বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৪
বত্রিশ সিংহাসন।

দিলেন। ইহা দেখিয়া তাহার সমভিব্যাহারী পণ্ডিতগণ বিস্মিত হইয়া বলিতে লাগিলেন, কি, পূজিত শিবলিঙ্গের মস্তকে মূত্র ত্যাগ করিল, অতএব এ ব্যক্তির বুদ্ধি লোপ হইয়াছে। পরে তাহাদিগের এক জন রাজাকে কহিলেন মহারাজ এ কি করিলেন। দেবতা ব্রাহ্মণের দর্শন মাত্রে পূজা প্রণামাদি করিতে হয়, তাহা না করিয়া এ কি বিপরীত কর্ম্ম করিলেন। রাজা উত্তর করিলেন আমি দেবতা ব্রাহ্মণের পূজা করিব, মৃত্তিকার পূজা কি জন্য করিব। ব্রাহ্মণ কহিলেন মহারাজ তোমার আসন্নকাল উপস্থিত দেখিতেছি, কেননা আসমুকালে বুদ্ধির বৈলক্ষণ্য জন্মিয়া থাকে। রাজা কহিলেন ভগবান অদৃষ্টে যাহা লিখিয়াছেন তাহা কেহই খণ্ডন করিতে পারে না। পণ্ডিতগণ বলিতে লাগিলেন। বাজা যেরূপ কদর্য্য কার্য করিলেন ইহার আর ভদ্রস্থত নাই।

 অনন্তর শঙ্কু, বিক্রমাদিত্যের বিনাশ বাসনায়, একখান অঙ্গার লইয়া ভূমিতে সাতটা রেখা অঙ্কিত করিলেন, তাহার অভিপ্রায় এই যে, বিক্রমাদিত্য তাহাতে পাদ বিক্ষেপ করিলে তৎক্ষণাৎ জ্ঞানশূন্য ও মরণাপন্ন হইবেন, কিন্তু পাছে রেখা দেখিয়া পাদ বিক্ষেপ না করেন এজন্য তাহা মৃত্তিকা দ্বারা আচ্ছাদিত করিয়া রাখিলেন। তৎপরে একটা সশা ও এক খান ছুরিকা আনাইয়া তাহা এরূপ মন্ত্রপূত করিলেন যে, যে ব্যক্তিঐ ছুরিকা দ্বারা সশ কাটিবে তৎক্ষণাৎ তাহার নিজ মুণ্ড দেন হইবে।