পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাপ্তপ গোত্র দত্তবংশ। ] উত্তররাষ্ট্ৰীশ্ন কাক্সস্থ-কাণ্ড Yసి মাতৃ-অাদেশে তিনি গৃহত্যাগ করিয়া যাইতে ন পারিলেও জটাজটাদি সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করিয়া সম্পূর্ণ উদাসীন ভাবে গৃহে রছিলেন। এজন্ত লোকে তাহীকে ‘জটে রাজা বলিত। এই সময় ব্রাহ্মণগণ প্রত্যহই তাহার নিকট হইতে ভূমি দান প্রাপ্ত হইতেন। চতুর্দিকে এই রূপ দানের কথা প্রচারিত হইলে শেষে দলে দলে ব্রাহ্মণ আসিয় তাহাকে ভূমির জন্ত ধরিত। শেষে এরূপ অবস্থা হইল যে এই সকল ব্রাহ্মণের নিকট হইতে দূরে থাকিবার জন্ত তিনি মধ্যে মধ্যে বনপ্রদেশে গমন করিতেন। কথিত আছে একদা এক ব্রাহ্মণ র্তাছাকে বনমধ্যে দেখিতে পাইয়া ভূমি প্রার্থনা করিলে তথায় লিখনোপকরণ না পাইয়। বিস্বপত্রে বিস্তুকণ্টকে স্বীয় শোণিত দ্বারা এক খানি ভূমিদনপত্র লিখিয় দিয়াছিলেন। উক্ত ব্রাহ্মণের বংশধরগণ এখনও উক্ত ব্রহ্মোত্তর ভোগ করিতেছেন । রাজচন্দ্রের ব্রাহ্মণভক্তির একটা দৃষ্টান্ত এখনও প্রবাদ স্বরূপ প্রচলিত আছে। একদ রাজচন্দ্র বনমধ্যে পথিপাশ্বে লুক্কায়িত রহিয়াছেন, এমন সময়ে কয়েকটা গোয়ালিনী নিজ নিজ দুঃপকাহিনীর বিষয় গল্প করিতে করিতে উক্ত পথে যাইতেছিল। গল্পের মৰ্ম্ম এই যে রাজ্যে ব্রাহ্মণদিগের অত্যন্ত দৌরাত্ম্য হইয়াছে, তাহারা গোয়ালিনীদিগের দধি, দুগ্ধ, ছান, মাখন, ঘুত প্রভৃতি দ্রব্য বলপূৰ্ব্বক লইয়া যান, তাহার মূল্য দেন না, রাজার নিকট অভিযোগ করিলে তিনিও কোন প্রতিকার করেন না। এই প্রসঙ্গে একটী গোয়ালিনী বলিয়া উঠিল “রাজা ত ব্রাহ্মণের দাস, তিনি কি প্রতিকার করিবেন, এই কথা শুনিয়া রাজা আনন্দাশ্রপূরিত লোচনে বনমধ্য হইতে বাহিরে আসিয়া গোয়ালিনীদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন "ম সকল, আমি কি ব্রাহ্মণের দাস হইবার যোগ্য হইয়াছি ?” রাজা রাজচন্দ্র রায় বহু দেবদেবীর প্রতিষ্ঠা ও বহু দেবোত্তর ভূমি দান করিয়াছিলেন । তিনি শ্রীরামপুরে রামসীভ, লক্ষ্মণ, ভরত ও শক্রয় ঠাকুরের সেবা প্রতিষ্ঠা করিয়া কিঞ্চিদধিক তিন শত বিঘা দেবোত্তর ভূমি দান করিয়াছিলেন। কেহ কেহ বলেন, তদবধি ফ্রেড রিক্স নগরের নাম শ্রীরামপুর হইয়াছে। কলিকাতায় শ্ৰীশ্ৰী৮চিত্রেখর সর্বমঙ্গলার মন্দির নিৰ্ম্মাণ ও তজ্জন্ত ভূমিদান রাজচন্দ্রের কীৰ্ত্তি । তিনি আরও অনেক দেবকীৰ্ত্তি স্থাপন করিয়৷ গিয়াছেন । বাঙ্গলার শাসনকর্তা ওয়ারেন হেষ্টিংস সাহেবের নামে যখন বিলাতে পার্লিয়ামেণ্টে মোকদম চলিতেছিল, তখন হেষ্টিংস সাহেবের পক্ষ হইতে এ দেশের বহু গণ্যমান্ত ব্যক্তির নিকট প্রশংসা পত্র লওয়া হইয়াছিল। উক্ত মোকদ্দমার পেপার বুকে দেখা যায়, রাজচন্দ্রর নিকট, হইতেও তিনি একখানি ঐরুপ প্রশংসাপত্ৰ লইয়াছিলেন। g রাজচন্ত্রের চারিট পুত্র মধ্যে জ্যেষ্ঠ রাধাকৃষ্ণ চতুর্দশবর্ষ বয়সে যোগী হইয়। অল্পদিনেই পরলোকগমন করেন। মধ্যম দুর্গাপ্রসাদ গঙ্গাধর রায়ের দত্তকপুত্র হইয়া বালিতে বাস করেন, তৃতীয় প্রতাপনারায়ণ অনুপযুক্ত থাকা হেতু পিতা কর্তৃক নারায়ণপুর গ্রাম তালুক পাইয়া তথায় বাস করেন । সৰ্ব্বকনিষ্ঠ আনন্দচন্দ্র উপযুক্ত বিবেচিত হওয়ায়