বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
এয়ােবিংশ পুত্তলিকা।
১৬৭

উপনীত হইলাম, তথা হইতে এক গিরি উল্লম্মান পূর্বক তন্নিষ ভাগে এক অপূর্ব্ব অট্টালিকা দেখিলাম, তন্নিকটে এক যোগী এক বিটপীশাখায় শৃঙ্খলে পাদ বন্ধন পূর্ব্বক নদীর উপর অধঃশিরা হইয়া ঝলিতেছেন। ঐ যোগীর চর্ম অস্থিতে লিপ্ত হইয়াছে, কিন্তু তাহার শরীর হইতে ফোটা ফোটা শোণিত জলে পড়িয়া পুষ্প হইয়া আসিয়া আসিতেছে। ঐ মহীরুহমূলে আরো বিংশতি জন তপস্বী যোগাসনে বসিয়া ধ্যান করিতেছেন, তাহাদের পন্দ বা বাহ্যজ্ঞান কিছুই নাই।

 রাজা কিঞ্চিৎ হাস্য করিয়া বলিলেন শুন, আমি তোমাকে এই অদ্ভুত ব্যাপারের তাবৎ বিবরণ কহিতেছি। যে তপস্বীর দেহ বৃক্ষে লম্বমান দেখিয়াছ, তাহা আমার জন্মান্তরীয় দেহ, এবং যে বিংশতি জন যোগী যোগাসনে আছেন দেখিয়াছি, তাহারা আমার দাস। আমি পূর্ব্ব জন্মে অতি কঠোর তপস্যা করিয়াছিলাম, সেই পুণ্যে শঙ্কুকে সংহার করিয়া রাজত্ব পাইয়াছি। এই রাজত্ব প্রাপ্তি পূর্ব্ব জন্মের পুণ্য বলে হইয়াছে, এজন্য আমার ভ্রাতৃবধের অপরাধী হইতে হয় নাই। ঐ সকল দাস পূর্ব্ব জন্মে আমার অনেক সেবা করিয়াছিল এবং আমার সঙ্গে প্রাণ দিয়াছিল, এজন্য আমি তাহাদিগকে রাজ্যের প্রধান প্রধান কর্মে নিযুক্ত করিয়াছি। এই নিগূঢ় ব্যাপার এপর্য্যন্ত কেহ অবগত হইতে পারে নাই এই জন্য, সকলে বলিয়া থাকে, বিক্রমাদিত্য আপন জ্যেষ্টকে সংহার করিয়া রাজ্য লইয়াছেন। কিন্তু ইহাতে