পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বামিত্ৰগোত্র মিত্রবংশ ] উত্তররাষ্ট্রীক্স কাশ্লস্থ-কাণ্ড 8సి জন্য চেষ্টা করেন। রাধামাধব বিলাসী ও অপরিমিতব্যয়ী বলিয়া কমিশনর সাহেব স্বৰ্য্যনারায়ণের পত্নীকে পূৰ্ব্ব ম্যানেজারকে নিযুক্ত রাখিতে অনুরোধ করিলে তিনিই ম্যানেজার রছিলেন। এই গৃহবিবাদের সময় তিন বৎসর কালেক্টরী হইতে মাসছারার টাকা ন লওয়ায় মুর্শিদাবাদের কালেক্টর সাহেব মাসহীরার টাকা লইবার কেহ মালিক নাই বলিয়। গবর্ণমেণ্টে রিপোর্ট পাঠান ও এইরূপে মাসহাঁর বন্ধ হয়। চন্দ্রনারায়ণ যখন সাবালক হইলেন তখন তাহার বার্ষিক আয় তিন লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা। এই সময় দেওয়ান বক্রনাথ রায় পরলোকগমন করেন। বৈষ্ণবচরণ মজুমদার নামে জনৈক স্বার্থপর কৰ্ম্মচারী দেওয়ানের পদ পাইলেন । তিনি চন্দ্রনারায়ণকে বিলাসিতীয় প্রলোভিত রাখিয়া অনেক সম্পত্তি নষ্ট করিয়াছিলেন। স্বৰ্য্যনারায়ণ রায় কিছু সম্পত্তি দেবোত্তর করিয়া তাহার পত্নীকে সেবায়ৎ নিযুক্ত করিয়াছিলেন । উক্ত দেবোত্তর সম্পত্তি উচ্ছেদ করিয়া মাল করিবার জন্ত চন্দ্রনারায়ণ মাতার বিরুদ্ধে মোকদম উপস্থিত করিলেন। ফলে ইহাতেও প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাক বার্ষিক আয়ের সম্পত্তি নষ্ট হইয়। ষায়। অপর দিকে মাসহাঁর বন্ধের পরে তাহ পুনঃ প্রাপ্তির জন্ত আর কোনও চেষ্ট হইল না। চন্দ্রনারায়ণ ক্রমান্বয়ে ছয়টি বিবাহ করিয়াছিলেন। চতুর্থ পত্নীর গৰ্ত্তে ব্রজেন্দ্রনারায়ণের ও ষষ্ঠ পত্নীর গৰ্ত্তে যোগেন্দ্রনারায়ণের জন্ম হয়। চন্দ্রনারায়ণের চতুর্থ পত্নী রাণী দিগম্বর স্বীয় পুত্র ব্রজেন্দ্রনারায়ণকে লইয়া পৃথক্ভাবে থাকিতেন ও দেবোস্তুর সম্পত্তির আয় ভোগ কয়িতেন ; চন্দ্রনারায়ণ কনিষ্ঠ রাণী ও তৎপুল্ল ষোগেন্দ্রনারায়ণকে লইয়া পৃথক ভাবে বাস করিতেন এবং যোগেন্দ্রনারায়ণের নাম কালেক্টরীতে জারী করাইয়া নিজে নাবালকের অলিআছিকুপে কালক্ষেপ করিতে লাগিলেন । কনিষ্ঠ রাণীর দুইটি কষ্ঠার বিবাহ দিয়া প্রত্যেকের মাসহীরা একশত টাকা নির্দেশ করিয়া দিয়া চন্দ্রনারায়ণ কন্যা ও জামাতাগণকে নিজালয়ে রাখিলেন। জ্যেষ্ঠ জামাত কুলাইনিবাসী রাধিকাপ্রসাদ ঘোষ ও কনিষ্ঠ জামাত সারদাপ্রসাদ ঘোষ। রাধিকাপ্রসাদের একটি পৌত্রীর সহিত কান্দীর রাজা বীরেন্দ্রচন্দ্র সিংহের ও অপর পৌত্রীর সহিত যশোর চাচড়ার কুমার নৃপতীশকণ্ঠ রায়ের বিবাহ হয়। চন্দ্রনারায়ণের মৃত্যুর পর কুলাইবাসী ঘোষ মহাশয়ের যোগেন্দ্রনারায়ণ রায় চন্দ্রনারায়ণের একমাত্র উত্তরাধিকারী বলিয়া নামজারীর দরখাস্ত করাইলেন। অপর দিকে ব্রজেন্দ্রনারায়ণ তাহাতে আপত্তি দিলেন । কন্যাগণও প্রাপ্য বাকী মাসহীরার জন্ত ণুেকদম স্থাপন করিলেন। হাইকোর্ট পৰ্য্যন্ত মোকদুমায় বহু টাকা ব্যয় হয়। সম্পত্তির অধিকাংশই ঋণ দায়ে নষ্ট হইয়া যায়। এইরূপে বঙ্গাধিকারীগণের বিপুল সম্পত্তি ধ্বংস প্রাপ্ত হইল। ব্রজেন্দ্রনারায়ণ র্তাহার পত্নীকে সেবায়ং করিয়া কিছু সম্পত্তি দেবোত্তর করিয়া গিয়াছিলেন, সম্প্রতি তাহাই মাত্র অবলম্বন রহিয়াছে। বলাবাহুল্য ষোগেন্দ্রনারায়ণ অল্প বয়সেই কালগ্রাসে পতিত হইয়াছিলেন । সুতরাং ব্রজেন্দ্রনারায়ণের পুত্র প্রতাপনারায়ণ বঙ্গাধিকারীগণের একমাত্র বংশধর রহিয়া যান। অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় প্রতাপনারায়ণ ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে পূৰ্ব্ব মাসহরা পাইবার জন্য প্রার্থনা করেন। গবৰ্ণমেণ্ট তাহাকে মাসহার দিতে অস্বীকার