বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পুত্তলিকা।
২৯

 এক বেশ্যা নগরপালের উপপত্নী ছিল, নগরপাল তাহাকে ঐ ফল দিয়া কহিল আমি তােমার জন্য অমর ফল আনিয়াছি, তুমি ভক্ষণ কর। এই বাক্যে বারবনিতা তাহার হস্ত হইতে ফল লইয়া তাহাকে বিদায় করিয়া দিল। পরে মনে মনে এই চিন্তা করিতে লাগিল আমি পূর্ব্ব জন্মে কত পাপ করিয়া ছিলাম, তাহাতে বারবধূ হইয়া চিরকাল পাপ কর্ম্মে দিন যাপন করিতেছি, যদি আমি অমর হই তবে আরাে কত কাল কত পাপ করিতে, হইবে। অতএব এই ফল রাজাকে দেওয়াই উচিত, তিনি চিরজীবী হইলে দেশের অতিশয় মঙ্গল হইবে,তাহাতে আমার পুণ্য হইয়া পূর্ব্বকৃত পাপ ধ্বংস হইতে পারিবে, এবং রাজা চিরকাল আমার প্রত্যুপকার স্বীকার করিবেন।

 এই কল্পনা করিয়া বারাঙ্গনা রাজসভায় গিয়া রাজার হস্তে ঐ ফল সমপর্ণ করিল। রাজা ফল দর্শনে চমৎকৃত হইয়া মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন আমি এই ফল রাণীকে দিয়াছিলাম, এই বেশ্যা ইহা কিরূপে প্রাপ্ত হইল। কিন্তু মনের কথা ব্যক্ত না করিয়া হাস্থ্য করিতে করিতে বারকান্তাকে জিজ্ঞাসা করিলেন তােমাকে এ ফল কে দিয়াছে। বারাঙ্গনা কহিল আমি এই ফল নগরপালের নিকট প্রাপ্ত হইয়াছি। ইহা শুনিয়া রাজা তাহাকে কিঞ্চিৎ অর্থ দিয়া বিদায় করিলেন। পরে মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন হায় আমি যে রাণীকে পরম স্নেহাপদ জানিয়া আপন মন সমপর্ণ