বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ঘােড়শ পুত্তলিকা।
১১৯

বিদায় করিলেন। পরে নানাবিধ বসন ভূষণ ও আর আর নানাজাতীয় উত্তম উত্তম দ্রব্য থালাতে সাজাইয়া চারিট। উত্তম অশ্ব লইয়া রাজাকে উপঢৌকন দিতে গেলেন। রাজা যে খটা দিয়াছিলেন তাহাও প্রত্যপণ করণার্থ সঙ্গে লইলেন। পরে রাজার সম্মুখে উপস্থিত হইয়া রাজাকে ভেট দিয়া বলিলেন মহারাজ আপনার পুণ্য প্রতাপে আমার শুভ কর্ম্ম উত্তম রূপে সম্পন্ন হইয়াছে। সম্প্রতি সেই চতুর্দোল আনিয়াছি গ্রহণ করিতে আজ্ঞা হউক। রাজা হাস্থ্য করিয়া বলিলেন আমি যে দ্রব্য একবার দান করি তাহা কখন পুলগ্রহণ করিনা, অতএব এই খট্টা তোমাকে একবারে দিয়াছি তাহা পুনর্ব্বার লইব না। ইহা কহিয়া রাজা, বণিক যে সকল দ্রব্য ভেট আনিয়াছিল তাহা, এবং নিজ ভাণ্ডার হইতে এক লক্ষ মুদ্রা আনাইয়া তাহার পুত্রকে যৌতুক দিলেন। বণিক তাহাতে অতিশয় আলাদিত হইয়া গৃহে আসিলেন।

 এই বৃত্তান্ত বলিয়া পুত্তলিকা কহিল হে ভোেজরাজ দেবরাজও বিক্রমাদিত্যের তুল্য ঐশ্বর্যশালী হইতে পারেন নাই। তুমি কিসের মধ্যে আছ, তুমি এত উচ্চ আশা করিওনা। এই সকল কথায় সে দিবসের শুভ ক্ষণও অতীত হইল। রাজা অন্তঃপুরে গিয়া কোন প্রকারে রজনী বঞ্চন করিলেন। নিশাবসান হইলে সিংহাসনোপবেশন মানসে যখন পুনর্ব্বার উপস্থিত হইলেন, তখন,