বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০২
বত্রিশ সিংহাসন।

কোথায়। একজন বলিল মহারাজ, আপনি আমার প্রাণ দণ্ডই করুন, বা, মার্জনাই করুন, আমি যথার্থ কহিব, মহারাজ আপনি রজনীতে আমাদের সঙ্গে চুরী করিতে গিয়াছিলেন। কেননা আমরা অনেককে লইয়া চুরী করিয়াছি, কাহাকেও এ প্রকার দেখি নাই যে, আপনার অংশ ত্যাগ করিয়া চলিয়া যায়। অতএব চোর্য্য কার্য্যে আপনিই আমাদের সঙ্গী ছিলেন।

 রাজা ঈষদ্ধাস্য পূর্বক চোরকে বলিলেন আমি তোমাদের প্রাণদান করিলাম, তোমরা প্রাণনাশের আশঙ্কা করিওনা। কিন্তু আমি এক কথা বলি, তোমাদিগকে তাহা অবশ্যই করিতে হইবেক। তোমরা এখনপর্যন্ত আর চৌর্য্য কার্য্য করিও না, তাহা হইতে একবারে ক্ষান্ত হও। বরঞ্চ তোমাদের যদি আরো অধিক অর্থের প্রয়োজন থাকে, আমার ভাণ্ডার হইতে লইয়া যাও। দস্যগণ এই কথায় সম্মত হইল, এবং আর যে ধন চাহিল রাজা তাহাদিগকে দিলেন। তাহারা ঐ ধন লইয়া অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়া স্ব স্ব গৃহে গমন করিল।

 পুত্তলিকা বলিল, শুন ভোজরাজ, তুমি রাজা বিক্রমাদিত্যের ন্যায় দাতা কখন হইতে পারিবে না। অতএব সিংহাসনে বসিবার আশা ত্যাগ করিয়া, আপনার রাজকার্য্য পর্যালোচনা কর। রাজা এই কথায় মৌন হইয়া উঠিয়া গেলেন, সিংহাসনে বসিতে পারিলেন। রাত্রি অতিশয় চিন্তায় গেল। রজনী প্রভাত হইবা, মাত্র রাজা পুনর্বার সিংহাসনের নিকটে আসিয়া দণ্ডায়-