পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ লঙ্গেল্প জাতীক্স ইতিহাস ৮ম অধ্যায়। শেওড়াফুলীর রাজ বংশ বিবরণ । পাটুলির দত্তরাজবংশের ইতিহাসের স্বচনায় উল্লেখ করিয়াছি কেশ দত্ত বা কৃষ্ণ দত্ত এবং বিশু দত্ত বা বিষ্ণু দত্ত প্রথমে স্তবাটীতে বাস করিতেন। শেওড়াফুলীর রাজবংশীয়গণ বলেন, বিষ্ণু দত্ত একদা ভাগ্যাম্বেষণে বিদেশে গমন করিয়া কোনও বাদশাহের কৃপাদৃষ্টিতে পতিত হইয়াছিলেন ও তথা হইতে দেশে ফিরিয়া দত্তবাটী না গিয়া অগ্রদ্বীপে বাস করেন ও তথায় ৮ফ্রঞ্চদেব বিগ্রন্থ স্থাপন করেন এবং পরগণা মহম্মদ আমীনপুর উক্ত দেবের দেবো ভর করিয়া দেন। পুনরায় কৰ্ম্মস্থলে গিয়া যে অর্থ উপার্জন করেন, তদ্বার তিনি প্রথমে বহু সম্পত্তি ক্রয় করিয়ছিলেন। পরে আরও উন্নতি লাভ করিয়া উত্তরবঙ্গে গমন করেন। তথায় সম্ভবতঃ তাহার জ্ঞাতি ও গৌড়াধিপ যদুর অনুগ্রহে পদ্মার উত্তর হইতে । হিমালয়ের পাদদেশ পর্য্যন্ত সমগ্র ভূমির কানুনগে৷ পদ লাভ করিয়াছিলেন। তখন তিনি কেশ দত্তের বংশধরকে অগ্রদ্বীপের সম্পত্তি অর্থাৎ বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার দক্ষিণ হইতে ভাগীরথীর উভয়পর্শে সমুদ্র তীর পর্য্যন্ত সমগ্র ভূখণ্ডের আধিপত্য প্রদান করেন। কেশ দত্ত অগ্রদ্বীপে যান নাই। সম্ভবতঃ তাহার পুত্র দ্বারকানাথ তথায় গিয়া বাস করেন । দ্বারকনাথের পুত্ৰ শ্ৰীমুখ ও তৎপুত্র সহস্রাক্ষ অগ্রদ্বীপে বাস করিতেন । প্রবাদ আছে, সহস্ৰাক্ষ দত্ত ব্রাহ্মণগণকে বহু ভূমিদান করিয়া যশোভাগী হইয়াছিলেন এবং তঁtহার দৈনন্দিন দান এত বেশী ছিল যে র্তাহার সমসাময়িক কোনও রাজা সেরূপ যশস্বী হুইতে পারেন নাই । তদানীন্তন গৌড়ের বাদশাহ হোসেন শাহ এজন্ত ঈর্মপর তন্ত্র হুইয়া সহস্ৰক্ষ দত্ত্বের অধিকাংশ সম্পত্তি কড়িয়া লইয়াছিলেন। পরে সম্রাট আকবর শাহের রাজত্বকালে বৃদ্ধ সহস্রাক্ষ দন্তের পুত্র উদয় দন্ত সবে বঙ্গলার ওয়াশীল তুমীর জমা কালে রাজা টোডরমল্লকে বিশেষ সাহায্য করায় রাজা মানসিংহ ও রাজা টোডরমল্লের অনুরোধে সম্রাট আকবর শাহ বঙ্গাব্দ ৯৮০ সালে (১৫৭৩ খৃষ্টাব্দে ) সহস্রাক্ষ দত্তকে কয়েকট পরগণা বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছিলেন। BBBBB BBBBBB BBB BB BBB BiBBBB BBB BB BBBB DD BBB প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। সহস্রাক্ষ দত্বের মৃত্যুর পর অগ্রদ্বীপ গঙ্গায় গ্রাস করিলে উদয় দত্ত ভাগীরথীর পশ্চিম পারে পাটুলিতে রাজধানী স্থাপন করেন। উত্তরকালে শ্ৰীল গোবিন্দ ঘোষ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শ্ৰীশ্ৰীyগোপীনাথ ঠাকুরের পিতৃ শ্রাদ্ধের মেলা উপলক্ষে একদা ৫৬ জন লোকের মৃত্যু হয়। তখন মুর্শিদাবাদে নবাবদিগের শাসনকাল। পাটুলির রাজাদিগকে খুনের জষ্ঠ দায়ী করিলে তাহাদিগের উকিল দরবারে জানাইলেন উক্ত সম্পত্তি পাটুলির রাজাদিগের নহে, বৰ্দ্ধমানের রাজউকীলও ঐরূপ অস্বীকার করিলেন। নবদ্বীপের রাজা রঘুনাথ রায়ের উকীল চতুর ছিলেন, তিনি উক্ত অগ্রদ্বীপের স্বামিত্ব স্বীকার করিয়া লইলেন এবং নানা প্রকারে নবাবের সন্তোষ সম্পাদন করিয়া রঘুনাথকে খুনের দায় হইতে মুক্ত করিলেন। তদবধি অগ্রদ্বীপ পাটুলির রাজাদিগের হস্তচু্যত হইয়। নবদ্বীপাধিপতির অধিকারে রহিয়াছে।