বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একত্রিংশ পুত্তলিকা।
২০৫

ছেন, দ্বাপরে রাজা যুধিষ্ঠির অতিধর্ম্মশীল ছিলেন। কিন্তু কলিযুগে তুমি যেরূপ ধর্ম্ম কর্ম প্রচার ও বীরত্ব প্রকাশ করিলে,এই চারি যুগের মধ্যে কোন রাজা কখন এরূপ করিতে পারেন নাই। রাজা বিক্রমাদিত্যের এই প্রকার গুণানুবাদ ও স্তুতিবাদ করিয়া দেবগণ বিদায় হইলেন।

 দেবতাগণের গমনের পর, রাজা বিক্রমাদিত্য বহিঃস্থিত পদার্থ সমুদয় দর্শনার্থ অট্টালিকার এক গরাক্ষে উপবেশন করিলেন। সময়ে যদৃচ্ছাক্রমে এক সুবর্ণমৃগ আসিয়া তাহার দৃষ্টি পথের অতিথি হইল। রাজা তাহাকে সংহার করিবার মানসে ধনুর্বাণ গ্রহণ করিলেন। ঐ মৃগ, রাজাকে ধনুর্বাণধারী দেখিয়া বলিতে লাগিল হে ভূপতে আমি প্রকৃত মৃগ নহি, আমি পূর্ব্বজন্মে ব্রাহ্মণ ছিলাম। এক দিবস ক্ষুধাতুর হইয়া অসময়ে এক ঋষির আশ্রমে উপস্থিতি পূর্ব্বক অন্ন যাচ ঞা করিয়াছিলাম, তাহাতে তিনি ক্রুদ্ধ হইয়া এই বলিয়া আমাকে অভিসম্পাত করিলেন তুই আগামি জন্মে হরিণ হইবি। আমি এই অভিসম্পাতগ্রস্ত হইয়া সাতিশয় দুঃখিত হইলাম, এবং বিনয় বাক্যে তাহাকে কহিলাম প্রভো আপনি আমাকে মৃগ করিলেন, কিন্তু কত দিনে কিপ্রকারে এই পশুজন্ম হইতে আমার মুক্তি হইবে, অনুগ্রহ করিয়া আজ্ঞা করুন। তিনি কহিলেন অতিদাতা রাজা বিক্রমাদিত্য কলিযুগে জন্ম গ্রহণ করিবেন, তাঁহাকে দর্শন করিলে তোমার মুক্তি হইবে।