পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বামিত্ৰগোত্র মিত্রবংশ। ] উত্তরক্সান্ত্রীক্স কী ন্ন স্থ-ক গু 8& হইয়াছিল। দুঃখের বিষয় উক্ত পুষ্করিণীটি নিষ্কর হইলেও উক্ত গ্রামের পত্তনীদার উত্তরপাড়নিবাসী yজয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় বলপূৰ্ব্বক তাহ মালের সামিল করিয়া লইয়। বগচরের প্রায় ৩••y বিঘা জমি প্রজা বন্দোবস্ত করিয়াছেন এবং পুষ্করিণীটি ক্রমশঃ পূর্ণ হইয়। সঙ্কীর্ণ হইয়। আসিতেছে। কালে হরিনারায়ণের কীৰ্ত্তি নষ্ট হইবার সম্ভাবনা। হরিনারায়ণের অপর কীৰ্ত্তি ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্ধা দেবীর সেবার নিমি হু লাখরাজ মহাল নন্দনপুর অর্পণ। উক্ত মহালে কয়েকট মৌজায় বার্ষিক আয় ১৬০০ টাকা আদায়ের ভার তদীয় গুরুদেব মানকরনিবাসী শিবনাথ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের উপর দিয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত গুরুদিগের প্রণামী জন্ত বার্ষিক দ্বাদশ সহস্র মুদ্র আয়ের সম্পত্তি মানকর প্রভৃতি মৌজায় প্রদত্ত হইয়াছিল। - হরিনারায়ণ রায়ের দুইটি কন্যা ছিল। প্রথম কস্তার বিবাহ পাঁচখুপীর পুরাতনবাড়ীর হাজরাবংশে পাৰ্ব্বতীচরণ রায়ের সহিত ও দ্বিতীয় কন্যার বিবাহ রসড়া জয়দেববংশে দুর্গানারায়ণ রায়ের সহিত হইয়াছিল। খাজুরডিহির মিত্ৰগণ সামাজিক মৰ্য্যাদায় সমকক্ষ ছিলেন না, এজন্ত হরিনারায়ণের কন্যাকে বিবাহ করিলে জ্ঞাতিগণ পাৰ্ব্বতীচরণকে ঘৃণার চক্ষে দেখিতে লাগিলেন। হরিনারায়ণ তাহ জানিতে পারিয়া পাঁচখুপীবাসী কায়স্থগণকে পাৰ্ব্বতীচরণের , বাটীতে নিমন্ত্রণ করিয়া খাওয়াইলেন ও সকলকে যথোপযুক্ত অর্থাদি দিয়া সন্মান করিলেন এবং পাঁচ পীর পাশ্বস্থ মনিয়াডিহি মহাল পাৰ্ব্বতীচরণকে বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন ও নবাব সরকারে পাৰ্ব্বতীচরণকে একটী উচ্চপদে কৰ্ম্ম করিয়া দিলেন। তাহার পর জ্ঞাতিগণ পাৰ্ব্বতীচরণকে সম্মান করিতে লাগিলেন। বর্তমানকালে ঐযুক্ত পূর্ণানন্দ ঘোষ রায় উক্ত পাৰ্ব্বতীচরণের বংশধর । হরিনারায়ণের দ্বিতীয় জামাত দুর্গানারায়ণ রায় বহু সম্পত্তি এবং নবাব সরকারে উচ্চ পদে কৰ্ম্ম লাভ করিয়াছিলেন। কোনও মতে পাৰ্ব্বতীচরণ দপনারায়ণের জামাত । - হরিনারায়ণের সময়ে ঢাকায় বাঙ্গলার রাজধানী ছিল। তথায় বাড়ী নিৰ্ম্মাণ জন্তু বাদশাহের ফৰ্ম্মান অনুসারে দুইশত বিঘা লাখরাজ জমি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। উক্ত মৌজা ৯ নাম হইয়াছিল গের্দ হাবেলী । তথায় বাহিরবাটী, অন্দরবাটী, কাছারীবাটী, ঠাকুরবাটী ইত্যাদি লইয়। প্রায় ৪০yচল্লিশ বিঘা জমিতে বাসবাটী নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছিল। এখনও তথায় পুরাতন রায়বাজারবাট নামে ভগ্ন অট্টালিক, গোবিন্দরায়ের মন্দির, পঙ্গলঘরে নামিবার সিড়ি, পাতালঘর প্রভৃ ত বর্তমান আছে। কালীমন্দিরটা ভাল অবস্থায় আছে। গোবিন্দরায় বিগ্রহ ডাছাপাড়ার বাটতে বর্তমান আছেন্ম। ঢাকার বাহিরবাটতে এখন কতকগুলি প্রজা বাস করে। ঢাকার বাটীর ক ক অংশ বেদখল্প হইয়াছে। বাকী অংশ দেবত্তররূপে এখনও বঙ্গাধিকারী বংশীয়দের দখলে রহিয়া ছ। হরিনারায়ণ অপুত্রক ছিলেন, এজন্ত দর্পনারায়ণ রায়কে দত্তকপুত্র গ্রহণ করিয়ছিলেন । , হরিনারায়ণের মৃত্যুর পর সম্রাট আরঙ্গজেব তাহাকে পিতৃপদ প্রদান করিয়াছিলেন।