বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
বত্রিশ সিংহাসন

কর্পের প্রখর শরাঘাতে ক্ষণেক কাল তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইল। অনন্তর রজনী আগত হইলে নরক্ষক আসিয়া রাজাকে দেখিয়া অতিশয় কুপিত হইল, এবং তাঁহার সংহার চেষ্টা করিতে লাগিল। তাহাতে ঘােরতর সংগ্রাম উপস্থিত হইল। পরিশেষে বীর বিক্রমাদিত্য তাহাকে বিনাশ করিলেন। তখন নরমােহিনী রাজার সম্মুখে গললগ্নবসনা হইয়া কহিল মহারাজ আপনকার বল-প্রভাবে আমি এই দুরন্ত দস্ত হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইলাম, ইহা না হইলে আমি এই প্রকারচির-বন্দিনী থাকিতাম, অতএব আমি মদীয় শরীর ভবদীয় চরণে সমর্পণ করিলাম, আপনকার যাহা বাসনা করুন। রাজা বলিলেন যদি তুমি আপন ইচ্ছায় পাণি-দান স্বীকার করিলে তবে আমার এই বাসনা তুমি এই ব্রাহ্মণ-কুমারকে পাণিদান কর। ইনি যদিও ধনবান্, নহেন, কিন্তু অতি বিদ্বান এবং আপন গুণে আমার পরম প্রিয় পাত্র হইয়াছেন। বিশেষতঃ ইনিই ভােমার পরিত্রাণের মূল, কেননা ইহার স্থানে সংবাদ পাইয়া আমি তােমাকে উদ্ধার করিতে আসিয়াছি। নরমােহিনী এই কথা শুনিয়া তখনি ব্রাহ্মণ-কুমারকে পাণিদান করিতে সম্মতা হইল। তৎপরে রাজা বিপ্রকুমারের সহিত তাহার বিবাহ দিয়া রাজধানীতে আসিলেন। ব্রাহ্মণনন্দন সস্ত্রীক মহা আনন্দে বৃদ্ধ পিতার সদনে উপস্থিত হইলেন। তাহার পিতা তাহার সৌভাগ্যে অতিশয় আনন্দিত হইলেন।