বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাজনা কে ? তুমিও ভূতলে পড়িবে ? পড়, কিন্তু কেবল গব্বোন্নতের মস্তকেয়। উপর পাড়িও । এই ক্ষদ্র পরোপকারী শস্যমধ্যে পড়িও না-আমরা তাহদের বাঁচাইতে যাইতেছি। ভাঙ্গ ত এই পৰ্ব্বতশােঙ্গ ভাঙ্গ; পোড়াও তা ঐ উচ্চ দেবালয়াচড়া পোড়াও। ক্ষদ্রকে কিছ, যালিও না।--আমরা ক্ষদ্র-ক্ষ্যদের জন্য আমাদের বড় ব্যথা।। দেখ, দেখ, আমাদের দেখিয়া পথিবীর আহমাদ দেখ! গাছপালা মাথা নাড়িতেছে-নদী দলিতেছে, ধান্যক্ষেত্রে মাথা নামাইয়া প্ৰণাম করিতেছে-চাষা চাষিতেছে-ছেলে ভিজিতেছেকেবল বেনে বউ আমসী ও আমসত্ত্ব লইয়া পলাইতেছে। মরা পাপিষ্ঠা! দই একখানা রেখে যা না-আমরা খাব। দে, মাগীর কাপড় ভিজিয়ে দে। আমরা জাতিতে জল, কিন্তু রঙ্গরস জানি। লোকের চাল ফটো করিয়া ঘরে উকি মারিদম্পতির গহে ছাদ ফটা করিয়া টা দিই। যে পথে সন্দর বৌ জলের কলসী লইয়া যাইবে, সেই পথে পিছল করিয়া রাখি। মল্লিকার মধ্য ধাইয়া লইয়া গিয়া, ভ্রমরের অল্প মারি। মাড়ি মড়কির দোকান দেখিলে প্রায় ফলার মাখিয়া দিয়া যাই। রামী চাকরাণী কাপড় শকুতে দিলে, প্রায় তাহার কাজ বাড়াইয়া রাখি। ভান্ড বামনের জন্য আচমনীয় যাইতেছে দেখিলে, তাহার জাতি মারি। আমরা কি কম পাত্ৰ ! তোমরা সবাই বল-আমরা রসিক। তা যাক-আমাদের বল দেখ। দেখ, পৰবতকািন্দর, দেশ প্রদেশ ধাইয়া লইয়া, নািতন দেশ কমাণ করিব! বিশীণা সত্রাকারা তামিনীকে কলগ্রাবিনী দেশমডিজনী অনন্তদেহধারিণী অনন্ত তরঙ্গিণী জলরাক্ষসী করিব। কোন দেশের মানষে রাখিব—কোন দেশের মানষি মারিবকত জাহাজ বহিব, কত জাহাজ ডুবাইব-পথিবী জলময় করিব-অথচ আমরা কি ক্ষদ্র! আমাদের মত ক্ষদ্র কে ? আমাদের মত বলবান কে ? શctIN) খাদ্যোত যে কেন আমাদিগের উপহাসের স্থল, তাহা আমি বঝিতে পারি না। বোধ হয়, চন্দ্র সময্যাদি বহৎ আলোকাধাের সংসারে আছে বলিয়াই জোনাকির এত অপমান। যেখানেই অলপগণবিশিষ্ট ব্যক্তিকে উপহাস করিতে হইবে, সেইখানেই বক্তা বা লেখক জোনাকির আশ্রয় গ্রহণ করেন। কিন্তু আমি দেখিতে পাই যে, জোনাকির অলপ হউক, অধিক হউক, কিছ আলো আছে-কই, আমাদের তা কিছই নাই। এই অন্ধকারে পথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়া কাহার পথ আলো করিলাম ? কে আমাকে দেখিয়া অন্ধকারে, দস্তরে, প্রান্তরে, দন্দিনে, বিপদে, বিপাকে বলিয়াছে, এস ভাই, চল চল, ঐ দেখ আলো জীবলিতেছে, চল, ঐ আলো দেখিয়া পথ চল ? অন্ধকার! এ পথিবী ভাই বড় অন্ধকার! পথ চলিতে পারি না। যখন চন্দ্র সমর্য্য থাকে, তখন পথ চালি-নাহিলে পারি না। তারাগণ আকাশে উঠিয়া, কিছু আলো করে বটে, কিন্তু দক্ষিদর্শনে ত তাহদের দেখিতে পাই না। চন্দ্রসােয্যও সদিনে-দিদিনে, দঃসময়ে, যখন মেঘের ঘটা, বিদ্যুতের ছটা, একে রাত্রি, তাহাতে ঘোর বর্ষা, তখন কেহ না। মনষ্যনিৰ্ম্মিত যন্ত্রের ন্যায় DBBBDBD BBDYSaLCCLLC ECLC LCCCCCCCL0LL GGS 000ESEE0LSS SBDBBD DDD SBDSSYDDBYS হীনভাস, ঘণিত, সহজে হন্য, সব্বদা হাত-তুমিই সেই অন্ধকার দন্দিনে বর্ষাবটিতে দেখা দাও । তুমিই অন্ধকারে আলো। আমি তোমাকে ভাল বাসি। আমি তোমায় ভাল বাসি, কেন না, তোমার অলপ, অতি অলপ আলো আছে- আমিও মনে জানি, আমারও অলপ, অতি অলপ আলো আছে—তুমিও অন্ধকারে, আমিও ভাই, ঘোর অন্ধকারে। অন্ধকারে সখি নাই কি ? তুমিও অনেক অন্ধকারে বেড়াইয়াছ—তুমি বল দেখি ? যখন নিশীথমেঘে। জগৎ আচ্ছন্ন, বর্ষা হইতেছে ছাড়িতেছে, ছাড়িতেছে হইতেছে; চন্দ্ৰ নাই, তারা নাই, আকাশের নীলিমা নাই। পথিবীর দীপ নাই-প্রস্ফটিত কুসমের শোভা পৰ্যন্ত নাই- কেবল অন্ধকার, অন্ধকার! কেবল অন্ধকার আছে—আর তুমি আছ-তখন, বল দেখি, অন্ধকারে কি সখি নাই ? সেই তপ্ত রৌদ্রপ্রদীপ্ত ককাশ পাশাপীড়িত, কঠোর শব্দে শব্দায়মান অসহ্য সংসারের পরিবত্তে সংসার আর তুমি! জগতে অন্ধকার; আর মাদিত কামিনীকুসমী জলনিষেকতর শায়িত বক্ষের পাতায় পাতায় তুমি! বল দেখি ভাই, সখি আছে কি না ? BDD D DD BDBS S DDB D DBBBS DD BBDBBB0S DD g BDDD AO