বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
বত্রিশ সিংহাসন

বীতে আর নাই, বিদ্যাহীন মনুষ্য পৃথিবীর হেয়। বিদ্যা বিনা মনুষ্য, রূপ যৌবন বা উচ্চ কুল কিছুতেই মান্য হইতে পারে না। পলাশ পুষ্প সুবাস বিনা যেমন অনাদরণীয় ও অশ্রদ্ধেয়, মনুষ্য বিদ্যা-বিহীন হইলে সেই প্রকার সকলের অগ্রাহ্য হয়। অতএব হে নন্দন বিদ্যা যে এমত বস্তু তাহাকে তুমি তাচ্ছল্য করিয়া কেন আর বৃথা বাৎসল্য বৃদ্ধি করিতেছ। শুন তােমাকে এক সার কথা বলিতেছি, মনুষ্যের পুত্র না হওয়া বরং ভাল, কিংবা হইয়াই মরিয়া যাওয়া ভাল, কিন্তু মূখ পুত্র হওয়া কোন রূপেই ভাল নহে। কেননা মূখ। পুত্র পিতা মাতার অতিশয় লজ্জা ও অসীম অসুখের কারণ, পুত্র না থাকিলে সেরূপ অসুখ হয় না। পুত্র হইয়া মরিলে পিতা মাতা শােক পান বটে, কিন্তু সে শােক বহুকালীন নহে, পুত্র মূখ হইলে যাবজ্জীবন দুঃখ পাইতে হয়। অতএব মূখ পুত্র জীবিত থাকা অপেক্ষা মরিয়া যাওয়াই মঙ্গল।

 এই সকল ভৎসনায় ব্রাহ্মণ-কুমারের অন্তঃকরণে অতিশয় ঘৃণা জন্মিল। অতএব তিনি দেশত্যাগী হইয়া এই প্রতিজ্ঞা করিলেন যে, যে পর্যন্ত বিদ্যা শিক্ষা করিতে না পারিব সে পর্যন্ত আর গৃহে আসিব না। এই সংকল্প করিয়া ব্রাহ্মণ-তনয় বিদ্যা উপার্জন জন্য নানা দেশে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। পরিশেষে কাশ্মীর দেশে উপস্থিত হইয়া সর্ব্বশাস্ত্র-বিশারদ এক ব্রাহ্মণের নিকটে বিদ্যাভ্যাস করিতে লাগিলেন। ঐ ব্রাহ্মণ তাহার