বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রথম পুত্তলিকা।
১৯

প্রথম পুত্তলিকা। সত্য না কহিবে সে পর্যন্ত আমি কাহাকে ছাড়িব না, বরঞ্চ প্রাণ দণ্ড করিব। লুতবরণ কহিলেন এ কর্ম্ম আমার দ্বারা হইয়াছে, আমি তােমার অহঙ্কার দেখিয়া ক্রোধ সম্বরণ করিতে না পারিয়া জ্ঞানশূন্যতা প্রযুক্ত এই কর্ম্ম করিয়াছিলাম। রাজা এই বাক্যে হাস্য করিয়া বলিলেন আমি ভূস্বামী, এবং যােদ্ধা, আমি কোন বিষয়ে অক্ষম নহি, অতএব আমার অহঙ্কার কেন না, হইবে।

 লুতবরণ কহিলেন তুমি যে নগর দর্শন করিয়াছ তাহার বিবরণ শ্রবণ কর। রাজা বাহুবল ঐ রাজ্যের পুরাতন নৃপতি, তােমার পিতা গন্ধর্ব্বসেন তাহার মন্ত্রী ছিলেন, পরে মন্ত্রীর প্রতি অবিশ্বাস হওয়াতে রাজা তাহাকে কর্ম্মচ্যুত করেন, তাহাতে তিনি অম্বাবতী নগরে আসিয়া রাজা হইয়া ছিলেন। তুমি বিক্রমাদিত্য, ঐ গন্ধর্ব্বসেনের পুত্র। তুমি এক্ষণে জগদ্বিখ্যাত হইয়াছ, কিন্তু বাহুবল রাজা যে পর্যন্ত তােমাকে রাজ-তিলক না দিবেন সে পর্যন্ত তােমার অচলা লক্ষ্মী হইবেক না। পরন্তু ঐ রাজা তােমার এরূপ অবস্থার সংবাদ পাইলে তােমাকে ভস্মসাৎ করিবেন। অতএব, তোমাকে এক সৎপরামর্শ কহি, তুমি ঐ রাজার। নিকটে গিয়া তাহাকে প্রণয় দ্বারা প্রীত করিয়া, তাহার নিকটে রাজ-তিলক গ্রহণ কর, তাহা হইলে তােমার অচলা, রাজলক্ষ্মী হইবেক।

 রাজা বিক্রমাদিত্য অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছিলেন, অত-