বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১২
বত্রিশ সিংহাসন

 রাজা পুত্রের রোগশান্তি দেখিয়া অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলেন, এবং চিত্রকরকে মন্ত্রীর পুত্রবধূ বিবেচনায় বলিলেন হে সুন্দরি তুমি কুলের বধূ, বনের জন্তুকে কি প্রকারে জানিতে পারিলে বল। চিত্রকর কহিল আমি বিদ্যাভ্যাস জন্য যে গুরুর নিকটে যাইতাম তাহার যথেষ্ট সেবা করিতাম। তাহাতে তিনি আমার প্রতি প্রসন্ন হইয়া আমাকে এক মন্ত্র দিয়াছিলেন, ঐ মন্ত্র সাধন করিয়া আমি দেবীর অনুগৃহীত হইয়াছি, দেবী আমার অন্তঃকরণে সদা বিরাজমান। আছেন। অতএব আমি রাণীর জানুদেশে তিলের কথা যাহার কৃপায় জানিয়াছিলাম তাহারই কৃপায় বন্য ভালুকের বৃত্তান্ত জানিতে পারিয়াছি।

 এই কথা শুনিয়া রাজা অতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন, এবং তৎক্ষণাৎ যবনিকা স্থানান্তর করিয়া চিত্রকরকে কহিলেন তুমি যথার্থ সরস্বতীর বরপুত্র, আমি এই ক্ষণে তোমার গুণ জানিতে পারিলাম। ইহা বলিয়া তখনি তাহাকে অসীম সম্পত্তি প্রদান পূর্ব্বক আপনার মন্ত্রিত্ব পদে নিযুক্ত করিলেন।

 এই বৃত্তান্ত বলিয়া ব্রাহ্মণ কহিলেন মহারাজ এই চারি মন্ত্রই চারি শ্লোক, এবং এই তাহার তাৎপর্য্য। রাজা বিক্রমাদিত্য শুনিয়া ব্রাহ্মণকে আরো তাধিক পারিতোষিক প্রদান পূর্বক বিদায় করিলেন।

 পুত্তলিকা বলিল হে ভোজরাজ তোমার এমত বদান্যতা কোথায়, রাজা বিক্রমাদিত্যের তুল্য সদ্গুনা-