পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাপ্তপ গোত্র দত্তবংশ । ] উত্তস্বরাষ্ট্রীক্স কাজস্থ-কাণ্ড tyసి মুসলমান ইতিহাস ও সুলতানগণের মুদ্র হইতে ৮১৭ হিজরীতে ফিরোজশাহের অভিষেক ও পতনের সংবাদ পাওয়া যায়। সুতরাং এ সময়ে প্রকৃত প্রস্তাবে রাজা গণেশ গৌড়বঙ্গের সৰ্ব্বময় কর্তী হইলেও নিজে মুসলমান-শাসিত পাণ্ডুয়ায় অভিষিক্ত হন নাই। দিনাজপুরের কোন স্থানে রাজা গণেশের অভু্যদয় হইয়াছিল এবং তাহার কোন স্থতিচিহ্ন আছে কি না তাহাই প্রথমতঃ আলোচ্য। দিনাজপুর জেলায় রাইগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশন হইতে ৬ মাইল উত্তরে মহোস নামক একটা ক্ষুদ্রগ্রামে বহুদিনের পুরাতন একটা মসজিদ দৃষ্ট হয়। এই মসজিদটি স্বচক্ষে দর্শন করিতে গিয়াছিলাম। মসজিদের পীর সাহেবের সহিত আলাপ হয় । পীর সাহেব দৃঢ়তার সহিত বলিয়াছিলেন, এই মসজিদের অদূরে ক্ষত্রিয়রাজ গণেশের বাড়ী ছিল । বাস্তবিকই এখানে বিশাল ধ্বংসাবশেষ পড়িয়া আছে। তন্মধ্যে শিল্পনৈপুণ্যযুক্ত প্রস্তরখণ্ডেরও অভাব নাই। সেই ভগ্ন প্রস্তরখণ্ডগুলি রাজা গণেশের প্রাচীন রাজবাটীর ধ্বংসাবশেষ | মহোসগ্রামের মসজিদটি জলাল উদ্দীনের নিৰ্ম্মিত। রাজ গণেশের পুত্র যন্ত্র মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়৷ জলাল উদ্দীন নাম গ্রহণ করিয়া এই মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । বল বাহুল্য, পূৰ্ব্বে এখানে প্রস্তরময় একটা হিন্দুদেবালয় ছিল। সেই হিন্দুমন্দির ভাঙ্গিয় তাহারই উপর এই মসজিদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। মসজিদের প্রবেশদ্বারে মাথার উপর একটী বাসুদেব মূৰ্ত্তি, মন্দিরের অংশ পাশ চারিদিকেই হিন্দুস্থাপত্যের নিদর্শন ও মধ্যে মধ্যে দেওয়ালের গায়ে উল্টাভাবে নান হিন্দু দেবদেবীর মূৰ্ত্তি আছে। এই প্রাচীন গ্রামের যেখানে অট্টালিকার ভগ্নাবশেষ পড়িয়া আছে, তাহারই অনতিদূরে অৰ্দ্ধ মাইলের মধ্যে গণেশপুর' নামক গ্রাম রাজা গণেশের নাম ঘোষণা করিতেছে । গণেশপুর হইতে মালদহ জেলায় বর্তমান পাণ্ডুয়। পৰ্য্যন্ত বরাবর একটা পুরাতন রাস্ত চলিয়। গিয়াছে। গণেশপুর হইতে ২ মাইলের মধ্যেই ব্রাহ্মণগীও | কেহ কেহ বলিস। থাকেন, উক্ত গ্রামে রাজা গণেশের ব্রাহ্মণসচিব ও পুরোহিতগণ বাস করিতেন । এই গ্রামের মধ্য দিয়া পুরাভন পাণ্ডুয়ার সড়ক গিয়াছে। বলা বাহুল্য, রাজা গণেশের প্রাধান্তকালে তৎপূর্ববর্তী গোড়ের স্থলতানগণ পাণ্ডুয়া নগরেই রাজধানী করিয়াছিলেন। রাজকাৰ্য্যোপলক্ষে রাজা গণেশ গণেশপুর হইতে এই পুরাতন রাস্ত দিয়াই পাণ্ডুয়ায় যাতায়াত করিতেন। রাজা গণেশের রাজকীয় কার্য্যের সুবিধার জন্য সম্ভবতঃ তিনি গণেশপুর হইতে পাওয়া পৰ্য্যস্ত র্তাহার গমনাগমনের উপযোগী পথ প্রস্তুত করাইয়াছিলেন । o রাজা গণেশ গৌড়েশ্বর হইয়া কেবল হিন্দুস্বাধীনতা ঘোষণা ধরিয়া ক্ষান্ত ছিলেন না। র্তাহার অভু্যদয়ের সহিত আবার হিন্দুমন্দিরসমূহ শঙ্খ ঘণ্টানিনাদিত, দেবস্তোত্রমুখরিত ও বেদধ্বনিবিঘোষিত হইল—সমস্ত ব্রাহ্মণসমাজ তাহাতে উল্লাসিত হুইয়া উঠিলেন। হিন্দুধৰ্ম্ম রক্ষার জন্ত ব্রাহ্মণগণ র্তাহার মুখাপেক্ষী হইয়াছিলেন । অপর সমাজের ত কথাই নাই, ব্রাহ্মণসমাজেও এই সময় মুসলমান-নিগ্রহে সামাজিক বিশৃঙ্খল উপস্থিত হইয়াছিল। ব্রাহ্মণসমাজের নেতৃগণ এই সময়ে সমাজরক্ষা, ধৰ্ম্মরক্ষা ও আভিজাত্যরক্ষার ব্যবস্থা করিবার সম্ভ ১ই 鄰