বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বাবিংশ পুত্তলিকা।
১৫৫

আরও বলিলেন মনুষ্য মনুষ্যকে কি শিখাইতে পারে, যদি তাহা হইত তবে সকলেই পণ্ডিত হইতে পারিত, ফলতঃ পূর্ব্ব জন্মের সুকৃতি ভিন্ন কখন বিদ্যা হয় না। বিধাতা যাহার অদৃষ্টে যাহা লিখিয়াছেন, মনুষ্যের সাধ্য নাই তাহার বিপরীত করে। রাজা বলিলেন মন্ত্রী তুমি এ কি কথা কহিতেছ, সন্তান ভূমিষ্ঠ হইলেই মাতা পিতার উপদেশানুসারে চলে, এবং তাহাদের যে প্রকার ব্যবহারাদি দেখে সেই প্রকার শিখে, ইহাতে পূর্ব জন্মের ফল কি আছে। বালকগণকে যাহা শিখান যায় তাহাই শিখে, আর যেমন সংসর্গে বাস করে সেই প্রকার বুদ্ধিও হয়। মন্ত্রী বলিলেন ধর্মাবতার আমি আপনার কথায় বিতণ্ডা করিতে পারি না, কিন্তু আপনি বিবেচনা করিয়া দেখুন অদৃষ্টানুসারে মনুষ্যের ফলভোগ হইয়া থাকে। রাজা কহিলেন ইহার পরীক্ষা করা কর্তব্য।

 তদনন্তর রাজা নরাগম্য এক নিবিড় অরণ্য মধ্যে এক গৃহ নির্মাণ করিতে আজ্ঞা দিলেন। পরে তাহা প্রস্তুত হইলে, তাহার এক পুত্র জন্মিল। ঐ পুত্র মাতৃ গর্ভ হইতে ভূমিষ্ঠ হইবা মাত্র তিনি তাহাকে ঐ স্থানে প্রেরণ করিলেন, এবং তাহার রক্ষার্থ এক ধাত্রী নিযুক্ত করিলেন, সে জন্মান্ধা ও বধিরা এবং বাক শক্তি রহিতা, কোন কথা কহিতে পারিত না, কেবল বালককে দুগ্ধপান করাইত। ইহার কিছু কাল পরে মন্ত্রীর এক পুত্র জন্মিল, এবং রাজপুরোহিতের ও নগরপালের দুই পুত্র