদশ মনোরঞ্জক এবং উপকারী, ইংরাজি অভিজ্ঞদিগের নিকট তােদশে নহে। যাহারা ইংরাজি জানেন, তাহারা ইউরোপের বিষয় কিছ কিছ জানেন । যাহারা ইংরেজি জানেন না, তাহারা ইউরোপের বিষয় কিছই জানেন না। বিলাত কি—মরভূমি কি জলাশয, ভূত প্ৰেত কি রাক্ষসের বাস তাহার কিছই জানেন না। অন্ততঃ গ্রন্থকারকে অন্যুরোধ করি যে, বঙ্গসন্দরীদিগেৰ পাঠাথে ইহা বাঙ্গালায় প্রচার করন। তসজন্য যে কিছ পকিঘৰ্ত্তন আবশ্যক, তাহা কািন্টকব হইবে না; কষ্টকর হইলেও তাহার। সার্থকতা আছে। বাঙ্গালীদিগেব মোমেব এমন শক্তি হইফাছে নে, এরপ গ্রন্থ পড়িয়া মন্মগ্রহণ করিতে পারেন। কিন্ত বাঙ্গালায় এমন গ্রন্থ প্রাম নষ্ট যে, তাঁহাদের শমনগাহের পশ্চাতে কি আছে, তাহা জ্ঞাত করায। সতরাং অনেকেরই বোধ আছে, বিলাতে বাঙ্গালীতে মোট বয়, বাঙ্গালীতে ভূমি চষে ; কেন না। সাহেব কি মোট বহিবে, না লাঙ্গল ধরিবে ? —“বঙ্গদশন,* ফালগন ১২৭৯, পৰ্ব ৫o৩-o৭ ৷৷ প্রাপ্ত গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচনা হিন্দী ধৰ্ম্মের শ্রেষ্ঠতা। শ্ৰী রাজনারায়ণ বসা প্রণীত। কলিকাতা জাতীক্ষা য’ত্র। এই গ্রন্থ এবং ইহার পবে যে গ্রন্থের উল্লেখ করা যাইতেছে, এই দলই গ্রন্থের সমালোচনায় BBD DBS BBB Bu DDSDD BBSDB BtBBuS BBLBBB LLtStBB BDBBBB 0EBB অপ্ৰশংসা করিশমা থাকি। তাহতে লেখক-দিগেরও অসখি, আমাদিগেরও অসিখে। লেখক BBB DD BBB BBB BBB SDBBB BBBD KB BBBBBkBBDBS DBDBBDuDBBS aBDD BBBBB হইতে আজি পৰ্য্যস্ত যত গ্ৰন্থ প্রণীত হইযাছে, সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ঠািট।" সমালোচক যদি ইহার অন্যথা লেখেন, তবেই গ্রন্থকাবের বিষম রাগ উপস্থিত হয। দভাগ্যক্রমে পথিবী মধ্যে যত দেশে যত গ্রন্থকার জন্মগ্রহণ করিয়া লোকপীড়া জন্ম ইষাছেন, তন্মধ্যে সাধাবণ বাঙ্গালী গ্রন্থকার সকবাপেক্ষা অপকৃস্ট। সতের ও তাঁহাদিগেল আমরা প্রশংসা করি না। অপ্রশংসা দেখিযা, লেখক সম্প্রদায় আমাদিগের প্রতি রাগ করেন। সভ্য জাতীযদিগের মধ্যে কাহারও এরপা বাগ হইলে, তিনি সে রাগ গায়ে মারেন: দই একজন বাকুল গ্রন্থকার কদাচিৎ সমালোচনার প্রতিবাদ কবেন। কিন্তু বাঙ্গালীর সর্বভাব সেরাপ নহে। বাঙ্গালী অন্য যে কায্যে পরাঙামািখ হউন না কেন, কলহে কদাপি পরাঙামািখ নহেন। সমােলাচনাম অপ্রশংসা দেখিলেই তাহার প্রতিবাদ করিতে হইবে-প্রতিবাদ করিতে গেলে এ সম্প্রদায়ের লেখকদিগের দঢ বিশ্বাস আছে যে ভদ্রলোকের ভাষা এবং ভদ্রলোকের ব্যবহার বড় জনীয। যে দেশে অলপ কাল হইল, কবিব লড়াই ভদ্রলোকের প্রধান আমোদ ছিল-যে দেশে অদ্যাপিও পাঁচালি প্রচলিত, যে দেশের লোক অশ্লীল গালিগালাজ ভিন্ন অন্য গালি জানে না, সে দেশেব ক্রুদ্ধ লেখকেবা যে রাগের সময়ে আপনাপন শিক্ষা এবং সংসগের সম্পলেট পরিচয় দিতে কুন্ঠিত হইবেন না, তাহা সহজেই অনমেয়। কখন কখন দেখিযাছি যে মহাসম্প্রান্ত দেশমান্য ব্যক্তিও আপনার সম্পমানের ত্রটি হইযাছে বিবেচনা করিষা, রাগান্ধ হইয়া ইতরের আশ্রষ অবলম্বন করিযাছেন এবং মাতৃভাষাকে কলষিত করিযাছেন। কখন কখন দেখিয়াছি, রাগান্ধ লেখকেরা সমালোচনাব মৰ্ম্ম গ্রহণ করিতেও অক্ষম। যদি আমরা কোন পাস্তকান্তগত চব্বিত চকবািণকে ব্যঙ্গ করিয়া “নন্তন” বলিষাছি, গ্ৰন্থকার মনে করিয়াছেন সে, সত্য সত্যই তাঁহার কথাগালিকে নািতন বলিযাছি। যদি কোন গ্রন্থে দাই আর দই চারি হয়, এমত কথা পাঠ করিয়া তাহা দাঙ্গেয বলিয়া ব্যঙ্গ করিয়াছি, অমনি গ্রন্থকার মনে করিষাছেন যে, আমার আবিস্কৃত তত্ত্ব সত্য সত্যই দত্তেজ্ঞয় বলিয়া নিন্দা করিয়াছে। সতরাং তিনি অধীর হইয়া প্রমাণ করিতে বসিয়াছেন যে, তাঁহার কথাগালিন অতি প্রাচীন এবং সকলেরই জ্ঞানগোচর। কখন কখন দেখিয়াছি, কোন সামান্য অপরিচিত লেখক মনে মনে স্থির করিয়াছেন, আমরা ঈষাবশতই তাঁহার গ্রন্থের নিন্দা করিয়াছি। এ সকল রহস্যে ፱ q€)