বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চদশ পুত্তলিকা।
১০৩

মহিষীর একখান চিত্রপট প্রস্তুত করিয়া দাও। আমি তাহা সর্ব্বদা সম্মুখে রাখিব। চিত্রকর নতশির হইয়া বলিলেন যে আজ্ঞা, আমি চিত্রপট লিখিয়া দিব। তদনন্তর রাজার স্থানে বিদায় হইয়া বাটীতে আসিয়া চিত্র প্রস্তুত করিতে আরম্ভ করিলেন, এবং কয়েক দিবস শ্রম করিয়া ঐ চিত্র এমত উত্তমরূপে, প্রস্তুত করিলেন যে রাণীকে ইন্দ্রের অরা হইতেও অধিক মনোহারিণী জ্ঞান হইতে লাগিল, অথচ রাণীর যে অঙ্গ যে প্রকার ছিল তাহা অবিকল সেইরূপ হইল।

 এই চিত্র প্রস্তুত হইলে চিত্রকর তাহা রাজসমীপে প্রেরণ করিলেন। রাজা অবলোকন করিয়া অত্যন্তু সন্তুষ্ট হইলেন। তিনি দেখিলেন ছাঁচে ঢালিলে যেমত হয়, নখ অবধি মস্তক পর্য্যন্ত সেইরূপ উত্তম হইআছে। কিন্তু জানু দৃষ্টি করিয়া দেখিলেন ঐস্থানে একটা তিল আছে। তাহাতে অন্তঃকরণে এইরূপ সন্দেহ উপস্থিত হইল যে, রাণীর জানুদেশে তিল আছে এব্যক্তি কি প্রকারে দেখিতে পাইল, অবশ্য রাণীর সহিত ইহার সন্দর্শনাদি আছে, তাহা না হইলে কি প্রকারে দেখিতে পাইবে। অতএব কুপিত হইয়া মন্ত্রীকে বলিলেন চিত্রকরকে পুনর্ব্বার ডাকাও। মন্ত্রী আজ্ঞামাত্র তাহাকে ডাকিতে পাঠাইলেন। চিত্রকর মনে করিলেন রাজা তুষ্ট হইয়াছেন, বুঝি পুরস্কার দিবেন এইজন্য আহ্বান করিয়াছেন। পরে চিত্রকর রাজার সম্মুখে উপস্থিত হইলে, রাজা ঘাতক