বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চদশ পুত্তলিকা।
১০১

 এই আখ্যায়িকা সমাপ্ত হইলে পুত্তলিকা ভােজ রাজকে কহিল, নৃপতে যদি তুমি রাজা বিক্রমাদিত্যের ন্যায় এই প্রকার ক্ষমতাপন্ন হও তবে এই সিংহাসনে উপবেশন কর, নতুবা লােক সমাজে হাস্যাপদ হইবে। এই কথা বলিতে বলিতে সে দিবসের লগ্নও অতীত হইল। পরদিবস রাজা পুনর্ব্বার সিংহাসনে উপবেশন করিবেন এই চিন্তা করিতে করিতে তৎসমীপে আগমন করিলে,

অনুপবতী পঞ্চদশ পুত্তলিকা

কহিল, হে ভােজরাজ, রাজা বিক্রমাদিত্যের যে রূপজ্ঞান ও যে সকল গুণ ছিল, তাহা অত্যাশ্চর্য, আমি তাহা বলিতে ইচ্ছা করি, কিন্তু পাছে যােগ বর্ণনা না হয় এই আশঙ্কা হইতেছে। রাজা বলিলেন সে জন্য চিন্তা নাই তুমি বল। পুত্তলিকা কহিল তবে মনেযােগ পূর্ব্বক শ্রবণ কর।

 এক দিবস রাজা বিক্রমাদিত্য সভায় বসিয়া আছেন ইতিমধ্যে কোন স্থান হইতে এক ব্রাহ্মণ আসিয়া তাহার নিকটে চারিটী শ্লোক, পাঠ করিলেন, তাহার অর্থ এই, মিত্রদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক ব্যক্তি যাবৎ চন্দ্র সুর্য্য থাকিবেন তাবৎ নরক ভােগ করিবে। রাজা শ্লোক শ্রবণে সন্তুষ্ট হইয়া ব্রাহ্মণকে সমুচিত পুরস্কার প্রদান পূর্বক কহিলেন ইহার তাৎপর্যার্থ ব্যাখ্যা করিয়া দ্বামাকে বল। ব্রাহ্মণ বলিতে লাগিলেন।