বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চদশ পুত্তলিকা।
১০৯

শুনিয়া রাজা তাহাকে আনয়নার্থে আজ্ঞা দিলেন। মন্ত্রী স্বীয় ভবনে গিয়া চিত্রকরকে সমুদায় বৃত্তান্ত জানাইলেন, আর বলিলেন আমি রাজাকে এই প্রকার বলিয়া আসিয়াছি, তুমি নারীবেশ ধারণ করিয়া আমার সঙ্গে আইস। চিত্রকর তাহাতে সম্মত হইয়া স্ত্রী বেশে মন্ত্রী সমভিব্যাহারে শিবিকারোহণে গমন করিলেন। রাজপুরে উপনীত হইলে রাজাজ্ঞায় রাজপুরীস্থ লোকেরা তাহাকে যত্নপূর্ব্বক যবনিকার মধ্যে বসাইল। রাজা রাজপুত্র ও মন্ত্রী তাহার বহির্ভাগে উপবিষ্ট হইলেন। অনন্তর ছদ্মবেশী চিত্রকর রাজপুত্রকে উত্তমাসনে উপবেশন করাইতে বলিলেন। তাহা হইলে পর চিত্রকর রাজপুত্রকে কহিলেন আমি তোমাকে যাহা কহি তাহা মনোেযোগ পূর্ব্বক শ্রবণ কর। বিভীষণ বড় শূর বীর ছিলেন, কিন্তু তিনি আপন ভ্রাতার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা প্রকাশ পূর্ব্বক, রামচন্দ্রের সহিত মিলিয়া আপন ভ্রাতার রাজ্য নষ্ট এবং আপন কুলক্ষয় করিয়াছিলেন। এই লজ্জায় তিনি এক বৎসর মস্তক উত্তোলন করেন নাই, এবং পরিশেষে আপন কর্মের প্রতিফলও পাইয়াছিলেন। ভস্মসুর নামে এক দৈত্য মহাদেবের অনেক তপস্যা করিয়াছিল, তাহাতে মহাদেব প্রসন্ন হইয়া তাহাকে বর দিয়াছিলেন। কিন্তু তাহার পর, সে তজ্জায়া পার্বতীর হরণাভিলাষী হয়। ইহার ফল তখনি পাইল, অর্থাৎ মহাদেবের