বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
এয়ােবিংশ পুত্তলিকা।
১৬৫

আরোহণ করিলেন। পরে, এক নদীতীরদিয়া গমন করিতে করিতে দেখিলেন হস্তী ব্যাঘ্র গণ্ডার প্রভৃতি নানা জাতীয় বন্য জন্তু যথা তথা ভ্রমণ করিতেছে, তাহাদের ভয়ানক চীৎকারে মেদিনী কম্পমানা হইতেছে। মন্ত্রী ইহাতেও ভীত না হইয়া নিয়ে গমন করিতে লাগিলেন। কতক দূর গিয়া দেখিলেন নদীপ্রবাহ দিয়া সেই প্রকার আর একটী পুষ্প ভাসিয়া আসিতেছে। তাহাতে মনে মনে মহানন্দিত হইয়া কহিলেন, সেই প্রকার আর একটী পুষ্প দেখিতে পাইলাম, পরমেশ্বরের কৃপা হইলে, বৃক্ষও দৃষ্ট হইবে। ইহা ভাবিতে ভাবিতে যত অর্থে চলিলেন ততই সেই প্রকার আরো পুষ্প দেখিতে পাইলেন। ইহাতে হৃদ্বোধ হইল অবশ্যই বৃক্ষ পাইব। অনন্তর আরো কিয়দরে যাইয়া দেখিলেন সম্মুখে এক গিরিশিখর এবং তন্নিমে এক অট্টালিকা আছে। তাহার সৌন্দর্য্য সন্দশনে আশ্চর্যান্বিত হইয়া মনে মনে ভাবিলেন অগম্য অবণ্যের মধ্যে এমত রম্য স্থান দেখিতেছি, ইহার মধ্যে অবশ্যই কোন মনুষ্য থাকিবেন। ইহা চিন্তা করিতে করিতে অট্টালিকার অনতিদূরে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন এক কঠোর তপস্বী নদীতীরস্থ এক বিটপীস্কন্ধে পাদ বন্ধন পূর্ব্বক অধঃশির হইয়া জলের উপরিভাগে লম্বমান আছেন, তাহার অস্থি চর্ম শুষ্ক হইয়া কাবৎ হইয়াছে, তাহারই শাণিত এক এক ফোটা নদীতে পতিত হইয়া, পুষ্প হইয়া ভাসিয়া